পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শীতের ভরা মওশুমে আলু ও সরিষা ক্ষেতের হলুদ-সবুজে হাসছে বগুড়া কৃষি অঞ্চলের মাটি। গ্রামের পরে গ্রাম যেদিকেই চোখ যায় চারিদিকে শুধু হলুদ-সবুজের অপরুপ সমারোহ। শীত বা রবি মওশুমে বগুড়ার কৃষি অঞ্চলে প্রধানত আলু ও সরিষার চাষ হয়ে থাকে। বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলার আলু এবং পাবনা ও সিরাজগঞ্জ রায় সরিষার জন্য বিখ্যাত। ওই ৪ জেলা নিয়ে গঠিত বগুড়া কৃষি অঞ্চল।
কৃষি আফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে বগুড়া কৃষি অঞ্চলে ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৫ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে বগুড়া ও জয়পুরহাটে। এর মধ্যে বগুড়ায় ৫৮ হাজার ৫২৫, জয়পুরহাটে ৪০ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে আলু। অন্যদিকে পাবনায় মাত্র ৯৬০ এবং সিরাজগঞ্জে ২০৯৫৫ হেক্টরে আলুর চাষ হয়েছে। মোট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ লাখ ৬০ হাজার ২১০ মেট্রিক টন। বিদ্যমান আবহাওয়া পরিস্থিতি আরও ২০-২৫ দিন ভালো থাকলে আলুর শতভাগ ফলন নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন কৃষি পরিসংখ্যান বিভাগের কর্মকর্তা আজিজার রহমান।
এদিকে এ বছর বগুড়া অঞ্চলে ইতোমধ্যেই ১ লাখ ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ৪৯ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলায়। এরপর পাবনা জেলায় ৩১ হাজার ৫৮০, বগুড়ায় ২৬ হাজার ৯৬৫ এবং জয়পুরহাট জেলায় ১১ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে আলু ও সরিষার। উৎপাদনের টার্গেট ধরা হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭০১ মেট্রিক টন। আবহাওয়া অনুক‚ল থাকায় সরিষার বাম্পার ফলনের ইঙ্গিত দিয়েছে কৃষি বিভাগের বøক সুপারভাইজাররা। তবে আগামী ১৫ দিন যদি বৃষ্টি বাদল মুক্ত থাকে পরিবেশ তাহলে শতভাগ ফলনের আশা করছে বগুড়ার কৃষি বিভাগ।
বগুড়া কৃষি অফিসের অতিরিক্ত আঞ্চলিক পরিচালক জি এম গফুরের মতে কৃষিতে অগ্রসর বগুড়া অঞ্চলের ৪ জেলার আলুর উৎপাদক চাষিরা ইতোমধ্যেই আগামজাতের আলু চাষ করে বাজারজাত করে ইতোমধ্যেই ভালো পয়সা পেয়েছে। আগামী ফেব্রæয়ারি-মার্চে পুরোপুরি আলু বাজারে আসলে বর্তমানের চড়া দাম কমে আসবে। তার মতে সরিষা তেলের চাহিদা ও ব্যবহার বাড়ায় ক্রমশ সরিষাও লাভজনক রবিশস্য হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। তিনি মনে করেন চাহিদার অতিরিক্ত আলু বিদেশে রফতানি নিশ্চিত করলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি নতুন খাত খুলে যাবে। অন্যদিকে সরিষা তেলের ব্যবহার বাড়লে সয়াবিন তেল আমদানি কমলে সাশ্রয় হবে বৈদেশিক মুদ্রার। সমৃদ্ধ হবে উত্তরের কৃষি অর্থনীতি ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।