বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকার ধামরাই প্রেসক্লাবের সহসভাপতি সাংবাদিক জুলহাস উদ্দিনকে প্রকাশ্যে গলা কেটে হত্যা করার ঘটনায় জড়িত আনিসুর রহমান নামের এক আসামিকে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার পুলিশ পরিদর্শক কামাল হোসেন তাকে গ্রেপ্তার করেন। দীর্ঘ চার মাস পর পলাতক থাকার পর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এ আসামী আনিস।
আজ রবিবার দুপুরের দিকে ৫দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ মামলার প্রধান আসামি শাহীন ও তাঁর খালাতো ভাই মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বর্তমানে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
আনিসকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগরে দুরপাল্লা যাত্রীবাহী পরিবহনের বিভিন্ন ধরণের বাস কাউন্টারের সামনে থেকে আনিসুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, অবস্থান পরিবর্তনের জন্য সম্ভবত কোথাও যাওয়ার উদ্দেশ্যে দুরপাল্লা যাত্রীবাহী বাস কাউন্টারে গিয়েছিলেন আনিস। তিনি আরো বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক জুলহাস উদ্দিন মানিকগঞ্জ থেকে যাত্রীবাহী বাসে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বারবাড়িয়া বাস স্ট্যান্ডে দুপুর আড়াইটার দিকে নামেন। ওই সময় একই বাস থেকে নামেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সোমার প্রথম স্বামী কিলার শাহীন ও তার খালাতো ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন। বাস থেকে নেমেই তাঁরা সাংবাদিক জুলহাস উদ্দিনের গলায় ছুরিকাঘাত করেন। জুলহাস মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁরা জুলহাসের বুকের ওপর উঠে পেটে ও বুকে ছুরিকাঘাত করেন। স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিয়ে তাদের দুজনকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করে।
এ ঘটনায় জুলহাসের বোন বাদি হয়ে ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় প্রধান আসামি করা হয় শাহীনকে। অন্য আসামিরা হলেন- জুলহাস উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোমার ভাই আনিসুর রহমান আনিস, ভগ্নিপতি মামুন হোসেন ও তার ভাই আবদুল মালেকসহ অজ্ঞাত চারজন।
নিহত জুলহাস উদ্দিন ধামরাই প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি ও বেসরকারি টেলিভিশন বিজয় টিভির ধামরাই প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি ধামরাই উপজেলার দক্ষিণ হাতকোড়া গ্রামের মৃত রহিজ উদ্দিনের ছেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।