Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরিষাবাড়ীতে অসময়ে বিদ্যুতের সেচ সংযোগ

জোনাল অফিস জানেনা কার সংযোগ কে পেল

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০২১, ৬:৩১ পিএম

সরিষাবাড়ী পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের ডিজিএম তার নিয়ন্ত্রণাধীন আওতাভুক্ত একটি সেচ সংযোগ স্থাপন হলেও তিনি জানেনা না ঐ সংযোগটি কে দিল বা সেটি কার সংযোগ। এ মর্মে গত ১০ জুলাই ২০২০ইং আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের সেচ গ্রাহক আঃ মান্নান সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বদলী হয়ে যান ডিজিএম মোস্তফা কামাল।

সে অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় যে, আরইবির বিধি মোতাবেক একটি সেচ সংযোগের ৮২০ ফিটের ভীতরে অপর কোন সেচ সংযোগ দেয়ার বিধান না থাকলেও ৩২০ ফিটের মধ্যে একটি সেচ সংযোগ দেয় ডিজিএম মস্তফা কামাল। সরিষাবাড়ী সেচ কমিটির চোখে ফাঁকি দিয়ে বিএডিসির সাথে প্রতারণা করে ঐ সেচ গ্রাহক লেবু মিয়া মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে ডিজিএম ইন্সপেক্টর ও স্থানীয় ইলেক্টিশিয়ানকে ম্যানেজ করে তার সংযোগটি লাগিয়ে নেয়।

এদিকে অভিযোগ কারী সেচ গ্রাহক আঃ মান্নান নাছরবান্দার মত প্রতিদিন লেবু মিয়ার সেচ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে দৌড়াচ্ছে মিডিয়াসহ প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে। এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী পল্লী বিদ্যুতের সাবেক ডিজিএম এর সাথে সম্প্রতি গত ৫ জুলাই সেচ সংযোগ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে জিএম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জামালপুর আলমগীর হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, যদি সরিষাবাড়ীর ডিজিএম নিয়ম বহির্ভুত ভাবে আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের লেবু মিয়ার সেচ সংযোগটি দিয়া থাকে আর যদি এ ব্যাপারে কোন লিখিত অভিযোগ পাই তবে তদন্ত সাপেক্ষে সংযোগ কর্তনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরিষাবাড়ীর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী জানান, ডিজিএম মস্তফা কামাল খুব বদ মেজাজী, আমরা তার আমলে চাকরী করে কোন স্বস্থি পাচ্ছিলাম না। অফিসটির দুর্নীতির আখড়া হিসেবে পরিণত করেছিলেন তিনি। ইঞ্জিনিয়ার জয়নাল আবেদীন ইন্সপেক্টর সিরাজুল ইসলাম ও সংশ্লিষ্ট ইলেক্ট্রিশিয়ানের কতিপয় মাধ্যমে প্রতিনিয়ত অর্থ বাণিজ্য চালাতেন তিনি। সাধারণ গ্রাহকরাও তার কাছে থেকে গ্রাহক সেবা কি জিনিস সেটা ডিজিএম ও ইঞ্জিনিয়ার জয়নাল এর কাছ থেকে পায়নি বলেও অভিযোগ উঠেছিল।

এদিকে সাবেক দুর্নীতিবাজ ডিজিএম মস্তফা কামাল চলে যাওয়ার পর ঐ পদে সিফাজ উদ্দিন মল্লিক নামে এক কর্মকর্তা স্থলাভিষিক্ত হলে তার সাথে কথা বললে তিনি জানান, আপনারা সাংবাদিকরা এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে আমার কিছু যায় আসেনা। কারণ ঐ সংযোগ আমার সময়ে দেয়া হয়নি, আমি জানিও না কার সংযোগ কে পেল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জামালপুর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ