Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গুরুতর ক্ষেত্রে করোনার প্রভাব দীর্ঘায়িত হতে পারে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০২১, ৬:৪১ পিএম

চীনের উহান শহরেই প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারপরে এক বছরেরও বেশি সময় পার হয়ে গিয়েছে। তবে এ ভাইরাস সম্বন্ধে এখনও অনেক কিছুই অজানা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে করোনার প্রভাব আক্রান্তের শরীরে কেবল এক বা দুই সপ্তাহ স্থায়ী হয়। অনেকের ক্ষেত্রে সংক্রমণের কয়েক সপ্তাহ বা এমনকি কয়েক মাস পরেও এর প্রভাব থেকে যায়।

ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় আক্রান্তের শরীরে কোভিড-১৯-এর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা গেছে। গবেষণাটি ২০২০ সালের জানুয়ারী থেকে মার্চের মধ্যে উহান হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১ হাজার ৭৩৩ জন রোগীর উপরে করা হয়। সেখানে দেখা গেছে, ৭৬ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ছয় মাস পরেও তার প্রভাব রয়ে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে ক্লান্তি এবং পেশীর দুর্বলতা। ৬৩ শতাংশ রোগীর মধ্যে এই প্রভাব দেখা গেছে। অন্যান্য প্রভাবের মধ্যে রয়েছে ঘুমের ব্যাঘাত (২৫ শতাংশ), চুল পড়া (১০ শতাংশ) এবং ঘ্রাণশক্তি লোপ (১০ শতাংশ)। উদ্বেগ ও হতাশা জনিত সমস্যার কথাও বলেছেন রোগীরা। হাসপাতালে যারা সবচেয়ে অসুস্থ ছিলেন, তাদের মধ্যে ফুসফুসে সমস্যাজনিত লক্ষণও দেখা গেছে। তাদের বুকের এক্স-রে করে অস্বাভাবিকতা সনাক্ত হয়েছে, যার ফলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। করোনায় আক্রান্ত বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে দুর্বলতা বাড়ে। গবেষণায় অংশ নেয়া রোগীদের গড় বয়স ছিল ৫৭। যার অর্থ তাদের মধ্যে অর্ধেকই ছিলেন কর্মক্ষম ব্যক্তি।

গবেষকরা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া রোগীদের মধ্যে কোভিড-১৯ এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব সম্পর্কে সবচেয়ে বড় গবেষণা এটি। তারা পরামর্শ দেন, এই জাতীয় রোগীদের বিশেষায়িত যত্নের প্রয়োজন হতে পারে। সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ