মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উন্নত জীবনের আশায় গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে আসছেন সাধারণ মানুষ। ফলে বয়স্ক মানুষের আধিক্যে ‘বুড়ো’ হয়ে যাচ্ছে গ্রামগুলি। এই সমস্যার সমাধান করতে নয়া উদ্যোগ নিতে চলেছে জাপানের সরকার। দেশের বড় শহরগুলি ছেড়ে গ্রামাঞ্চলে গিয়ে থাকলে বিপুল আর্থিক সাহায্য দেয়া হবে সরকারের তরফ থেকে। ইতিমধ্যেই একাধিক শহরের কর্পোরেশনকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। প্রত্যেক সন্তানের জন্য দশ লাখ ইয়েনের (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৮ লাখ টাকা) বিনিময়ে শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে কর্মক্ষম দম্পতিদের।
কোভিড মহামারীর ধাক্কায় জাপানের জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। মূলত উপার্জনের আশায় টোকিও, ওসাকার মতো বড় শহরে এসে বসবাস শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে, গ্রামে পড়ে রয়েছেন বয়স্করা। দেশের উন্নতিতে যথাযথ অবদান রাখতে পারছে না গ্রামগুলি। ভেঙে পড়ছে গ্রামীণ সমাজ ব্যবস্থাও। সবদিক বিবেচনা করেই জাপান সরকারের সিদ্ধান্ত, মানুষকে গ্রামে থাকার জন্য উৎসাহিত করতে হবে। তাই আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি একাধিক সুযোগসুবিধার ব্যবস্থাও করবে জাপান।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পে শামিল হয়েছে দেশের ১৩০০টি পৌরসভা। টোকিওর ২৩টি অঞ্চলে জনঘনত্ব খুবই বেশি, সেখান থেকেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। গ্রামীণ পরিবেশে জীবনযাপন করার কী কী সুবিধা রয়েছে, সেই বিষয়গুলি নানা ভাবে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে। কর্মরত দম্পতির সন্তানদের দেখাশোনা করার জন্য চাইল্ডকেয়ার সিস্টেম তৈরি হয়েছে। এমনকি গ্রামেই ‘বিবাহযোগ্য সুপাত্র’ পাওয়া যাবে বলেও প্রচার করছে জাপান সরকার। প্রশাসনের অনুমান, আগামী চার বছরের মধ্যে অন্তত দশ হাজার নাগরিক টোকিও ছেড়ে চলে যাবেন।
তবে এই প্রকল্পের জন্য একাধিক শর্তও আরোপ করেছে জাপানের সরকার। সাময়িকভাবে গ্রামে থাকলে আর্থিক সাহায্য নেয়া যাবে না। নিয়ম অনুযায়ী, গ্রামে গিয়ে কমপক্ষে পাঁচ বছর বসবাস করতেই হবে। গ্রামের মাটিতে নতুন ব্যবসা শুরু করতে হবে পরিবারের একজন সদস্যকে। ব্যবসা না হলেও যেকোনোও কাজে যোগ দিতে হবে পরিবারের সদস্যদের। সম্ভব হলে গ্রামে থেকেও শহরের পুরোন চাকরি বজায় রাখা যাবে। পাঁচ বছরের আগে যদি গ্রাম থেকে শহরে ফিরে আসে কোনও পরিবার, তাহলে আর্থিক সাহায্যের পুরো টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে সরকারকে। তবে জাপান প্রশাসনের অনুমান, এই প্রকল্পে যথেষ্ট সাড়া দেবে সাধারণ মানুষ। সূত্র: নিক্কেই এশিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।