পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর হাইকোর্টের সামনে ছিনতাইকারীরা হামিদুল ইসলাম (৫৭) নামে এক ডিস ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। গত শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটলেও গতকাল রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শাহবাগ থানার ওসি মামুনুর রশিদ জানান, নিহতের বাম পায়ের উরুতে এবং বাম হাত ও ডান হাতে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার প্যান্টের পকেটে নগদ ১৬ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে- তা তদন্ত সাপেক্ষে ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে সঠিক কারণ জানা যাবে। আর আমরা কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। কেউ আটক বা গ্রেফতার নেই বলে জানান তিনি। তিনি সেগুনবাগিচা এলাকায় ডিস লাইনের ব্যবসা করতেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। গত শনিবার রাতে লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হলে গতকাল রোববার সকালে নিহতের ছোট ভাই মো. ওয়াহিদুল ইসলাম তার পরিচয় শনাক্ত করেন।
নিহতের ছোট ভাই মো. ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, তাদের বাড়ি ময়মনসিংহ সদর কলেজ রোডে। বাবার নাম রফিকুল ইসলাম। চার ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় ছিল হামিদুল। মেয়ে নায়না ইসলাম (২৪) ও ছেলে নাহিদুল ইসলামসহ (২১) স্ত্রী নার্গিস আক্তারকে নিয়ে সেগুনবাচিগা হাইস্কুলের পাশে বসতি-ময়ূরী এপার্টমেন্টে থাকতেন তিনি। ১৯৯০ সালের পর থেকে তিনি সেগুনবাগিচা ও এর আশপাশের এলাকাতে ডিস লাইনের ব্যবসা করেন।
ছোট ভাই ওয়াহিদুল আরো বলেন, ভাইয়ের সঙ্গে কারও শত্রুতা আছে বলে আমরা শুনিনি। তার শরীরে ছুরির আঘাতের চিহ্ন দেখে আমাদের মনে হচ্ছে এটি ছিনতাইকারীর ছুরির আঘাত। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করলে তার বুকে বা পেটে আঘাত করতো, তার পায়ে আঘাত করতো না।
এদিকে সাদেক মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারে একটি ভবনে তিনট ফ্ল্যাট রয়েছে হামিদুলের। সাদেক সেখানে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি আরও জানান, গত শনিবার রাতে হামিদুল তাকে ফোন দিয়ে বলেন, বাসার ভাড়ার টাকাগুলো তাকে দিয়ে আসতে, তিনি হাইকোর্ট মাজারের সামনে আছেন। এরপর সাদেক ১২ হাজার টাকা নিয়ে রাত ৮টার দিকে হাইকোর্ট মাজারের সামনে যান। সেখানে জামালের চায়ের দোকানে দুই জন বসে চা পান করে। টাকা দেয়ার পরে ম্যানেজার সাদেক সিদ্দিকবাজারের দিকে ও হামিদুল তার বাসার দিকে চলে যান।
তিনি জানান, রাত দেড়টার দিকে হামিদুলের ছেলে ম্যানেজারকে ফোন দিয়ে বলেন, তার বাবা বাসায় ফেরেনি এখনও। এরপর খোঁজ নিতে থাকেন সাদেকও। মধ্যরাতে তিনি ঢাকা মেডিক্যালে এসে তার লাশের খোঁজ পান। ছিনতাইকারী এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তাদের ধারনা। চা পান করার সময় থেকেই হয়তো তাকে ফলো করেছে ছিনতাইকারীরা এমন মন্তব্য করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।