নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
লিওনেল মেসি ও সার্জিও রামোস। দুইজনের নাম শুনলেই মনে আসে দুটি ভিন্ন ক্লাবের কথা। চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী দুই দল বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ। এ দুই দলের অধিনায়ক এক সুতায় নিজদের বাঁধতে পারেন। এমন বিস্ময়কর সংবাদই প্রকাশ করেছে স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল এল চিরিঙ্গিতো। ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইতে (পিএসজি) একত্রে দেখা পারে এ দুই তারকাকে।
বার্সেলোনা ছাড়তে চান মেসি, এ কথায় আর কোনো রাখঢাক নেই। মৌসুমের শুরুতে এ নিয়ে নাটক কম হয়নি। এবার নতুন নাটক হতে যাচ্ছে রামোসকে নিয়ে। মৌসুম শেষেই রিয়ালের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে তার। নতুন কোনো চুক্তির আলামত নেই। এল চিরিঙ্গিতো আরও একটি সংবাদে জানা গিয়েছিল তাকে ধরে রাখতে দেওয়া হয়েছিল দুটি ভিন্ন প্রস্তাব। কিন্তু কোনোটাতেই রাজি নন রামোস। এমন কি হলো যার জন্য কিশোর বয়স থেকে খেলে আসা রিয়াল মাদ্রিদের প্রস্তাব নাকচ করে দিচ্ছেন রিয়াল অধিনায়ক? কারণটা ওই মেসি, আর্জেন্টাইন জাদকুরের সঙ্গে সতীর্থ হয়ে খেলার সুযোগ!
ফুটবল বিশ্বে বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় মেসি। অনেকের মতে হয়তো সময়ের সেরাই। সে খেলোয়াড়ের সঙ্গে খেলতে মুখিয়ে থাকেন অনেকেই। চিরপ্রতিদ্ব›দ্বীদেরও যে মনোভাব একই তা বুঝিয়ে দিয়েছেন রামোস। এল চিরিঙ্গিতোর সংবাদ অনুযায়ী, ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের দেওয়া প্রস্তাবে রামোস বলেছেন, ‘পিএসজিতে এর চাইতে ভালো প্রস্তাব আমাকে দেওয়া হয়েছে। তারা বলেছে লিওনেল মেসির সঙ্গে আমাকে নিয়ে একটি দল গঠন করতে চায়।’
এদিকে, রামোসকে ধরে রাখতে যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন পেরেজ তার প্রথমটি ছিল, প্রথমটি এক বছর মেয়াদী। সেক্ষেত্রে বর্তমান বেতন-ভাতা অনুযায়ী চুক্তি নবায়ন হবে। দ্বিতীয়টি দুই বছর মেয়াদী। তবে সেক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কম বেতনে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে। কিন্তু দলের সেরা পারফর্মার হয়েও বেতন বৃদ্ধির পরিবর্তে উল্টো ১০ শতাংশ কম বিষয়টা মানতে পারছেন না রামোস।
অথচ রিয়াল মাদ্রিদের প্রাণ ভোমরা তিনিই। গত মৌসুমেও নিয়মিত কাজ রক্ষণ সামলানোর পর আক্রমণভাগেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। এমন তারকাকে পাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে ইউরোপের বড় বড় ক্লাবগুলো। পিএসজির সঙ্গে ম্যানচেস্টার সিটিও তাকে দলে টানতে আগ্রহী। কিন্তু সেখানে রিয়ালের এমন প্রস্তাব পছন্দ হয়নি রামোসের।
২০০৫ সালে সেভিয়া থেকে রিয়ালে যোগ দেন রামোস। এক মৌসুম জেতেই দলে জায়গা পাকা করে ফেলেন তিনি। ক্লাবটির হয়ে এখন পর্যন্ত লা লিগায় ৪৬৭টি ম্যাচ খেলেছেন। ডিফেন্ডার হিসেবে এরমধ্যেই সর্বোচ্চ গোলদাতার (৭২) রেকর্ডও তারই। ক্লাবের হয়ে চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, পাঁচটি লা লিগা ও দুটি কোপা দেল রে শিরোপা জিতেছেন। জাতীয় দলের হয়েও দারুণ সফল রামোস। স্পেনের হয়ে ১৭৮ ম্যাচ খেলা এ ডিফেন্ডার জিতেছেন দুটি ইউরো ও একটি বিশ্বকাপ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।