Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আ.লীগ প্রার্থীর সমর্থনে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী

সাতকানিয়া পৌরসভা

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২১, ৮:৪৮ এএম

সরকারি দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী এ জেড এম মঈনুল হক চৌধুরী খোকন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। শুধু তাই নয় নির্বাচন কমিশনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন জমা দিয়েই তিনি চলে যান আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে দেখা করতে।

আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে খোকনের একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, যা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। বিএনপির মধ্যে এ ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার মঈনুল হক চৌধুরী খোকন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। এরপর চট্টগ্রাম ক্লাবে গিয়ে তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়ার সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় সেখানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদও ছিলেন।
সাতকানিয়া পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন, নির্বাচনে মেয়র পদে দু’জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। একজন মোহাম্মদ জোবায়ের, আরেকজন মঈনুল হক চৌধুরী। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষদিনে মঈনুল হক চৌধুরী প্রত্যাহার করেছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী জোবায়ের একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বিষয়ে মঈনুল হক চৌধুরী খোকন সাংবাদিকদের বলেন, সাতকানিয়া পৌরসভা নির্বাচনে দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। কিন্তু আমার দলের যারা মনোনয়ন পাননি তারা গত কয়েকদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছে, চরিত্র হনন করেছে। তারা আমাকে এলডিপি-আওয়ামী লীগের দালাল, ত্রাণচোর বলেছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, প্রতিপক্ষের চেয়ে আমার নিজ দলের মানুষরাই আমার চরিত্র হননে নেমে পড়েছে। তাহলে আমি কিভাবে নির্বাচন করব ? তাই নির্বাচন থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছি।

আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে তিনি বলেন, ওদের সঙ্গে আমার অনেক আগের সম্পর্ক। তারা দুজন (নওফেল ও বিপ্লব) আইনজীবী। আমি নিজেও আইনজীবী। ওরা আমার কলিগ। ওদের সঙ্গে আমার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখাসাক্ষাত হয়। তারা আমাকে বড় ভাই সম্বোধন করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে কোন আলোচনা ছাড়াই চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান মেয়র পদে মনোনয়ন দিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তার নাম পাঠিয়ে দেন। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে স্থানীয় বিএনপির নেতা কর্মীরা।
তবে দলের সিদ্ধান্ত ছাড়া ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য মঈনুলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আবু সুফিয়ান।



 

Show all comments
  • Bhuiyan ২৭ জানুয়ারি, ২০২১, ৯:২০ এএম says : 0
    আওয়ামী লীগ কখনো নির্বাচনে বিশ্বাস করেনা I চাপ দিয়ে নির্বাচন থেকে সরানো তাদের একটা পুরনো কৌশল I গণতন্ত্রহীনতা তাদের অস্থি মজ্জায় I
    Total Reply(0) Reply
  • Zaman Norul ২৭ জানুয়ারি, ২০২১, ১১:৫০ এএম says : 0
    নিশ্চয়ই টাকার বিনিময়ে কাজটি করেছেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Osman Gani ২৭ জানুয়ারি, ২০২১, ১১:৫১ এএম says : 0
    টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • শাখাওয়াত হোসেন ২৭ জানুয়ারি, ২০২১, ১১:৫১ এএম says : 0
    মেরুদন্ডহীন বিরোধী দল বিএনপি
    Total Reply(0) Reply
  • Abdus Sabur ২৭ জানুয়ারি, ২০২১, ১১:৫১ এএম says : 0
    টাকায় করে কাম, ফকিরের বারে দাম।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পৌরসভার নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ