গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সততা, সত্যনিষ্ঠ, ও মানবিকতার কারণে সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান মানুষের মাঝে চিরদিন বেঁচে থাকবেন। তার লেখনির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নানান অজানা তথ্য তার অনুসন্ধানের মাধ্যমে উঠে এসেছে। তিনি রাষ্ট্রের সম্পদ ছিলেন। তার নিখুঁত ও তথ্য ভিত্তিক লেখনির কারণে সকল স্তরের কাছে প্রিয় মানুষ হিসেবে জায়গা দখল করে নিয়েছিলেন। তিনি চলে যাওয়ার দলমত নির্বিশেষে সকলকে কাঁদিয়ে গেছেন।
বক্তারা বলেন, মিজানুর রহমান খান ৮০ দশকে সাংবাদিকতা পেশায় আসেন। পড়ালেখার পাশাপাশি এ পেশার সঙ্গে জড়িত হন তিনি। তিনি সুশাসনের জন্য নিজের কলম চালিয়ে গেছেন। আইন-আদালত, সংবিধান জ্ঞানসহ গণতন্ত্রের নিয়ে নিজের ধারালো কলম চালিয়ে গেছেন। মিজানুর রহমান খান সংবিধান, আইন ও সংসদ বিষয়ে অনেক পারদর্শী ছিলেন। তিনি সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলতেন।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) ডিআরইউ’র নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্থায়ী সদস্য ও দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানের স্মরণসভায় স্মৃতিচারণ করে বক্তারা এ সব কথা বলেন। বক্তারা বলেন, দলমত নির্বিশেষে মিজানুর রহমান খান সকলের কাছে প্রিয় ছিলো। সম্পাদকীয় বিভাগে কাজ থাকলেও সেখানে সীমাবদ্ধ ছিলেন না, রির্পোটিং করা, ছবি তোলা নিয়ে তার বেশ আগ্রহ ছিলো। কোন বিশেষ রায় হলেই তার উপরে বিশ্লেষণধর্মী লেখা প্রকাশ হতো। তিনি হাত খুলে লিখতেন, মন খুলে কথা বলতেন। একজন সাংবাদিককে এমন হওয়া উচিৎ। সহকর্মী সকলের সঙ্গে তার ছিলো ব্যাপক আন্তরিকতা। সত্য বলার জন্য মিজানুর রহমান খানকে একাধিকবার আদালতের সম্মুখীন হতে হয়েছে। আমরা এমন একটি পরিবেশে রয়েছি সেখানে সৎ ও সত্য বলা কঠিন। তিনি কখনও অন্যায়কে প্রশয় দেয়নি। তিনি যা দিয়ে গেছেন তা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।
ডিআরইউ’র সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি এম শফিকুল করিম সাবু, সাইফুল ইসলাম, ইলিয়াস হোসেন ও রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, ডিআরইউ’র নারী বিষয়ক সম্পাদক রীতা নাহার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাইদুর রহমান রুবেল, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সভাপতি মিজান মালিক, ল’ রিপোর্টাস ফোরামের (এলআরএফ) সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াছিন প্রমুখ।
মিজানুর রহমান খানের সহকর্মীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরীফ, যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, উপ সম্পাদক লাজ্জাত এনাম মসীহ ও একেএম জাকারিয়া, সাবেক সহকর্মী শরীফুজ্জামান পিণ্টু। এছাড়া বক্তব্য রাখেন মরহুম মিজানুর রহমান খানের ছেলে শাদমান মিজানুর খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।
অনুষ্ঠানে ডিআরইউ সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, বর্তমান সহ- সভাপতি ওসমান গনি বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক আরাফাত দাড়িয়া, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হেলিমুল আলম বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ জামাল হোসাইন (শেখ জামাল), বর্তমান কল্যাণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, কার্যনির্বাহী সদস্য এম এম জসিম, রহমান আজিজ, রফিক রাফি, ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মাশহুদুল হক, রিপোর্টার্স এগেইনস্ট করাপশনের (র্যাক) সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ ফয়েজসহ সিনিয়র সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ জানুয়ারি ২০২১’ করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।