চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন: আল্লাহ সুদকে চিহ্নিত করেন এবং সাদাকাকে বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ তা‘আলা কোনো পাপী কাফিরকে ভালবাসেন না। তিনি আরও বলেন: হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যিই যদি মুমিন হয়ে থাক তবে সুদের বকেয়া ছেড়ে দাও। সুদে কোন সময়ই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয় না, আল্লাহ বলেন: মানুষের ধনে বৃদ্ধি পাবে বলে তোমরা যে সুদ দিয়ে থাকে আল্লাহর দৃষ্টিতে তা ধন সম্পদ বৃদ্ধি করে না। কিন্তু আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য যে যাকাত তোমরা দিয়ে থাক তাই বৃদ্ধি পায়।
অন্যের সম্পদে আত্মসাৎ নিষিদ্ধ: ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় কারও জন্যে অন্যের সম্পদ আত্মসাৎকে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় হারাম করা হয়েছে। কেউ কারো সম্পদ অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ না করলে সম্পদের নিরাপত্তা ও বিঘ্নিত হয় না, ফলে তা গাণিতিক হারে প্রবৃদ্ধি পায়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: মুমিনগণ! তোমরা অন্যায়ভাবে এক অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।
সম্পদে ব্যক্তিমালিকানার স্বীকৃতি: যেকোন ব্যক্তি হালান পথে সম্পদ উপার্জন করে তার মালিক হতে পারে এবং স্বাধীনভাবে সে সম্পদ ভোগ করতে পারে। আল্লাহা তা‘আলা বলেন: পুরুষ যা অর্জন করবে সে তা থেকে অংশ পাবে এবং নারী যা অর্জন করবে সে তা থেকে অংশ নেবে।
অংশীদারিত্ব মূলক উন্নয়ন ঃ জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অংশীদারিত্ব বাস্তবায়নের উপায়গুলো আরো কার্যকর করা এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব পুনর্জাগরিত করার ব্যাপারে উৎসাহিত করেছে। বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যেসব ব্যক্তি ও সংস্থা অনেকদিন ধরে কাজ করছে তাদেরকে সম্পৃক্ত করা উচিত, কারণ তাদের অভিজ্ঞতা ও সহায়তা এ কাজে আবশ্যক। ইসলাম ও জ্ঞানীজন থেকে পরামর্শ গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করে। আল্লাহ বলেন: যদি তোমরা না জান তাবে জ্ঞানীদের থেকে জেনে নাও।
পারস্পরিক সম্প্রীতি প্রতিষ্টা ও সংরক্ষন: ইসলামে মানুষের অন্যতম কারণ প্রধান সামাজিক দায়িত্ব হলো মানুষের মধ্যে সৌহার্দ ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা এবং পারস্পপরিক সুসম্পর্ক সংরক্ষনে বিস্তারিত ব্যবস্থা গ্রহন করা। সমাজে মানুষের মধ্যে ইসলামী ভ্রাতৃত্ব পারস্পরিক সৌহাদী ও সম্প্রীতি স্থাপনের অনুপ্রেরণা যোগায়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: মুমিনগণ পাস্পর ভাই-ভাই।
অধীনস্তদের সাথে সদাচরণ করা: অধীনস্ত কর্মচারী, দাস দাসীরা সাধারণত মানুষের মতোই মানুষ। তাদেরকে মর্যাাদা দেয়া, তাদের সাথে সুন্দর আচরণ করা মানুষের অন্যতম দায়িত্ব। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: মাতা পিতা, আত্মীয় স্বজন, ইয়াতীম, এবং নিকট প্রতিবেশী, দূর প্রতিবেশী, সঙ্গী সাথী, মুসাফির ও তোমাদের অধিকারভূক্ত দাস দাসীদের প্রতি সদ্বব্যবহার করবে। অংশীদারিত্বমূলক উন্নয়নে কর্মীর প্রতি সদাচার এর কোন বিকল্প নেই।
কল্যাণকর কাজে অংশীদারিত্ব: ইসলাম সব কাজে অংশীদারিত্বকে সমর্থন করে না। টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে কল্যাণকর কাজে অংশীদারিত্ব ইসলামে স্বীকৃত। বরং এসব কাজে পরস্পরের সহযোগিতাই কাম্য আল্লাহ বলেন: তোমরা তাকওয়া ও পুণ্যের কাজে পরস্পর সহযোগিতা কর এবং পাপ ও সীমালঙ্গনে পরস্পর সহযোগিতা করো না।
মানব সম্পদ উন্নয়ন ঃ মানব সম্পদ উন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশের জনগোষ্ঠী একটি বিশাল সম্পদে পরিণত হতে পারে। মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে একটি মানবগোষ্ঠীর সুপ্ত প্রতিভা, প্রচ্ছন্ন শক্তি, লুকায়িত সামর্থ্য, যোগ্যতার প্রসার ঘটে। মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের আশা আকাঙ্খা পূর্ণ হয়। জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন সহ দারিদ্র নিরসন ও টেকসই অথ্যনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে একটি শিক্ষিত সুপ্রশিক্ষিত ও স্বাস্থ্যবান জনগোষ্ঠী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।