মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের দেশীয় প্রতিষ্ঠান ‘ভারত বায়োটেকে’র উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা কোভ্যাক্সিন টিকা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন দেশটির চিকিৎসকদের একাংশ। দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বলছেন, এই টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শেষ না হওয়ায় তারা এটি গ্রহণ করতে অনাগ্রহী। এর পরিবর্তে ভারতে অনুমোদন পাওয়া অপর টিকা কোভিশিল্ড গ্রহণ করতে চান তারা। এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসকরা। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গতকাল শনিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে ভারত। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। টিকাদান কর্মসূচিতে দুইটি কোম্পানির টিকা সরবরাহ করছে দেশটি। এগুলো হচ্ছে সেরাম ইনস্টিটিউট কর্তৃক উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন।
চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষা অতিক্রম করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড ভারতের পাশাপাশি ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন পেয়েছে। এই টিকাটি গণহারে তৈরি করছে পুনের সেরাম ইন্সটিটিউট। তবে কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চলমান থাকলেও এর ফলাফল এখনো প্রকাশ হয়নি। তার আগেই ভারতীয় নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন পেয়েছে টিকাটি। এ নিয়ে ভারতে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
এদিকে ভারতীয় হাসপাতালগুলোর আবাসিক চিকিৎসকদের অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্মলা মহাপাত্র জানিয়েছেন, দেশজুড়ে শুরু হওয়া টিকাদান কর্মসূচিতে টিকা নিতে আগ্রহীদের তালিকায় বহু চিকিৎসক নাম দেননি।
তিনি বলেন, ‘কোভ্যাক্সিন নিয়ে আমাদের সংশয় আছে। পরীক্ষা এখনো শেষ হয়নি। কোভ্যাক্সিনের চেয়ে আমরা কোভিশিল্ডকে বেশি পছন্দ করছি।’
কোভ্যাক্সিন অনুমোদনের সময় ভারত সরকার জানায় কেবল জরুরি ব্যবহারের জন্যই টিকাটি প্রয়োগ করা হবে। তবে টিকাদান কর্মসূচির শুরুতে এর গ্রহীতা দুটি টিকা থেকে পছন্দ অনুযায়ী বেছে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। কেবল দিল্লিতেই কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত ছয়টি সরকারি কেন্দ্রে কোভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হচ্ছে। অপরদিকে রাজ্য সরকার এবং বেসরকারি স্থাপনাসহ ৭৫টি কেন্দ্রে প্রয়োগ হচ্ছে কোভিশিল্ড।
চিকিৎসকদের আগ্রহের প্রতি ইঙ্গিত করে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেছেন, ‘এগুলোর মতো সাধারণ ইস্যুতে আমরা নজর দিচ্ছি না। মানুষের গুজবে বিশ্বাস করা উচিত হবে না। এসব টিকা তৈরি করতে প্রচুর কাজ করতে হয়েছে।’ পছন্দ অনুযায়ী টিকা নেয়ার সুযোগ নেই বলে জানান তিনি। সূত্র : এনডিটিভি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।