পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজি পাইনাদী কবরস্থান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করেছে ওই মসজিদ কমিটির সভাপতি ও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমানের ছেলে মাহফুজুর রহমান পাপ্পু, মাহবুব, মাহমুদ, ভাতিজা জাহাঙ্গীর, বাদল মেম্বার, নাতি মুন্না ও টাইগার ফারুকের পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীরা। এসময় মুজিবুর রহমান মসজিদের ভেতরেই উপস্থিত ছিলেন। গতকাল জুমা নামাজ চলাকালীন সময়ে মসজিদের ভেতরেই ঘটনাটি ঘটে।
এ সময় মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তখন মুসল্লিদের অনেকেই আত্মরক্ষা করতে দৌঁড়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে যান। তবে মসজিদের ইমাম অত্যন্ত দক্ষতার সহিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় মুসল্লিরা মসজিদের ইমামকে সাধুবাদ জানালেও ধিক্কার জানান মজিবুর রহমান ও তার সব ছেলেদের।
মুসল্লিরা জানান, খুতবার আগে মসজিদের উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে বক্তব্য রাখেন মসজিদ কমিটির সভাপতি মজিবুর রহমান। এসময় তিনি মসজিদের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলার একপর্যায়ে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মফিজ হোসেন (মজু) সভাপতির বক্তব্য শেষে বক্তব্য দিবেন বলে জানান।
এসময় মসজিদের পেছনের কাতারে থাকা সভাপতির ছেলে পাপ্পু সাধারণ সম্পাদক মজুকে হুমকি দিয়ে বলে এখানে তোর কোন কথা চলবে না। এ কথা বলেই দৌড়ে এসে তাকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে মজিবুর রহমানের অপর দুই ছেলে মাহবুব, মাহমুদ ভাতিজা জাহাঙ্গীর, বাদল মেম্বার, নাতি মুন্না ও টাইগার ফারুকের বাহিনীর সদস্যরাও যোগ দিয়ে মজুকে মারধর করে। বিষয়টি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে মসজিদের ইমাম নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং ভুক্তভোগী ও হামলাকারীদের প্রতি অনুরোধ করেন যেন এটি নিয়ে মসজিদের বাইরে গিয়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটায়।
এ বিষয়ে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মফিজ হোসেন মজু বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার ছেলে, ভাতিজা ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে আমার উপরে হামলা চালায়। মসজিদ কমপ্লেক্সে একটি জেনারেটর কেনার জন্য মুসল্লিদের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা তোলা হয়।
কিন্তু মসজিদ কমিটির সভাপতি অনুমতি না দেয়ায় কেনা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া সভাপতি অনুমতি না দেয়ার কারণে আরো কয়েকটি উন্নয়ণমূলক কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। অথচ বার বার ওনাকে জানানোর পরেও তিনি মুসল্লিদের বলেন, এসব বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এই বিষয়গুলো নিয়ে মুসল্লিদের সাথে বিভিন্ন সময় কমিটির লোকজনদের ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হচ্ছে। আমি প্রকৃত ঘটনাটি সভাপতির বক্তব্যের পর বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমাকে কথা বলতে সুযোগ না দিয়ে উল্টো মসজিদের ভেতরেই হামলা চালিয়ে মারধর করে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন, মজু ও তার পরিবারের লোকজন আমাকে চোর বলায় বিষয়টি আমি মসজিদে উপস্থাপন করলে এ অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটে। মজু তার লোকজন নিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটায়। এ বিষয়ে আইনগত কোন ব্যবস্থা নিবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাতে থানায় যাবেন। আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।