১৭ জানুয়ারি (রোববার) মধ্যরাতে থানায় হাজির হয়ে জিডি করেছেন তৌসিফ। জিডির নম্বর ৮৬৮। জিডিতে তৌসিফ উল্লেখ করেন, তার নামে শামসুন্নাহার কনা (৩৬) নামের গৃহিণী যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অভিনেতার মান সম্মান ক্ষুণ্ণ করে, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ওই জিডি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য তৌসিফ মাহবুব তার নাটকের অভিনেত্রী বানাবেন এমন প্রলোভনে বিভিন্ন সময়ে শামসুন্নাহার কনা নামের এক নারীর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়েছেন। এমন অভিযোগ এনে শনিবার রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় জিডি করেন সেই নারী। এরপর সেই নারী দাবি করেন, তৌসিফ বিভিন্ন সময়ে টাকা নেওয়ার পর তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
সেই অভিযোগকে সরাসরি অস্বীকার করেছেন অভিনেতা তৌসিফ। সেই নারীর অভিযোগ মিথ্যা উল্লেখ করে এবার তার বিরুদ্ধে ধানমণ্ডি মডেল থানায় পাল্টা জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করলেন তৌসিফ।
সাধারণ ডায়েরি প্রসঙ্গে তৌসিফ বলেন, আমি মানসিকভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছি। আমার মানহানি হয়েছে। এ দায়ভার কে নিবে? আমার আইডি ভেরিফায়েড করা। কেউ যদি ভুল জায়গায় গিয়ে প্রতারণার শিকার হয় সেটার দায়ভার আমার না। আমি সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। আমি ওই নারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।
শামসুন্নাহর কনা তার জিডিতে উল্লেখ করেছিলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে তৌসিফের সঙ্গে ১৮ মাস আগে পরিচয় হয় তার। তারপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা নিয়েছেন তৌসিফ। টাকা নেওয়ার পর তৌসিফ তার সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করেননি। তার ব্যবহৃত সব নম্বর বন্ধ করে দেন।