মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দেশের বাইরে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠলেও করোনা মহামারির মধ্যে চীনের শাসনভার শক্ত হাতে ধরে রেখেছেন এবং দক্ষতার সাথে করোনা মোকাবেলা করেছেন। করোনাতে বৃদ্ধি পেয়েছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রভাব ও শক্তি।
এর ফলে একই সাথে অন্য একটি লাভও হয়েছে। হংকংয়ে ২০১৯ সালের জুনে শুরু হওয়া সরকারবিরোধী অস্থিরতা বন্ধে করোনা মহামারি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। জনসমাবেশে কোভিড সম্পর্কিত কড়াকড়ি এবং ভিড়ের বিষয়ে স্বাস্থ্য সতর্কতাগুলো হংকংয়ের রাজপথগুলোকে আরও শান্ত এবং ফাঁকা রাখতে সাহায্য করেছে। পাশাপাশি, জুনের শেষ দিকে হংকংয়ে কার্যকর হওয়া কঠোর জাতীয় নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে চীন এ অঞ্চলটির উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইনটির প্রয়োগ ইদানিং কমে গেলেও করোনা মহামারির মধ্যে এর ধাক্কাটি খুব গভীর। আইনটি হংকংকে এমন একটি স্থানে পরিণত করে, যেখানে চীনের মূল ভূখন্ডের মতোই চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সুস্পষ্ট নিয়ন্ত্রণ অনুভূত হয়। যদিও পার্টির নেতৃত্বে থাকা চীনের কট্টরপন্থী নেতা শি জিনপিং বিশ্বকে বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, তার উত্থানে ভয় পাওয়ার কারণ নেই এবং তার রাজনৈতিক নীতিমালা অন্য কোথাও জীবনযাপনের জন্য হুমকিস্বরূপ নয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভাষ্যমতে, ২০২০ সালে চীনের প্রকৃত চরিত্রটি উন্মোচিত হয়েছে। দেশটি মনে করে যে, চীন রাজনৈতিকভাবে আরও বেশি দমনমূলক হয়ে উঠেছে, অর্থনৈতিকভাবে অন্তর্মুখী হয়েছে এবং তাইওয়ানের কাছাকাছি চীনের যুদ্ধবিমান হামলা, হিমালয়ে ভারতীয় সেনাদের সাথে প্রাণঘাতী সংঘর্ষ ও অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বাণিজ্যনীতি গ্রহণের পাশাপাশি কোভিড-১৯ উৎসের বিষয়ে স্বাধীন তদন্তের দুঃসাহসিক আহ্বানের মাধ্যমে দেশটির আক্রমণাত্মক আচরণ প্রকাশ পেয়েছে।
২০২০ সালে চীনের কথিত ‘উল্ফ ওয়ারিয়র ডিপ্লম্যাসি’ বা আক্রমণাত্মক ক‚টনীতি চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্রমবর্ধমান অসদাচারণ বোঝানোর ব্যবহৃত হলেও, ২০৬০ সালের মধ্যে চীনের কার্বন ডাই-অক্সাইডের নির্গমনকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে শি’র প্রতিশ্রুতি এবং অন্যান্য দেশগুলোকে করোনা মহামারি মোকাবেলা করতে সহায়তার ফলে ২০২০ সালে জনাব শি ঘরোয়া ও আঞ্চলিক রাজনীতির লড়াইয়ে সম্ভবত জয়ী হয়েছেন। তবে তার বিদেশ নীতির সাফল্য এখনও অনিশ্চিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।