রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ধামরাই প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সাংবাদিক জুলহাস উদ্দিনকে প্রকাশ্যে গলাকেটে হত্যা করার ঘটনায় জড়িত আনিসুর রহমান নামের এক আসামিকে গত শনিবার রাতে গ্রেফতারর করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কামাল হোসেন তাকে গ্রেফতারর করেন। গতকাল রোববার দুপুরে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামি শাহীন ও তার খালাতো ভাই মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের দফতর সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বর্তমানে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক জুলহাস উদ্দিন মানিকগঞ্জ থেকে যাত্রীবাহী বাসে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বারবাড়িয়া বাস স্ট্যান্ডে দুপুর আড়াইটার দিকে নামেন। ওই সময় একই বাস থেকে নামেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী সোমার প্রথম স্বামী কিলার শাহীন ও তার খালাতো ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন। বাস থেকে নেমেই তারা সাংবাদিক জুলহাস উদ্দিনের গলায় ছুরিকাঘাত করেন। জুলহাস মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা জুলহাসের বুকের ওপর ওঠে পেটে ও বুকে ছুরিকাঘাত করেন।
স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিয়ে তাদের দুজনকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করে।
এ ঘটনায় জুলহাসের বোন বাদি হয়ে ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় প্রধান আসামি করা হয় শাহীনকে। অন্য আসামিরা হলেন, জুলহাস উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোমার ভাই আনিসুর রহমান আনিস, ভগ্নিপতি মামুন হোসেন ও তার ভাই আবদুল মালেকসহ অজ্ঞাত চারজন।
নিহত জুলহাস উদ্দিন ধামরাই প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি ও বেসরকারি টেলিভিশন বিজয় টিভির ধামরাই প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি ধামরাই উপজেলার দক্ষিণ হাতকোড়া গ্রামের মৃত রহিজ উদ্দিনের ছেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।