মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জাপানকে বলা হয় সূর্যোদয়ের দেশ। নানা সমস্যা থাকার পরও সেই জাপানে উল্লেখযোগ্য হারে মুসলিমদের সংখ্যা বাড়ছে। প্রায় প্রতিদিনই দেশটিতে অনেক মানুষ ইসলাম গ্রহণ করছেন। এর ফলে গত এক দশকে দেশটিতে মুসলিমের দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। বর্তমানে জাপানে মুসলিমদের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে কবরস্থান।
ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়ের তানাদা হিরোফুমির বরাত দিয়ে দ্য ইকোনোমিস্ট জানিয়েছে, গত ১০ বছরে জাপানে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। ২০১০ সালের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, জাপানে ১ লাখ ১০ হাজার মুসলিম ছিল। তবে ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩০ লাখ।
এই এক দশকে জাপানের উল্লেখযোগ্য মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় দেশটিতে মুসলিমের সংখ্যা বেড়েছে। পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে যে, গত ১০ বছরে ৫০ হাজার জাপানি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে।
মুসলিমদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় জাপানে আরও বেশি মসজিদ, ইবাদতের স্থান এবং হালাল খাবারের দোকান স্থাপন করা হচ্ছে। রিটসুমেইকান এশিয়া-প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির (এপিইউ) একজন অধ্যাপক এবং বেপ্পু মুসলিম অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) প্রধান মুহাম্মদ তাহির আব্বাস খান বলেছেন, জাপানে এখন ১১০টি মসজিদ রয়েছে।
দিন দিন মসজিদের সংখ্যা বাড়লেও কবরের স্থান নিয়ে এখনও জাপানের মুসলিমদের উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। জাপানের প্রায় ৯৯ শতাংশ মানুষকে দাহ করা হয়। কিন্তু ইসলামে মৃতদেহ দাহ করা নিষেধ। এমতাবস্থায় এটা একটা সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। আব্বাস খান বলেন, যদি আজ আমার মৃত্যু হয়, তাহলে আমাকে দাফন করা হবে কিনা আমি জানি না।
তবে কবরস্থানের জন্য প্রায় এক দশক ধরে অর্থ উত্তোলন করছে বিএমএ। কিন্তু কবরের জন্য জায়গা নির্ধারণের পর স্থানীয়রা এর বিরোধিতা করেছে। তারা বলছে, কবরস্থান থাকলে তারা নিশ্চিতে পানি পান করতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, রুশ বিপ্লবের পর রাশিয়া থেকে কয়েকশ তুর্কি মুসলিম অভিবাসী ১৯২০-র দশকে জাপানে পাড়ি জমায়। ১৯৩০ সালে জাপানে বিভিন্ন দেশের এক হাজার মুসলিম ছিল।
পরবর্তীতে ১৯৮০-র দশকে ইরান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে অভিবাসী কর্মীরা জাপানে পাড়ি দিলে সেখানে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।