পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নতুন বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম রুবেলের সঙ্গে বিয়ে হয় কুমিল্লার মেহনাজ জেরিন নিপার। পরে গত রোববার গ্রামের বাড়ি থেকে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় আসেন নিপা। চাকরির কারণে স্বামী রুবেলের বাসস্থান অফিসের মেস হওয়ায় স্ত্রীকে নিয়ে ওঠেন রাজধানীর উত্তর কমলাপুরের হোটেল সিটি প্যালেস ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি আবাসিক হোটেলে। আর গত মঙ্গলবার রাতে সেই হোটেল থেকে নিপার লাশ উদ্ধার করা হয়। গতকাল ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। পরে লাশ গ্রামের বাড়ি নিয়ে যান স্বজনরা। নিপার স্বজনদের অভিযোগ, নিপাকে মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছিল স্বামী রুবেল।
তবে পুলিশ জানায়, রুমের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করা ছিল। গত ৩ জানুয়ারি ওই রুমটি ভাড়া নেয় নিপার স্বামী। এ ঘটনায় স্বামী পুলিশ সদস্য জাহিদুল ইসলাম রুবেলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।
হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ৩ জানুয়ারি তারিখে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ২ জন হোটেলের ওই রুমটি ভাড়া নেয়। এরপর স্বামী অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা বলে হোটেল থেকে চলে যায়। এসময় ওই তরুণী হোটেলে একাই ছিল। গত মঙ্গলবার সকালে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় খবর পেয়ে পুলিশ এসে রুমের দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, মেহনাজ জেরিন নিপার বয়স ২৪। এ বছরের ১ জানুয়ারি পুলিশের বিশেষ শাখার কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম রুবেলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। বিয়ের পরপরই গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার ব্রা²ণপাড়ার দাশিয়া গ্রাম থেকে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় আসেন। কিন্তু বিয়ের ঠিক ৫ দিনের মাথায় ফিরলেন লাশ হয়ে। পুলিশ বলছে, স্বামী যেহেতু মেসে থাকেন, তাই স্ত্রী নিপাকে নিয়ে উঠেন কমলাপুরের হোটেল সিটি প্যালেস ইন্টারন্যাশনালে। কিন্তু স্ত্রীকে একা রেখে হোটেল থেকে কেন চলে যান রুবেল সে কারণই জানা যায়নি। এ ঘটনায় রাজধানীর মতিঝিল থানায় কনস্টেবল রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই। নিপা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ছিলেন।
মামলার বাদী আহসানুল কবির বলেন, রুবেল আমার বোনকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। না হলে বিয়ের ৫ দিন পার না হতেই কেন সে আত্মহত্যা করলো? নিপার চাচাতো ভাই আবু হানিফ জানান, নিপার আরেকটি বিয়ে হয়েছিল। তার প্রথম স্বামীর নাম মোবারক হোসেন। তিনিও পুলিশের কনস্টেবল। তাদের সাত বছরের একটি সন্তান রয়েছে। ওই সন্তান মোবারকের কাছেই থাকেন। পরে রুবেলের সাথে নিপার দ্বিতীয় বিয়ে হয়।
গতকাল সন্ধ্যায় মতিঝিল থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন জানান, মামলার একমাত্র আসামি রুবেল পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে। গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আসল তথ্য বের হবে। এছাড়া বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।