Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাইডেন প্রশাসনে সিলেটের এক রত্নগর্ভা মায়ের সন্তান কাজী সাবিল

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২১, ৫:২৮ পিএম

বাইডেন প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান ও সিলেটী কাজী সাবিল রহমান (৩৮)। হোয়াইট হাউজে এক্সিকিউটিভ অফিসের ম্যানেজমেন্ট এ্যান্ড বাজেট ডিভিশনে ইনফরমেশন এ্যান্ড রেগুলেটরি এফেয়ার্সের সিনিয়র কাউন্সেলর হিসেবে ২৫ জানুয়ারি নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। নিউইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণকারি কাজী সাবিল ব্রুকলীন ল’ স্কুলের এসোসিয়েট প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ছিলেন ‘ডেমজ’ নামক একটি থিঙ্ক ট্যাংকের প্রেসিডেন্ট। বর্ণ ও জাতিগত সাম্য, অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি, নীতিগত গবেষণার আলোকে গণতান্ত্রিক চেতনায় সর্ব সাধারণকে উজ্জীবিত করার অভিপ্রায়ে কর্মরত এই থিঙ্ক ট্যাংকের মাধ্যমেই কাজী সাবিলের প্রতি দৃষ্টি প্রসারিত হয়েছে জো বাইডেনের।


উল্লেখ্য, বাইডেন-কমলা ট্র্যাঞ্জিশন টিমে আমেরিকার অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর গভীর পর্যবেক্ষণ আলোকে সুদূর প্রসারি কর্ম-কৌশল গ্রহণের অভিপ্রায়ে কর্মরত ৮টি ওয়ার্কিং গ্রুপের একটির কো-চেয়ারম্যান ছিলেন সাবিল। এরও আগে ছিলেন হার্ভার্ড ল’ স্কুলে ভিজিটিং প্রফেসর, রুজভেল্ট ইন্সটিটিউটের ফেলো এবং নিউ আমেরিকানের ফেলো। সাবিলের গবেষণার সেক্টর হচ্ছে গণতান্ত্রিক সমাজ-ব্যবস্থায় আর্থিক সমৃদ্ধি প্রদানের পাশাপাশি সমগ্র জনগোষ্ঠিকে উন্নয়ন আর গণতন্ত্রের ধারায় সম্পৃক্ত করে একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রয়াস। টেকসই উন্নয়নের গতিধারা ত্বরান্বিত করতে কর্মক্ষম মানুষদের উজ্জীবিত করার কাজেও সাবিলের লেখা রয়েছে বেশ কটি গবেষণাকর্মও।

সাবিল একইসাথে সুশাসনের জন্যে কর্মরত ‘দ্য নিউ প্রেস’র পরিচালনা পর্ষদের মেম্বার, ‘ইউনাইটেড টু প্রটেক্ট ডেমোক্রেসি’ এবং ‘দ্য ন্যারেটিভ ইনিশিয়েটিভ’রও সক্রিয় সদস্য হিসেবে মাঠে রয়েছেন। আমেরিকানদের জীবন-মানের উন্নয়ন আলোকে গবেষণামূলক তার লেখা প্রকাশিত হয় ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য আটলান্টিক, স্টানফোর্ড সোস্যাল ইনোভেমন রিভিও, বস্টন রিভিউ, ডেমোক্রেসি জার্নাল, দ্য আমেরিকান প্রসপেক্টে। বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড থেকে সমাজবিজ্ঞান, জেডি এবং পিএইচডি করেছেন সাবিল। রোড স্কলার হিসেবে ওক্সফোর্ড থেকে এমএসসি, অর্থনীতি এবং সামাজিক বিজ্ঞানে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন মেধাবী সাবির। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের পর ২০১৪-২০১৫ সালে নিউইয়র্ক সিটির অন্তভূক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন কৌশল সম্পর্কিত স্পেশাল এডভাইজার এবং নিউইয়র্ক সিটি রেন্ট গাইডলাইন বোর্ডেরও মেম্বার ছিলেন কাজী সাবিল। কাজী সাবিলের বাবা কাজী আফজালুর রহমান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্যাডার হিসেবে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনে ইকনোমিক কাউন্সেলর হিসেবে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ৫ বছর চাকরি করেছেন। এরপর এস্কেপ-বাংলাদেশেও চাকরি করেছেন তিনি।

২০০৭ সালে অবসর নিয়ে জাতিসংঘে এস্কেপের রিজিওনাল অফিসে কাজ করেছেন এবং পরিচালক হিসেবে অবসর নিয়েছেন দু’বছর আগে। তার দু’কন্যার একজন আইএমএফ’র সিনিয়র ইকনোমিস্ট এবং অপরজন থাকেন নিউইয়র্কে। কাজী সাবিলের মা সিলেটের সন্তান সেগুপ্তা রহমান নিজের ৩ সন্তানকে মেধাবি করতে সময় ও অক্লান্ত জন্যেই সময় ব্যয় করেছেন এই প্রবাসে। সাবিলের চাচা কাজী ফজলুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের মেম্বার ও অপর চাচা কাজী গোলাম রহমানও সচিব ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশর সরকারের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশি

৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ