মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে ফ্লাইট সংখ্যা। অথচ এর মধ্যেই বছরটিতে বেড়েছে বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা। ডাচ বিমান পরামর্শক প্রতিষ্ঠান টিও-৭০-এর বরাত দিয়ে শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি। টিও-৭০ বলছে, ফ্লাইট কমে যাওয়ার ঘটনা ক্রুদের পারফরম্যান্সের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। এভিয়েশন খাতের স্বাভাবিক কর্মকান্ড চালুর ক্ষেত্রে এটি একটি বড় সমস্যা হিসেবে উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২০২০ সালে বাণিজ্যিক বিমান দুর্ঘটনায় ২৯৯ জনের মুত্যু হয়েছে। আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ২৫৭। অর্থাৎ গত বছর ফ্লাইট কমলেও মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ৪২ জন। মহামারির ফলে বিশ্বজুড়ে বিমান চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েছে। ট্র্যাকিং সাইট ফ্লাইটরাডার ২৪-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে ৪২ শতাংশ বাণিজ্যিক ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। এক বিবৃতিতে টিও-৭০ জানিয়েছে, বড় যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনার যাবতীয় তথ্য তাদের পরিসংখ্যানে যুক্ত করা হয়েছে। গুলি করে ভূপাতিত করার মতো অবৈধ হস্তক্ষেপে দুর্ঘটনার শিকার বিমানের নিহত যাত্রীদের পরিসংখ্যানও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভুল করে ইরানের সামরিক বাহিনীর গুলিতে ভূপাতিত ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের বিমান ভূপাতিতের ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনাও এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানিয়েছে টিও-৭০। ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারির ওই ঘটনায় নিহত হয় বিমানটির ১৭৬ আরোহী। সম্প্রতি ওই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকের পরিবারকে দেড় লাখ ডলার ক্ষতিপ‚রণ দেয়ার ঘোষণা দেয় ইরানের কর্তৃপক্ষ। ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি প্রাণহানি ঘটে ইরানের ওই ঘটনায়। একই বছরের মে মাসে করাচিতে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট দুর্ঘটনায় পতিত হলে ৯৮ জনের মৃত্যু হয়। প্রাথমিক রিপোর্টে ওই দুর্ঘটনার জন্য মানবিক ত্রুটিকে দায়ী করা হয়েছে। মূলত ইরান ও পাকিস্তানের দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বাড়লেও ২০২০ সালে বিমান দুর্ঘটনার সংখ্যা কমেছে। ২০১৯ সালে যেখানে ৮৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছিল সেখানে ২০২০ সালে এ সংখ্যা ছিল ৪০। অর্থাৎ এ সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি কমেছে। গত বছরের ৪০টি দুর্ঘটনার মধ্যে মূলত পাঁচটি ছিল যথেষ্ট মারাত্মক। অর্থাৎ বছরটিতে মারাত্মক দুর্ঘটনার হার ছিল গত ১০ বছরের গড়ের সমান। বিশ্বব্যাপী বিমান চলাচলে ২০১৭ সালকে সবচেয়ে নিরাপদ বছর হিসেবে ধরা হয়। বছরটিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক কোনও বিমান ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েনি। আঞ্চলিক দুই বিমান দুর্ঘটনায় ওই বছর ১৩ জনের মৃত্যু হয়। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।