প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির অন্তর্গত ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড পরিষেবা শুরু করেছেন মমতা ব্যানার্জি। শাসক শিবিরের অনেকেই বলছেন, পাঁচ লক্ষ টাকা ‘ক্যাশলেস’ চিকিৎসার ওই কার্ড মমতার ‘মাস্টারস্ট্রোক’। কেউ কেউ একধাপ এগিয়ে বলছেন ‘গেমচেঞ্জার’। মমতা নিজে যে এই প্রকল্প নিয়ে অভিভূত, তা বোঝা গেল শুক্রবার ২৬ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। যখন শেষলগ্নে এসে মমতা উপস্থিত অভ্যাগতদের বললেন, ‘‘আপনারা কিন্তু সকলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটা করিয়ে নেবেন। ফিল্মস্টার থেকে টেকনিশিয়ান সকলে। পাঁচ লক্ষ টাকা ক্যাশলেস!’’
অনুষ্ঠানের সূচনা করে মমতা বলেন, ‘‘এ বারের উৎসবের আগে বহু শিল্পীকে হারিয়েছি আমরা। তার দুঃখ রয়ে গিয়েছে।’’ তবু স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসব চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। হল মালিকদের কাছে আবেদন জানান, করোনাবিধি মেনে দর্শকদের ছবি দেখার ব্যবস্থা করে দিতে। উদ্বোধনে ছিলেন গৌতম ঘোষ, কৌশিক সেন, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, সাংসদ নুসরত জাহান, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, দেব, তনুশ্রী চক্রবর্তী, সোহম চক্রবর্তী, পায়েল সরকার, অরিন্দম শীল, ঋতাভরী চক্রবর্তী প্রমুখ। আরো ছিলেন বলিউডের পরিচালক অনুভব সিন্হা।
ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর শাহরুখ খান। গ্ল্যামার বলতে ওই ‘বাদশাহ’র উপস্থিতিটুকুই। সেটুকু বাদ দিলে করোনা আবহে অন্যান্যবারের মতো এ বার ফিল্মোৎসবে সেই জাঁক নেই। জৌলুসও নেই। প্রত্যাশিত ভাবেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মমতাও জোর দিয়েছেন করোনাবিধির উপর।
সশরীরে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে শাহরুখ বলেন, অতিমারি থেকে তিনি শিখেছেন, পরিবারই জীবনের সবচেয়ে দামী জিনিস। শাহরুখ বলেন, ‘‘কলকাতা আমার পরিবার। পশ্চিমবঙ্গ আমার পরিবার। খুব দ্রুতই বাংলায় যাব।’’ এ-ও বলেন যে, পরের বার কলকাতায় এসে তিনি মমতার সঙ্গে দেখা করবেন এবং অনেকটা সময় কাটাবেন। মমতাও শাহরুখকে ‘ভাই’ সম্বোধন করে রাখিবন্ধনে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে দেন।
মমতা-শাহরুখ সম্পর্ক বরাবরই ঘনিষ্ঠ। প্রতিবারই ফিল্মোৎসবের উদ্বোধনে কলকাতায় আসেন শাহরুখ। প্রতিবারই উদ্বোধন হয় নেতাজি ইন্ডোরে। বস্তুত, বাম আমলে নন্দনের ‘ঘেরাটোপ’ থেকে বাইরে এনে ফিল্মোৎসবকে ‘সার্বজনীন’ রূপ দিয়েছিলেন মমতা। ঘটনাচক্রে, তাঁর অন্যতম প্রিয় সেই অনুষ্ঠানই এ বার হতে হল নবান্ন সভাঘরের ঘেরাটোপে।
ফিল্মোৎসব চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। করোনাবিধি মেনে নন্দন, রবীন্দ্রসদন, শিশির মঞ্চ-সহ মোট আটটি প্রেক্ষাগৃহে ছবি দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতির জন্য এ বার ফিল্মোৎসব হওয়া নিয়েই সংশয় ছিল। কিন্তু মমতা ঠিক করেন, ছোট করে হলেও উৎসব হবে। সেইমতোই শুক্রবার তুলনামূলক অনাড়ম্বর ভাবে উৎসবের উদ্বোধন হল।
সূত্রঃ আনন্দবাজার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।