Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডিজিটালে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা

মো. আখতার হোসেন আজাদ | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্ব এবং সর্বক্ষেত্রে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সর্বাত্মক ব্যবহার সুনিশ্চিতকরণ বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে আরো বেগবান করেছে।

ডিজিটাল শব্দটি ব্যাপক অর্থে বিস্তৃত। একটি দেশ তখনই ডিজিটাল দেশে পরিণত হয় যখন তা ই-স্টেটে রূপান্তরিত হয়। অর্থাৎ সরকার ব্যবস্থা, শাসন ব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষিসহ সকল কার্যক্রম কম্পিউটার ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রের প্রায় প্রতিটি কাঠামোতেই ডিজিটালাইজের ছোঁয়া লাগাতে সক্ষম হয়েছে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর নির্বাচনী ইশতেহার ‘দিনবদলের সনদ’-এর অংশ হিসেবে ২০২১ সালের মধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন থেকেই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ধারণার উদ্ভব হয়েছিল।

বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, রাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি অধিদপ্তর ও প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণরূপে ডিজিটালাইজ করা হয়েছে। এতে মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। আর্থিক ও সময়ের অপচয় অনেকাংশে কমে গেছে। গ্রাম থেকে একজন মানুষ সহজেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা দপ্তরের বিভিন্ন সেবা নিতে পারেন খুব সহজেই। অগ্রগতির কিছু চিত্র এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে।

শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত বেশি উন্নত। তাই সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রথমেই শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগসহ আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। শ্রেণীকক্ষে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের মাধ্যমে পাঠদান পদ্ধতিকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠ্যবই বা দুষ্প্রাপ্য যেকোন বই ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজেই হাতের মুঠোয় পাচ্ছে। এছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদন, ভর্তির কার্যক্রম, বার্ষিক ফলাফল প্রকাশ সকল কিছুই অনলাইন পদ্ধতিতে সম্পন্ন হচ্ছে। আবার কোন শিক্ষার্থী যেন ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিপথে না পা বাড়ায়, সেজন্য সেইফ ইন্টারনেট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা আধুনিক বিশ্বের ঘটে যাওয়া সকল তথ্য সম্পর্কে অবগত হচ্ছে। বলা হয়ে থাকে, আগামী বিশ্বে জ্ঞানের যুদ্ধ সংঘটিত হবে। সরকারের ডিজিটাল শিক্ষাবান্ধব প্রকল্পের ফলে শিক্ষার্থীরা সেই যুদ্ধের দক্ষ সৈনিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলছে।

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের ফলে কৃষিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। বিজ্ঞানের বদৌলতে উদ্ভাবিত হয়েছে উন্নত জাতের বীজ, পরিবেশবান্ধব সার ও উচ্চফলনশীল প্রজাতির শস্য। অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাও উদ্ভাবিত হয়েছে। আবার অ্যাপসের মাধ্যমে ছবি তুলেই সরাসরি ফসলের রোগ সম্পর্কে জানার পদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে। চাষাবাদ বা কৃষি সম্পর্কিত কোন তথ্যের প্রয়োজন হলেই কৃষি কল সেন্টারের নাম্বারে (১৬১২৩) কল দিলেই সহজেই তথ্য পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশের কৃষকসমাজ অধিকাংশ নিরক্ষর হওয়ার কারণে সবকিছুর সফল ব্যবহার করতে পারছে না। তাই কৃষকদের যথার্থ প্রশিক্ষণ দিয়ে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে পারলে আরো অধিক সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

চিকিৎসা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারগুলোর একটি। আধুনিক বিজ্ঞান চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছে। বিভিন্ন জটিল রোগের ঔষধ ও চিকিৎসাপদ্ধতি উদ্ভাবনের ফলে মানুষের জীবনে স্বস্তি নেমেছে। আধুনিক বিশ্বের সাথে বাংলাদেশও চিকিৎসাক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে টেলিমেডিসিন ব্যবস্থায় ঘরে বসেই চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

বাংলাদেশের অধিকাংশ অফিস-আদালতে কাজের গতি অত্যন্ত মন্থর এবং সর্বক্ষেত্রে ওঁৎ পেতে আছে দুর্নীতির কালো থাবা। অফিসগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের আওতায় এনে একস্থানে বসেই প্রশাসনকে গতিশীল, কর্মমুখী ও দুর্নীতিমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও সেবা পেতে কোন অনিয়ম, ঘুষ বা আর্থিক লেনদেনের প্রস্তাব পেলে দুদক কর্তৃক হটলাইন ১০৬ নাম্বারে যেকোন সাধারণ নাগরিক অভিযোগ করতে পারেন।

নিরাপত্তা সর্বক্ষেত্রেই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে জাতির কোন নিরাপত্তা নেই, সে জাতি কখনোই উন্নতির পথে ধাবিত হতে পারে না। এক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও ইন্টারনেটের সাথে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সংযোগ সাধন করে নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও আবাসিক এলাকাসমূহের সার্বিক নিশ্চিতরণে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। কেননা, দুষ্কৃতিকারীরা কোন অঘটন ঘটিয়ে সাময়িকভাবে পালিয়ে গেলেও পরবর্তীকালে ক্যামেরার বদৌলতে ধরা পড়তে বাধ্য। এর জন্য যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হয়, তবে অন্যরাও এ কাজ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেবে। নিশ্চিত হবে জাতির নিরাপত্তা।

প্রকাশনার ক্ষেত্রে অনেক আগেই কম্পিউটার সিস্টেম চালু হয়েছে আমাদের দেশে। আগে যে বইটি ছেপে বের হতে দু’মাস সময় লাগত, বর্তমানে তা দু’দিনেই সম্ভব। বাংলাদেশের কোন বাংলা বই বিদেশ থেকে প্রকাশ করতে চাইলে এখন তা মুহূর্তেই সম্ভব হচ্ছে। সবকিছু চূড়ান্ত করে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সফটকপি ই-মেইলের মাধ্যমে নির্ধারিত দেশে পাঠিয়ে দেওয়া যায় এবং সে দেশের কোন বই এ পদ্ধতিতে নিয়ে এসে আমাদের দেশে দ্রুত গতিতে প্রকাশ করা যাচ্ছে।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে একটি সংবাদপত্র একই সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রকাশিত হতে পারে। তাই এখন কোনো কোনো কর্তৃপক্ষকে ঢাকা থেকে যানবাহনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী বা সিলেটে পত্রিকা পাঠাতে হচ্ছে না। আবার বিদেশি পত্রিকাগুলো আমরা পড়তে পারছি ইন্টারনেটের মাধ্যমে। অনেক আগের পত্রিকাও খুঁজে বের করে নেওয়া যাচ্ছে ওয়েবসাইট থেকে।
বিনোদনের ক্ষেত্রে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। খেলাধুলা, সিনেমা ইত্যাদি থেকে শুরু করে নানা ধরনের আনন্দ উপভোগ করা যাচ্ছে কম্পিউটারের মাধ্যমে। খেলা যাচ্ছে নানা ধরনের গেমস। ইন্টারনেটের সাহায্যে অন্য কোন দেশে চলমান খেলার ফলাফল মুহূর্তের মধ্যেই জানা যাচ্ছে।

কম্পিউটার সিস্টেম ব্যাংক ব্যবস্থাকে গতিশীল করে তুলেছে। অধিকাংশ ব্যাংকে চালু হয়েছে অনলাইন সিস্টেম। এখন আর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বা দূর-দূরান্তের যেকোন জেলায় নগদ টাকা বহন করে নিয়ে যেতে হয় না। কম্পিউটারের সাহায্যে অনলাইন ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে তা সমাধা করা যায় ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে। একজনের হিসাব থেকে অন্য কারও হিসেবে মুহূর্তের মধ্যে টাকা পাঠানো যায়। সকল ব্যাংকে এ ব্যবস্থা প্রবর্তিত হলে গড়ে উঠবে ডিজিটাল বাংলাদেশ। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি তথ্যসেবা জনসাধারণের দোর-গোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব অনলাইন তথ্যকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে। এসব তথ্যকেন্দ্র থেকে মানুষ বিভিন্ন ডাটা বা তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে। জানতে পারবে সর্বশেষ প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থা ও অবস্থান। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন প্রতিটি উপজেলায় সার্ভার স্টেশন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এ সার্ভার স্টেশন চালু হলে ভোটাররা তাদের নিজ উপজেলায় বসে নতুন ভোটার হওয়া, ভুল সংশোধন, পরিবর্তনসহ যাবতীয় তথ্য হালনাগাদ করতে পারবে। অন্যান্য সেক্টরেও এ ধরনের সার্ভার স্টেশন চালু হলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে ওঠার স্বপ্ন বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হবে। বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এটি বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছে। নিজস্ব স্যাটেলাইট থাকায় বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস ও সেই সাথে স্যাটেলাইটের ভাড়া থেকে আয় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করবে। এছাড়াও সরকারি কাজে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে অনলাইন টেন্ডার পদ্ধতি, বিভিন্ন স্থানে হাইটেক পার্ক নির্মাণ, আইসিটি টাস্কফোর্স গঠন, আইটি শিল্পের বিকাশ ১০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন, দেশের বিভিন্ন স্থানে হাইটেক পার্ক, আইসিটি ইনকিউবেটর এবং কম্পিউটার ভিলেজ স্থাপন বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে সমৃদ্ধ করেছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ উন্নয়নের একটি চলমান প্রক্রিয়া। একটি নির্দিষ্ট সময়ে ও একটি নির্দিষ্ট বাজেটে কাজটি করা সম্ভব নয়। পরিপূর্ণ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও ইন্টারনেট ব্যবহারে পরিপূর্ণ দক্ষ হয়ে গড়ে উঠতে ইংরেজি জানা আবশ্যক। আবার সরকারি কর্মচারীরা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রত্যাশানুযায়ী পারদর্শী নন। আজও সরকারি ব্যাংকগুলো ও উল্লেখযোগ্য বৃহৎ সংখ্যক সরকারি প্রতিষ্ঠানে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়া লাগেনি। পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করতে হলে আমাদের উন্নয়নের একটি বিজ্ঞানসম্মত নকশা তৈরি করতে হবে। এ স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে প্রথমেই ‘e-readiness’ প্ল্যান তৈরি করে তথ্যপ্রযুক্তিতে পারদর্শী মানবশক্তি তৈরি করতে হবে। ইন্টারনেট কাঠামোর উন্নয়ন ও ইন্টারনেটের ব্যয় সাধারণের সীমার মধ্যে এনে সকল জনগণের জন্যে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং সর্বোপরি সরকারি, আধা-সরকারি ও বেসরকারি কাজে ইন্টারনেটের ব্যবহার করে স্বচ্ছতা আনা ইত্যাদি বাংলাদেশকে ডিজিটালায়নে সহযোগিতা করবে। বাংলাদেশ ৩-জি প্রযুক্তির পরে ৪-জিতে পৌঁছিয়েছে। এমনকি ৫জি প্রযুক্তির পরীক্ষাও করা হয়েছে। মোবাইল প্রযুক্তিকে আরও সুরক্ষিত করতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধিত হচ্ছে। কাগজের সিম নিবন্ধন ডিজিটাল হয়েছে। এরই মাঝে ৫ হাজার ৭৩৭টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার এবং ৮২০০ ডিজিটাল ডাক কেন্দ্রের মাধ্যমে তৃণমূলের জনগণকে অন্তত ৩০০ ধরনের ডিজিটাল সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এই সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। দেশের ৩৮০০ ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত অপটিকেল ফাইবার স¤প্রসারণ করা হয়েছে। আরও ৭৩৬টি ইউনিয়নকে ফাইবার অপটিক্স নেটওয়ার্কে যুক্ত করার প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এছাড়াও পাহাড়, হাওড়, দ্বীপ ও ছিটমহল এলাকাকেও ফাইবার অপটিক্স নেটওয়ার্কে আনার চেষ্টা চলছে। ৪০টি দ্বীপ এলাকা স্যাটেলাইটের আওতায় ডিজিটাল সংযুক্তি পেতে যাচ্ছে। দেশে মোবাইল সিম গ্রাহক ১৬ কোটির বেশি। ইন্টারনেট গ্রাহক ১১ কোটি ১১ লক্ষ। ২৫ হাজার ওয়েবসাইট নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম ওয়েব পোর্টাল ‘তথ্য বাতায়ন’ চালু করা হয়েছে যা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত ও পুরস্কৃত হয়েছে। সারাদেশে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের পাশাপাশি স্মার্টকার্ড প্রদান করা হচ্ছে। মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ও ই-পাসপোর্ট চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশে তৈরি ল্যাপটপ নেপাল, আমেরিকা, নাইজেরিয়া ও ফিজিতে রফতানি হয়েছে।

পরিপূর্ণ ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে আরো গতিশীল করবে এবং দেশের সার্বিক জনজীবনে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। মানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়বে এবং আর্থিক ও সময়ের অপচয় কমবে। তবে সার্বিকভাবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও গ্রামাঞ্চলকে সামনে রেখে সকল স্তরে ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
লেখক: শিক্ষার্থী, লোক প্রশাসন বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডিজিটাল

১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন