মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাসের প্রভাবে ২০২০ সাল ছিল বিষময় আর সে কারণে বছরটিকে বিদায় জানাতে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিল মানুষ। তবে ইংরেজি নতুন বর্ষ বরণে যতটা আগ্রহ ছিল সবার মধ্যে, উদযাপনে দেখা যায়নি তার ছিটেফোঁটাও। বলা যায়, দেখানো সম্ভব হয়নি। কারণ মহামারি এখনও যায়নি, উল্টো অনেক দেশেই বাড়ছে সংক্রমণ। ফলে কড়া বিধিনিষেধের বেড়াজালে অন্যরকম এক বর্ষবরণের সাক্ষী হলো বিশ্ববাসী।
এশিয়া এবং দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টা বাজতেই উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। মুহুর্মুহু আতশবাজি ফুটিয়ে, ফানুস উড়িয়ে নতুন বর্ষকে বরণ করা হয়েছে অনেক দেশে। তবে বেশিরভাগ জায়গাতেই সংক্রমণরোধে বাইরে অনুষ্ঠান-উদযাপনে ছিল কড়া নিষেধাজ্ঞা। একারণে আনন্দ-উৎসব যা হওয়ার, হয়েছে ঘরে অথবা বাড়ির ছাদেই।
গত কয়েক বছর নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে মনোমুগ্ধকর আতশবাজি দেখতে কয়েক লাখ মানুষ উপস্থিত হতেন। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে এ বছর সশরীরে না গিয়ে টেলিভিশনেই উপভোগ করেছেন অনেকে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন বছর বরণে ঐতিহ্যবাহী ঘণ্টা বাজানোর অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। কোরিয়া যুদ্ধের পর থেকে দেশটিতে প্রতিবছরই জঙ্গো অঞ্চলে লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। শুধু এবারই প্রথম করোনার হানায় বন্ধ সেই উৎসব।
চীনে ঠিক একবছর আগে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয়েছিল নভেল করোনাভাইরাস। এরপর সেটি দ্রæত ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে, কেড়ে নেয় লাখ লাখ মানুষের প্রাণ। সেই ক্ষত এখনও শুকায়নি। একারণে অনেকটা নীরবেই ২০২১ বরণ করেছেন চীনারা। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে আগে থেকে রেকর্ড করে রাখা বর্ণিল শারীরিক কুচকাওয়াজ ও যাদুর প্রদর্শনী।
জাপানের বেশিরভাগ এলাকাও ছিল শান্ত। দেশটির রাজধানীতে সম্প্রতি বাড়তে শুরু করেছে ভাইরাসের সংক্রমণ। ফলে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে সেখানে। ছুটি কাটাতে বাড়ি ফেরাও বাতিল করেছেন অনেকে।
ভাইরাসের কারণে ঘরবন্দি উদযাপন করেছেন ভারতীয়রা। স¤প্রতি দেশটিতে অতিসংক্রামক করোনার নতুন ধরন শনাক্তের পর রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয় প্রধান শহরগুলোতে, সৈকতে পার্টি করাও নিষিদ্ধ সেখানে। তবে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি সত্তে¡ও মহাধুমধামে ইংরেজি নতুন বছর বরণ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুবাইয়ে বিশ্বের দীর্ঘতম ভবন বুর্জ খলিফা ঘিরে বরাবরের মতোই আতশবাজি প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়েছিল। এছাড়া, বাধভাঙা উদযাপন হয়েছে করোনা নিয়ন্ত্রণে সফল দেশগুলোতেও। বড় পরিসরে অনুষ্ঠান করেছে তাইওয়ান। তাদের রাজধানী শহরে বিখ্যাত তাইপেই ১০১ টাওয়ারে বিশাল আতশবাজি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তবে ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে উদযাপনে ভাটা পড়ে ইউরোপে। ইতালি, তুরস্ক, লাটভিয়া, চেক রিপাবলিকের মতো দেশগুলো আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, স্বাস্থ্য সতর্কতা অমান্য করলে পরিণতি হবে ভয়াবহ। তারপরও ছোট পরিসরে কিছুটা উদযাপন হয়েছে কোথাও কোথাও। রোমের বিখ্যাত কলোসিয়ামে আতশবাজি প্রদর্শনী হলেও কর্তৃপক্ষের অনুরোধ ছিল, এটি যেন সবাই ঘরে বসে উপভোগ করেন।
ব্রিটিশদের জন্য উদযাপনের উপলক্ষ ছিল দু’টি- নতুন বছর এবং ব্রেক্সিট। গতকাল থেকে আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশ নেই যুক্তরাজ্য। তবে দেশটিতে সম্প্রতি করোনার নতুন একটি ধরন আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুতগতিতে। একারণে বেশিরভাগ এলাকাতেই চলছে লকডাউন। স্বাভাবিকভাবেই এ পরিস্থিতিতে বাইরে বেরিয়ে বর্ষ বরণ উদযাপন করতে পারেননি দেশটির বাসিন্দারা। সূত্র : অনলাইন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।