মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের নিজস্ব উৎপাদিত ভারত বায়োটেকের করোনার টিকা কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষা চালাতে বাংলাদেশের কাছে আবেদন করা হয়েছে। বাংলাদেশের একজন ঊর্ধ্বতন চিকিৎসা গবেষণা কর্মকর্তা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিআরবি) ভারত বায়োটেকের পক্ষে বাংলাদেশ সরকারের কাছে এ আবেদন করে। তবে আইসিডিটিআরবি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ভারত বায়োটেকের মুখপাত্রও শীঘ্রই কিছু বলতে অপরগতা প্রকাশ করেন।
ইতোপূর্বে, ভারত বায়োটেক নামক সংস্থার তৈরি এ টিকাটি জরুরি প্রয়োগে অনুমোদন দিয়েছিল প্রতিবেশী দেশটির কর্তৃপক্ষ। এবার সংস্থাটি এদেশে ট্রায়াল চালানোর অনুমতি চেয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ওষুধ গবেষণা কর্তৃপক্ষের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
অনুমতি পেলে, এটি হবে বাংলাদেশে পরীক্ষার জন্য অনুমোদিত প্রথম কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন। এর ফলে ১৬ কোটির বেশি জনসংখ্যার দেশে টিকাপ্রাপ্তি দ্রুত নিশ্চিত করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
ভারতের সরকারি ওষুধ গবেষণা সংস্থা- ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ টিকাটি তৈরিতে সহায়তা দেয়। সর্বশেষ ট্রায়ালের তথ্য-উপাত্ত না পেলেও চলতি মাসে টিকাটি সীমিত আকারে প্রয়োগের অনুমোদন দেয় দেশটি। প্রাথমিক পরীক্ষার ফলাফলে অবশ্য এটি নিরাপদ এবং মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
এর আগে, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ টিকার শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল চালানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছিল চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক। কিন্তু, কোম্পানিটি বাংলাদেশকে যৌথ খরচে এ কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তাব দেয়, সরকার তা গ্রহণ না করায় ট্রায়াল বাতিল হয়ে যায়।
অন্যদিকে, ভারত বায়োটেক কেবলমাত্র গত বছরের নভেম্বরে নিজ দেশে সবশেষ ট্রায়াল শুরু করে। ভারতের একজন শীর্ষ টিকা বিষয়ক কর্মকর্তা বিনোদ কুমাল পল রয়টার্সকে বলেন, "বাংলাদেশে তুলনামূলকভাবে একটু ছোট আকারে ১০০০-১২০০ জনের মধ্যে ট্রায়াল চালানো যেতে পারে।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) ভারতের উপহার পাঠানো ২০ লাখ ডোজ অক্সফোর্ড/ অ্যাস্ট্রাজেনেকা আবিষ্কৃত কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করে বাংলাদেশ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদক ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউড অব ইন্ডিয়া- প্রতিষেধকটির প্রস্তুতকারক। ক্রয় করা চালান আসাও শুরু হবে অচিরেই।
তবে ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন টিকাটি কেনার কোনো পরিকল্পনা করেনি বাংলাদেশ। মার্চের আগে প্রতিষেধকটির সবশেষ ট্রায়ালের বিশ্লেষিত তথ্যও পাওয়া যাবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত একমাত্র দেশ হিসেবে ব্রাজিলই কোভ্যাক্সিন টিকা ভারতের কাছ থেকে কেনার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছে। এছাড়া কোম্পানিটি ফিলিপাইনে জরুরি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে বৃহস্পতিবার আবেদন জমা দিয়েছে। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।