মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আগামী ২০ জানুয়ারি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জায়গায় নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন জো বাইডেন। আর চেয়ারে বসেই প্রথম দশদিনে ট্রাম্পের নেয়া বেশ কিছু সিদ্ধান্ত বাতিল করবেন তিনি। বাতিলের তালিকায় যে বিষয়গুলো রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, সাতটি ইসলামিক রাষ্ট্র থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেটি। এছাড়া প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে ট্রাম্পের সরে আসার সিদ্ধান্তও বাতিল করা হবে। বাইডেন ফের একবার এই চুক্তিতে আমেরিকাকে অন্তর্ভুক্ত করবেন।
ইতিমধ্যে প্রথম দশ দিনে বাইডেনের কর্মসূচির সমস্ত পরিকল্পনাও তৈরি করা হয়েছে। শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন তার চিফ অব স্টাফ রন ক্লেইন। এ প্রসঙ্গে ক্লেইন সাংবাদিকদের জানান, ‘আমাদের প্রথমেই চারটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে- করোনা সংকট, তার কারণে তৈরি হওয়া অর্থনৈতিক মন্দা, জলবায়ু সংকট এবং জাতিবিদ্বেষ মূলক নানান সমস্যা। আর এগুলোর দ্রুতই সমাধান প্রয়োজন। হোয়াইট হাউসে প্রথম দশদিনে নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সমস্যগুলো সমাধান করবেন, যাতে ফের একবার আমেরিকা বিশ্বে তার পুরনো স্থান ফিরে পায়।’ এর আগে, ২০১৭ সালের জুন মাসে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলেছিলেন, এই চুক্তিতে আমেরিকার কোনও উপকার হচ্ছে না। উল্টো চীন-ভারতের মতো দেশ লাভবান হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ওই বছরই ইরান, ইরাক, সোমালিয়া, সিরিয়া, সুদান, লিবিয়া এবং ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করেন ট্রাম্প। যা নিয়ে তীব্র বিতর্কও দেখা দিয়েছিল। আর ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তগুলোই বাতিল করবেন বাইডেন। এছাড়া প্রথম দশদিনেই মার্কিন জনগণকে স্বস্তি দিতে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। তার মধ্যে রয়েছে করোনা মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ। এছাড়া রয়েছে স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত খোলা, স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও উন্নত করা, করোনা টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এমনটাই জানিয়েছেন চিফ অব স্টাফ রন ক্লেইন। তবে এইচওয়ানবি ভিসা নিয়ে বাইডেন কি সিদ্ধান্ত নেন, সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানানো হয়নি ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে।
এদিকে, আগামী বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানের আগে দেশজুড়ে সশস্ত্র প্রতিবাদ হতে পারে এই আশঙ্কা থেকে দেশজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) সতর্ক করে জানিয়েছে, দেশটির ৫০টি রাজ্যের প্রতিটি ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকরা সশস্ত্র মিছিল বের করতে পারে। এ কারণে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার ন্যাশনাল মল বন্ধ করা হয়েছে। ক্যাপিটলের রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়া হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার ভার্জিনিয়ার এক ব্যক্তিকে দুটি অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ৫০৯টি অনিবন্ধিত গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ক্যাপিটল সংলগ্ন পুলিশ চেকপোস্ট অতিক্রমকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মেরিল্যান্ড, নিউ মেক্সিকো ও উটাহ রাজ্যের গভর্নররা জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। ক্যালিফোর্নিয়া, পেনসিলভেইনিয়া, মিশিগান, ভার্জিনিয়া, ওয়াশিংটন ও উইসকনসিনসহ অনেক রাজ্যে পরিস্থিতি মোকাবেলায় ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের মোতায়েন করছে। টেক্সাস শনিবার থেকে বাইডেনের অভিষেক পর পর্যন্ত রাজ্য ক্যাপিটল বন্ধ রাখছে। টেক্সাসের জননিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক বলেছেন, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ‘সহিংস উগ্রপন্থিরা’ ঢুকে যেতে পারে বলে গোয়েন্দারা মনে করছেন। ভার্জিনিয়ার গভর্নর রালফ নরথাম বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘মনে খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে আপনি যদি এখানে আসার বা ওয়াশিংটনে যাওয়ার চিন্তা করেন তাহলে এখনই তা বাদ দিয়ে ঘরে ফেরেন। আপনাকে এখানে স্বাগত জানানো হবে না এবং আপনাকে আমাদের দেশের রাজধানীতেও স্বাগত জানানো হবে না। আপনি যদি এখানে চলেই আসেন এবং আপনার কাজ করেন, তাহলে তা মোকাবেলায় ভার্জিনিয়া প্রস্তুত।’ সূত্র : বিবিসি, দ্য ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।