বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া প্রধান শিক্ষক হয়ে এমপিওভুক্ত করে বেতন-ভাতা ভোগ করার অভিযোগে শেরপুরের ঝিনাইগাতি হাজি অছি আমরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত সেই সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২৪ জানুয়ারি শেরপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম হুমায়ুন কবীর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণের পর ওই শিক্ষকের এমপিও স্থগিত করে ফৌজদারি আইনে মামলার নির্দেশ দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। অধিদফতরের নির্দেশে হাজি অছি আমরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক উম্মে কুলসুম বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘জালিয়াতির মামলায় আদালত অভিযোগ গঠন করে জাহাঙ্গীর সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে তাকে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেলা শিক্ষা অফিসার, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ২০১৩ সালের ১০ এপ্রিল হাজি অছি আমরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর সেলিম শূন্য পদের বিপরীতে প্রধান শিক্ষক হিসেবে জাল নিয়োগপত্র তৈরি করেন। এরপর জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে এমপিও পান ২০১৩ সালের নভেম্বরে। এই বিষয়টি নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে অভিযোগ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর সেলিমের এমপিও স্থগিত করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর।
শেরপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে ম্যানেজিং কমিটি ও জেলা শিক্ষা অফিসারকে ফৌজদারী মামলার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয় অধিদফতর। এরপর ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক উম্মে কুলসুম আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার শুনানি শেষে গত রোববার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট, শেরপুর আনীত অভিযোগ গঠন করে জামিন নামঞ্জুর করেন এবং আদালতে উপস্থিত জাহাঙ্গীর সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।