বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লার হোমনা পৌর মেয়র ও হোমনা উপজেলা আ.লীগ সহ-সভাপতি মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে পানি শোধনাগার স্থাপনের জন্য জায়গা কেনার নামে দুর্নীতি এবং হোমনা পৌর মার্কেটের দোকান বরাদ্দে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছেন হোমনা উপজেলা আ.লীগের এক নেতা।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে মেয়র হন মো. নজরুল ইসলাম। দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১৭ সালের ১ জুন হোমনা পৌরসভার বাগমারায় পানি পরিশোধনাগার প্রকল্প স্থাপনের জন্য তিনটি দাগে ৩৯ দশমিক ৫০ শতক জায়গা কেনেন। এছাড়া ১২ দশমিক ২৫ শতক করে দু’টি জায়গা ৯০ বছরের জন্য কেনা হয়। ১৫ শতক জায়গা সাবকাবলা করে নেয়া হয়। হোমনা পৌরসভার পক্ষে মেয়র মো. নজরুল ইসলাম ৫১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ওই জমি কেনেন। কিন্তু হোমনা পৌরসভার ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজেট পৃষ্ঠা নং ১৭ এর সাত নং ক্রমিকের ব্যয়ের খাত (ণ)-এর জমি ক্রয় আয়বর্ধক কলামে ব্যয় দেখানো হয় ৮৬ লাখ টাকা। এই ক্ষেত্রে জমির টাকার বাইরে ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বেশি বরাদ্দ দেখানো হয়।
এদিকে জায়গা কেনায় দুর্নীতি হয়েছে এমন অভিযোগ এনে গত ২৯ ডিসেম্বর সমন্বিত জেলা কার্যালয় দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়ের উপ-পরিচালকের কাছে অভিযোগ করেন পৌরসভার শ্রীমদ্দি এলাকার বাসিন্দা ও উপজেলা আ.লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আবদুল খালেক। তিনি তদন্ত করে দুর্নীতি উদঘাটনের দাবি জানান। এ ব্যাপারে আবদুল খালেক বলেন, ‘পৌরসভা জমি কিনবে সাবকাবলা। এই ক্ষেত্রে দুটি দাগে ৯০ বছরের জন্য জমি কেনা দেখানো হয়। এটা তো হতে পারে না। এই অনিয়মের তদন্ত করার জন্য আমি অভিযোগ করেছি।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে হোমনা মেয়র মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘জমি কেনাবেচায় আমি কোন অন্যায় করিনি, সামনে নির্বাচন, দলের একটি পক্ষ এটা নিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’
দুদকের দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, কোন অভিযোগ এলে সেটি যাচাই-বাছাই করে তদন্ত করা হয়ে থাকে। জনসেবার কোন খাতে দুর্নীতি হলে সেটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।