Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কিবরিয়া হত্যার ১৬ বছর পূর্তির দিনে আজ আদালতে ৪ জনের সাক্ষী গ্রহণ

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২১, ৭:২১ পিএম

১৬ বছরেও বিচার কাজ শেষ হয়নি সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যার। তবে আজ (বুধবার) ১৬ বছর পূর্তির দিনে ৪জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ট্রাইব্যুনালে। এছাড়া আগামী ৩ মার্চ মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক শাহরিয়ার কবির। এদিকে, গত পাঁচ বছরে মামলার মোট ১৭১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৩ জনের গ্রহণ করা হয়েছে সাক্ষ্য। ৩ দফায় এ মামলার তদন্ত করে সিআইডি। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর সিলেট রেঞ্জের সিনিয়র এএসপি মেহেরুন নেছা পারুল অভিযোগ পত্র দাখিল করেন ৩২ জনের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি সরোয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল জানান, এ মামলায় মোট ১৭১ জন সাক্ষ্য মধ্যে এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে৪৩ জনের। একই ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের মামলায়ও ২০২০ সনের ২২ অক্টোবর চার্জ গঠন করা হয়। তিনি আরও জানান, এ মামলার মূল আসামিদের বিরুদ্ধে সারাদেশে জঙ্গি হামলা সংক্রান্ত রয়েছে মামলা।

তাদেরকে দেশের বিভিন্ন আদালতে হাজির করার জন্য এক কারাগার থেকে অন্য কারাগারে করতে হয় স্থানান্তর। তাই মামলার ধার্য তারিখে সব সময় আসামিদের আদালতে হাজির করা সম্ভব হয় না। এতে মামলার বিচার কাজ হচ্ছে বিলম্বিত। মামলার আসামিদের মধ্যে ৩ জনের ইতোমধ্যে অন্য মামলায় কার্যকর করা হয়েছে মৃত্যুদন্ড। এরা হচ্ছে, মুফতি আব্দুল হান্নান, শরীফ সাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপন। এদিকে, তদন্ত সঠিক হয়নি দাবি করছেন শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া। তিনি বলেন, আমার বাবা দেশে বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দেশের জন্য কাজ করেছেন, হয়েছেন সংসদ সদস্য, হয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এমপি থাকা অবস্থায় গ্রেনেড হামলায় মারা যান তিনি। ১২বছর আ’লীগ সরকার ক্ষমতায়। কিন্তু এখনও সুষ্ঠু বিচারের কোনো সম্ভাবনা দেখছি না আমরা। তিনি বলেন, এ ঘটনায় হয়েছিল মামলা। উক্ত মামলায় দেয়া হয়েছে ৩টি চার্জশিট। অথচ একটির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই অপরটির। ৩টি চার্জশিটের প্রত্যেকটি বার বার প্রত্যাখ্যান করেছি এবং করে যাব। যতদিন একটি সুষ্ঠু তদন্ত না হয়, ততদিন সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার নেই কোনো সম্ভাবনা।

এদিকে, বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিস চৌধুরীসহ ৯জন আসামি রয়েছে পলাতক। অপরদিকে, এ মামলার আসামি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফ চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গৌছ সহ ৯ জন জামিনে রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের এক জনসভা শেষে গ্রেনেড হামলায় কিবরিয়া ও তার ভাতিজা মঞ্জুরুল হুদাস হ ৫ নেতাকর্মী নিহত এবং হবিগঞ্জ-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির সহ ৭০ জন হয়েছিলেন আহত। ওই দিন রাতে জেলা সদর থানায় বাদী হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেন আ’লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমান হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিলেট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ