Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সান্তার উপহার বিলি করতে গিয়ে মৃত ২৬, আক্রান্ত ১৫৭

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২১, ১১:১৮ এএম

ঘটনাটি বেলজিয়ামের। সেখানকার একটি বৃদ্ধাশ্রমে দু’সপ্তাহ আগে সান্তা সেজে এসেছিলেন খোদ চিকিৎসক। উদ্দেশ্য ছিল, আবাসিকদের একাকীত্ব কাটাতে তাঁদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানো। চিকিৎসকের কাঁধে ঝোলানো উপহারের বোঝা। সবাইকে ডেকে ডেকে বিলোলেন অকাতরে। কচিকাঁচা, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের আনন্দের শেষ নেই। সান্তার সঙ্গে খুনসুঁটিতেও তাদের বিরাম ছিল না। কিন্তু সেই খুশির রেশ নিমেষেই বদলে গেল দুঃস্বপ্নে। আসলে কে জানত, সান্তাই যে কোভিডের ‘সুপার বাহক’! যখন জানা গেল ততক্ষণে অদৃশ্য শত্রু থাবা বসিয়ে দিয়েছে ১৫৭ জনের শরীরে। মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েছেন কমপক্ষে ২৬ জন।

ওই বৃদ্ধাশ্রমটিতে ১২১ জন আবাসিক থাকেন। এছাড়াও রয়েছেন ৩৬ জন কর্মী। সান্তার সংস্পর্শে এসে তাঁরা প্রত্যেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। বড়দিনকে সামনে রেখে হোমের বয়স্ক সদস্যদের মানসিকভাবে চাঙ্গা করতে সান্তাকে ডাকার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। ঠিক হয়, হোমে এসে সান্তা সবাইকে উপহার দেবেন। সেই মতোই পরিকল্পনা করা হয়- আবাসিকদের দেখাশোনা করেন যে চিকিৎসক, তিনিই সান্তা সেজে আসবেন।

বৃদ্ধাশ্রমটির কর্মীরা জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট দিনে সান্তা আসেন। সবার সঙ্গে বসে গল্পগুজব করেন। কিন্তু তাকে দেখে মনে হচ্ছিল, তার শরীরটা যেন ঠিক নেই। তাঁর শরীরে কোনও উপসর্গ ছিল না। হোমের সদস্যদের সঙ্গে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় কাটানোর পর যখন তিনি একটু বেশি অসুস্থ বোধ করতে থাকেন, তখনই তাঁর করোনা পরীক্ষা হয়। রিপোর্টে দেখা যায় তিনি পজিটিভ। ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে। হোমের আবাসিক থেকে কর্মীরা একের পর এক অসুস্থ হতে শুরু করেন। প্রত্যেকের রিপোর্ট পজিটিভ আসতে থাকে। মাথায় হাত পড়ে হোম কর্তৃপক্ষের। তড়িঘড়ি সবার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। তার পরও ২৬ জনের মৃত্যুকে ঠেকিয়ে রাখা যায়নি।
স্থানীয় মেয়র উইম কেয়ার্স জানিয়েছেন, আগামী দশদিন ওই হোমের সদস্যদের জন্য গভীর উদ্বেগে রয়েছি। সান্তার উপহার বিলির অনুষ্ঠান সেখানে নিয়ম মেনে হয়নি বলেও তোপ দেগেছেন তিনি।

ইউরোপে এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। গতবারের জন্য সংক্রমণের মাত্রা অনেক বেশি। বেলজিয়ামেও লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তার মধ্যেই যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন স্ট্রেইন পাওয়া যাওয়ায় আশঙ্কা আরো বেড়েছে। ক্রিসমাস এবং নিউ ইয়ারের সময় ইউরোপের বাকি দেশের মতো বেলজিয়ামেও যথেষ্ট কড়াকড়ি ছিল। সূত্র : রয়টার্স, এএফপি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বেলজিয়াম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ