মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
‘বিজেপিকে একটিও ভোট নয়’— এই স্লোগান তুলে পশ্চিমবঙ্গে একটা জোট গড়লেন কিছু বামপন্থি, অতি বামপন্থি এবং মানবাধিকার কর্মীরা৷ বিধানসভা ভোট পর্যন্ত তারা বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার চালাবেন৷
সরকারের পক্ষে, বিপক্ষে বুদ্ধিজীবী, চিন্তাবিদদের জোট পশ্চিমবঙ্গে নতুন কিছু নয়৷ এর আগে সবথেকে বড় নজির আছে সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামে সরকারি দমনপীড়নের পর বাংলার বিদ্বৎজনেদের মিছিল, প্রচার পশ্চিমবঙ্গে প্রশাসনিক পালা বদলের সমর্থনে৷ পরিবর্তনের সেই মিছিলে যারা হেঁটেছিলেন, পরবর্তীতে তৃণমূল সরকারের কাজে তাদের অনেকেরই মোহভঙ্গ ঘটেছে৷ সেই প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গে সদ্য গড়ে ওঠা ফ্যাসিবাদ বিরোধী জোট কিছুটা অভিনবই৷ কারণ, ওদের প্রাথমিক এবং মৌলিক স্লোগান— ফ্যাসিস্ট বিজেপি–কে একটিও ভোট নয়৷
মূলত বেশ কিছু মানবাধিকার রক্ষা সংগঠন, কিছু অতি বামপন্থি সংগঠন, যারা সাম্প্রতিক অতীতে সরকারের জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতা করে আন্দোলন গড়েছিল ভাঙড়ে, এবং সেই সঙ্গে বিভিন্ন পেশা থেকে আসা কিছু মানুষ এই ফ্যাসিবাদ বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন৷ সম্প্রতি তারা কলকাতার প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজেদের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন৷ চলচ্চিত্র পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় এই জোটের অন্যতম সদস্য৷ সভা সমাবেশে অংশ নেওয়া ছাড়াও সোশাল মিডিয়ায় লেখালেখির মাধ্যমে তিনি সরব হয়েছেন৷ কেন বিজেপির বিরুদ্ধাচারী দলগুলির কাউকে সরাসরি ভোট দেওয়ার কথা বলছেন না ওরা, তার যুক্তি খুব সোজাসাপ্টা৷ অনিকেত বললেন, ‘‘সংসদীয় গণতন্ত্রে যে দল যখনই সরকার করেছে, তারা দুর্নীতিগ্রস্ত হয়েছে, তারা জনবিরোধী কাজ করেছে, মানুষের বিরুদ্ধে গেছে, মানুষের মৌলিক উন্নয়ণ তারা কিছুই করেনি৷ বড়লোকদের জন্যেই সরকার তৈরি হয়৷ ১৯৪৭ সাল থেকেই তাই৷ কিন্তু বিজেপির সঙ্গে এদের একটা মৌলিক তফাত রয়েছে৷ বিজেপি একটা ফাসিস্ট দল, যারা '৪৭–এ অর্জিত স্বাধীনতা, সাংবিধানিক অধিকার, বা আমাদের সাংবিধানিক কাঠামো— সেটাকেও শেষ করে দিতে চায়৷ তারা একটা হিন্দু রাষ্ট্রের কথা বলে৷ তারা মনুবাদের কথা বলে, ব্রাহ্মণ্যবাদের কথা বলে। তার জন্য তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস, বা আরো যে দশটা দল আছে, তার থেকে বিজেপিকে আমরা আলাদা মনে করি৷ আরো ভয়ঙ্কর একটা মৌলবাদী শক্তি হিসেবে মনে করি, যারা ইতিহাসকে উল্টো দিকে ঘোরাতে চাইছে!’’
অভিজ্ঞ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য যদিও মনে করছেন, সমস্ত রাজনৈতিক দলকেই খারাপ বলে চিহ্নিত করে ওরা কার্যত বিজেপিরই সুবিধা করে দিচ্ছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘সবাই খারাপ যদি হয়, তাহলে মানুষের মধ্যে এই ধারণা হতে পারে যে, বিজেপিকে একবার (ভোট) দিয়েই দেখি না, ওরা খারাপ কতখানি হয়! ওদের থেকেও খারাপ কিনা, সেটা দেখি৷ সুতরাং এটা প্রত্যক্ষভাবেই ওরা বিজেপিকে সাহায্য করে দিচ্ছেন৷ যদি বলে বামপন্থিরা খারাপ, তৃণমূল খারাপ, কংগ্রেস আগে রাজত্ব করেছে, তারাও খারাপ— সবাই যদি খারাপ হয়, তাহলে বাংলায় এখনও পর্যন্ত শাসন ক্ষমতায় আসেনি কে? তার উত্তর হচ্ছে বিজেপি৷ তা হলে দেখা যাক বিজেপি কীভাবে চালায়৷ সেটা তো বিজেপি বলছেও, যে আমাদের একবার সুযোগ দিয়ে দেখুন না!’’ ডয়চে ভেলে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।