পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার দক্ষিণ খাইলকুর বগারটেক এলাকা থেকে স্কুলশিক্ষক দম্পতির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে গাছা থানার দক্ষিণ খাইলকুর বগারটেক এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি কারে তাদের উদ্ধার করা হয়। কীভাবে এ দম্পতির মৃত্যু হয়েছে, তবে পুলিশ এ ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। নিহত ব্যক্তিরা হলেন, গাজীপুর মহানগরের কামারজুরি এলাকার বাসিন্দা এ কে এম জিয়াউর রহমান (৫১) ও তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার ওরফে জলি (৩৫)। তারা দুজনই পৃথক দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। জানা গেছে, গত বুধবার সকালে কামারজুরি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে কার নিয়ে স্কুলের উদ্দেশে বের হন ওই শিক্ষক দম্পতি। কারটি জিয়াউর রহমান নিজেই চালাতেন। স্কুল শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন তারা। এরপর থেকে তাদের কোনো খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছিল না। স্বজনেরা রাতভর খোঁজাখুঁজি করেন। ভোররাতে মহানগরের দক্ষিণ খাইলকুর বগারটেক এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা তাদের গাড়ির ভেতর চালকের আসনে প্রধান শিক্ষক ও পাশের আসনেই স্ত্রীর লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে সেখান থেকে তাদের প্রথমে বোর্ডবাজার এলাকার তায়রুন্নেছা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে উত্তরার একটি হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শিক্ষক দম্পতির ছেলে মো. মিরাজ জানান, গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে পৌনে সাতটার দিকে বাবার মোবাইলে ফোন দেন। কিন্তু বাবার ফোন রিসিভ না হওয়ায় তার মায়ের ফোনে কল করেন। পরে মা ফোন ধরে বাসায় আসছেন বলে জানান। কিন্তু মা কথা বলার সময় ক্লান্তির স্বর ভেসে আসছিল। এরপর থেকে ফোনে তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি। পরে তারা গাছা থানা, টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানায় যোগাযোগ করেন। রাতভর তারা বিভিন্ন জায়গায় তাদের খোঁজ করি।
নিহতের বড় ভাই মো. রিপন সাংবাদিকদের বলেন, এ হত্যাকান্ডটি পুরোই ’পরিকল্পিত’। তাদের সঙ্গে থাকা স্বর্ণলঙ্কার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন কিছুই খোয়া যায়নি। ঘটনাটি যদি পরিকল্পিত না-ই হতো তাহলে হত্যাকারীরা টাকা, স্বর্ণ, মোবাইল ও গাড়ি নিয়ে যেতো।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ বলেন, ঘটনাটি তদন্তে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে। কি কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের সহকারী-কমিশনার (মিডিয়া) আবু সায়েম নয়ন জানান, তাদের লাশে সুরুতহাল প্রতিবেদন করা হয়েছে। লাশের পাশে একটি খালি বাটি পাওয়া গেছে। তবে তাকে কি ছিল তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নন্দলাল চৌধুরী জানান, তাদের লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশ গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।