পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে মাঠে সক্রিয় প্রার্থীরা। তৎপর তাদের কর্মী, সমর্থকেরাও। তবে যাদের নিয়ে এ আয়োজন সেই ভোটারেরা নীরব। ভোট নিয়ে কোন আগ্রহ নেই নগরবাসীর। এমন নিরুত্তাপ ভোটের মাঠে আজ শুক্রবার ফের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হচ্ছে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থীসহ মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয়ে মাঠে নামছেন। পবিত্র জুমার নামাজ আদায়ের পর প্রার্থীরা প্রচার শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আগামী ২৭ জানুয়ারি ভোট। সেই হিসাবে ভোটের বাকি আর মাত্র ১৮ দিন। তবে সিটির এই নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মাতামাতি থাকলেও সধারণ মানুষের মধ্যে কোন উৎসাহ নেই। কোথাও নেই ভোটের হাওয়া। আন্দোলন সংগ্রামের ঐতিহ্যের নগরী চট্টগ্রামে ভোট নিয়ে এমন অনাগ্রহ আগে কখনো দেখা যায়নি। কথা হয় কয়েকজন ভোটারের সাথে। তারা বলছেন, ভোট নিয়ে তাদের কোন উৎসাহ নেই। নিকট অতীতেও দেখা গেছে ভোট মানে উৎসবের আমেজ।
উত্তাপ উত্তেজনা টানটান। এখন চিত্র পাল্টে গেছে। সাধারণ মানুষকে ভোট এখন নাড়া দেয় না। ভোটার ছাড়াই ভোট হয়ে যায়। সময়ের আগে বাক্স ভরে যায়। এবার সিটির ভোট হবে ইভিএমএ। এই যন্ত্র নিয়েও সাধারণ ভোটারা তাদের আপত্তি আর সন্দেহ সংশয়ের কথা জানালেন। ভোটের মাঠে রেফারি নির্বাচন কমিশনের প্রতিও ভোটারদের আস্থা তলানিতে।
তবে প্রার্থীরা ফের কোমড় বেঁধে মাঠে নামছেন। বিশেষ করে সরকারি দলের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের তোড়জোড়ের শেষ নেই। ৭০ লাখ নগরবাসীর মধ্যে নির্বাচন কোন উত্তাপ ছড়াতে না পারলেও সরকারি দল ও তাদের অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনে তোলপাড় চলছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে দলের ভেতরে টালমটাল অবস্থা। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী নগরীর ৪১টি সাধারণ ওয়ার্ডের ৩১টিতে একাধিক বিদ্রোহী দলীয় প্রার্থীর গলার কাঁটা হয়ে আছে। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদেও বিদ্রোহীদের যন্ত্রণা আছে। সে দিক থেকে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে বিএনপি।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলের মহানগর কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী। ৪১টি সাধারণ এবং ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে দলের পক্ষ থেকে একক প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হলেও বিদ্রোহী হয়েছেন অনেকে। অস্ত্র, হত্যা মামলার আসামিরাও কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন। ভোটের প্রচারের শুরু থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বিদ্রোহীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। নতুন করে ভোটের প্রচারে এসব প্রার্থীর সমর্থকেরা ফের সংঘাতে জড়াতে পারেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী হয়েছেন মহানগরের আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। কাউন্সিলর পদে একক প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। বিএনপির নেতারা ভেদাভেদ ভুলে এক কাতারে তাদের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে মাঠে আছেন। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও সিটি নির্বাচন কেন্দ্রিক রাজনৈতিক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে।
সর্বশেষ ১৪ ডিসেম্বর চসিক নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এ আগে গত ১৬ ফেব্রæয়ারি কমিশন তফসিল ঘোষণা করে। আগের তফসিলেই ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সিটি নির্বাচনের সাধারণ ওয়ার্ড ৩০, ৩৭ ও ৪০ এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৬-এর প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে এসব ওয়ার্ডে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করা হয়। করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে নির্বাচন দুই দফায় স্থগিত করে কমিশন। গত ২১ মার্চ প্রথম দফায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এরপর গত ১৪ জুলাই দ্বিতীয় দফায় স্থগিত করা হয়।
গত ১৬ ফেব্রæয়ারি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ২৯ মার্চ ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচনে অন্য মেয়র প্রার্থীরা হলেন-বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন, পিপলস পার্টির আবুল মনজুর, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম। এছাড়া কাউন্সিলর পদে ২ শতাধিক প্রার্থী রয়েছেন। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট হয়।
চসিক নির্বাচনের রিটার্নির কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান ইনকিলাবকে বলেন, আজ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচার শরু হয়ে চলবে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনেই প্রচার চালাতে হবে। আচরণবিধি মানা হচ্ছে কিনা তা মনিটর করতে কমিশনের বেশ কয়েকটি টিম মাঠে নামছে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।