মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জার্মানির কিছু রাজ্যে তৈরি হয়েছে করোনা-জেল। কোয়ারান্টিনের নির্দেশ ভাঙলে যেতে হবে সেই জেলে। উত্তর জার্মানির একটি ছোট শহর জুভেনাইলের ডিটেনশন সেন্টারের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে তৈরি হয়েছে এমনই ‘করোনা কারাগার’। ছয় ঘরের কারাগারে যারা করোনার কোয়ারেন্টাইন ভাঙবেন, তাদের রাখা হবে। খবর ডয়চে ভেলে।
শ্লেসভিগ হলস্টাইন রাজ্যের নোয়েমুনস্টার ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের সদস্য শুলজ জানিয়েছেন, যারা করোনায় আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তাদের বাড়িতে থাকার কথা। করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে এটা খুবই জরুরি। কেউ যদি এই নিয়ম না মানেন, তাহলে তারা অন্যদের ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াবেন। তাই সেই নিয়ম না মানলে এই জেলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জানুয়ারিতে চালু হওয়া কারাগার চিরাচরিত কারাগারের মতো নয়। এখানে টিভি, ল্যাপটপ, ফোন এবং অন্য সকল সুবিধা পাওয়া যাবে। যাদের এখানে রাখা হবে, তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার ব্যবস্থা হবে। তাদের জন্য আরামদায়ক বিছানা থাকবে। হাঁটার জায়গা থাকবে। শুলজ জানিয়েছেন, নিজের বাড়ির সকল স্বাচ্ছন্দ্য মিলবে জেলের নিভৃতবাসে।
তফাৎ একটাই। মানুষকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এই জেলে ঢোকানো হবে এবং তারা রক্ষীদের কথা মানতে বাধ্য হবেন। ৪০ জন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারকে নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়েছে, তারা রক্ষীর দায়িত্ব পালন করবেন।
কেউ যদি নিজের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বারবার অস্বীকার করেন, তাহলেই তাকে জেলে রাখা হবে। তবে তার আগে দেখতে হবে, তারা নির্দেশ অমান্য করে বাইরে গিয়েছেন এবং তাদের থেকে অন্যদের করোনা হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে কিনা। তখন পুলিশ তাদের বাড়িতে যাবে এবং প্রথমে তাদের জরিমানা করা হবে। তারপর কোর্টের নির্দেশে তাদের করোনা কারাগারে পাঠানো হবে।
ব্র্যান্ডেনবুর্গে মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কোয়ারান্টিন না মানার দুইশটি ঘটনা ঘটেছিল। তবে ওই আট মাসে ৩০ জনকে করোনা-জেলে ঢোকাতে হয়েছিল।
তবে শ্লেসভিগ হলস্টাইন একা নয়, বার্লিনেও একই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সেখানে একটি হাসপাতালকে এজন্য বেছে নেয়া হয়েছে। পূর্ব জার্মানির রাজ্য স্যাক্সনির এক মুখপাত্র ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, তাঁদেরও একই ধরনের পরিকল্পনা আছে। তবে হাসপাতাল নয়, অন্য কোনো জায়গা এর জন্য চিহ্নিত করা হতে পারে। এই রাজ্যেই সব চেয়ে বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যাও সব চেয়ে বেশি। তাই তাঁরা জানুয়ারির শেষে এই ধরনের ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছেন।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদসংস্থা ডিপিএ-কে জানিয়েছেন, খুব কম মানুষকেই এখানে রাখতে হবে। এখনো পর্যন্ত কোয়ারান্টিন ভেঙেছেন এমন কেউ নেই। কেউ ভাঙলে আদালতের নির্দেশেই তাঁকে ওখানে রাখা হবে।
এদিকে সামাজিক মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের প্রচুর সমালোচনা হচ্ছে। কিছু সমালোচকের মতে, এও এক ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন। কেউ বলছেন, এটা বেআইনি। অনেক রাজনৈতিক দলও এর বিরুদ্ধে। খবর ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।