বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিতব্য লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌরসভা নির্বাচনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মেয়র পদে ইচ্ছুক প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র উত্তোলনের সময় বিভিন্ন নামে বাড়তি অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রামগতি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী হেকমত আলীর বিরুদ্ধে। রামগতি উপজেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্র উত্তোলনকারী কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী নাম প্রকাশ না করা শর্তে এমন অভিযোগ করেন।চতুর্থ দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে রামগতি পৌরসভায়। এ নির্বাচনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে আগ্রহী হয়ে মনোনয়ন পত্র তুলতে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেন উপজেলা এই নির্বাচন কর্মকর্তা।নির্বাচন কমিশনের বিধি মোতাবেক প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত মনোনয়ন পত্রের ফি বাবদ কাউন্সিলর পদে ৫ হাজার টাকা ও সিডি নেওয়ার জন্য ৫শ’ টাকা এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদের জন্য মনোনয়ন পত্রের ফি বাবদ ৫ হাজার ও সিডি বাবদ ১ হাজার ৫শ’ টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে পরিশোধ করে সেই চালানের কপি জমা দিয়ে সকল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে রামগতি উপজেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে গেলে বাড়তি এ টাকা হাতিয়ে নেন তারা।বাধ্য হয়ে প্রার্থীরা অতিরিক্ত এ টাকা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসে জমা দিয়ে ফরম সংগ্রহ করতে হয়েছে।কিন্তু সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এই টাকার বিপরিতে কোন রশিদ বা ডকুমেন্টস দেওয়া হয়নি।এতে পুরুষ কাউন্সিলর পদে অতিরিক্ত ২ হাজার,সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩ হাজার ও মেয়র পদে ৫ হাজার টাকা জোর করে আদায় করছে উপজেলা নির্বাচন অফিস।যার কোনও চালান বা রশিদ দেওয়া হয়নি।রশিদ ছাড়া এই টাকা কেন বা কি কারণে নেওয়া হয়েছে তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি রামগতি উপজেলা নির্বাচন অফিসের এই কর্মকর্তা।এবারের রামগতি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র মিলে ৬ জন,পুরুষ কাউন্সিলর পদে ৩৮ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করে গত কাল রবিবার উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দেন।মনোনয়ন পত্র গ্রহণকারী সম্ভাব্য প্রার্থীদের এমন অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিযুক্ত রামগতি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী হেকমত আলী তার দফতরে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়টিকে তিনি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, কারও কাছ থেকে কোনও প্রকার বাড়তি অর্থ নেওয়া হয়নি। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই দাবি করে ফোন কেটে দেন তিনি।রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মোমিন বলেন বিষয়টি নিয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।এখনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী নির্বাচন কমিশন চতুর্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের জন্য যে তফসিল ঘোষণা করেছে তাতে রামগতি পৌরসভা রয়েছে। এ পৌরসভায় আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।