Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুলিশের নির্যাতনে আসামিরা মিথ্যা জবানবন্দি দেয়

‘মৃত’ স্কুলছাত্রীর জীবিত ফেরা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০৩ এএম

পুলিশের নির্যাতন এবং জামিনের আশ্বাসেই আসামি মিথ্যা জবানবন্দি দিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ‘মৃত’ স্কুলছাত্রীর ‘জীবিত’ ফিরে আসার ঘটনার বিচারিক তদন্ত প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছেন স্কুলছাত্র দিশিমনি ‘হত্যা মামলা’র স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানকারী তিন আসামি। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চে এ প্রতিবেদন পেশ করা হয়। ২৭ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনের ওপর শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শিশির মনির।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জামিনের আশ্বাস দিয়ে পুলিশ আসামিদের আদালতে স্বীকারোক্তিতে কী বলতে হবে তা শিখিয়ে দিয়েছে। এ কারণে পুলিশের শেখানো কথা আদালতে স্বীকারোক্তি হিসেবে বলেছেন বলে আসামিরা জানিয়েছেন। এ ছাড়াও ভয়ভীতি দেখিয়ে ও মারধর করে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করার স্বীকারোক্তি নেয় পুলিশ। এর আগে ৪ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে কথিত ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুলছাত্রীর জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারবিভাগীয় তদন্ত হাইকোর্টে জমা পড়ে।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে কথিত ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুলছাত্রীর জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গত বছরের ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুলছাত্রীর জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় নথি তলবের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন দায়ের করা হয়। পাঁচ আইনজীবীর পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এ আবেদন দায়ের করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৪ জুলাই ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী দিশা মনি নিখোঁজ হয়। গত ৬ আগস্ট নিখোঁজ স্কুলছাত্রী দিসার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অপহরণ মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ আব্দুল্লাহ, রকিব এবং খলিল নামে তিনজনকে গ্রেফতার করে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

স্বীকারোক্তিতে আসামিরা জানান, তারা স্কুলছাত্রী দিসাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেন। জবানবন্দি গ্রহণের পর আসামিদের জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু গত ২৩ আগস্ট দিশা মনি জীবিত এবং অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসে। এখন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। দিশা ফেরত আসায় ধর্ষণ ও হত্যা বিষয়ে আসামিদের দেয়া স্বীকারোক্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।



 

Show all comments
  • হুমায়ূন কবির ৬ জানুয়ারি, ২০২১, ৪:২৪ এএম says : 0
    কিছু বলার নেই
    Total Reply(0) Reply
  • Kawsar Ahmed ৬ জানুয়ারি, ২০২১, ৪:২৬ এএম says : 0
    bangladesh parena amn kono kaj dunia te nai....
    Total Reply(0) Reply
  • Kazi Jamal ৬ জানুয়ারি, ২০২১, ৮:১৯ এএম says : 0
    আফসোস আমরা কোন দেশে বসবাস করি
    Total Reply(0) Reply
  • Sadikul Islam ৬ জানুয়ারি, ২০২১, ৮:২০ এএম says : 0
    প্রতিটি কেসের ক্ষেত্রে এমনটাই হয়। পুলিশ পিটিয়ে অনেক ভয়বিদ দেখিয়ে মিথ্যা স্বিকার উক্তি আদায় করে। বাদি পক্ষ থেকে ঘুসের জন‍্য।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Shakil ৬ জানুয়ারি, ২০২১, ৮:২০ এএম says : 0
    এটার কঠিন বিচার হওয়া দরকার।
    Total Reply(0) Reply
  • H.m omur faruk ৬ জানুয়ারি, ২০২১, ৯:৪৭ এএম says : 0
    পুলিশতো জনগনের বন্দু তাই না! খুব আপসোস লাগে, সরকার যাদেরকে জনগনের সেবারজন্য রাখছে,তারাই আজ জনগনের উপর অত্যাচার করে চলেছে।এটাই পুলিশের বাস্তব চিএ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুলিশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ