পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেলজিয়ামের রানি মাতিলদ মেরি ক্রিস্টিন জিলেইন গতকাল বুধবার দুপুরে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনার উপকূলীয় দাকোপ উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়নের ঝুলন্তপাড়া এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি ঝুলন্তপাড়ার স্থানীয় মানুষদের সাথে কিছু সময় মতবিনিময় করেন এবং খুলনার উপকূলীয় এলাকায় বসবাসরত মানুষদের জীবন-সংগ্রাম, সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ে ধারণা নেন। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের অতিদরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষেরা যেন বাস্তচ্যুত না হয় সেজন্য ইউএনডিপি, ইউএনসিডিএফ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও সুইডেন সরকারের অর্থায়নে এবং বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন পরিচালিত লজিক প্রকল্পের চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে এসময় রানিকে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়।
এর আগে রানি ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে সুতারখালীর নলিয়ান মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করেন। পরে সুতারখালী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের নিচতলায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইউএনসিডিএফ এর আর্থিক সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন লজিক প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থেকে স্থানীয় মানুষদের পানি সংগ্রহ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন এবং ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের উপকারভোগীদের সাথে সংক্ষিপ্ত সময় মতবিনিময় করেন। মতবিনিময়কালে উপকারভোগীরা দেশের দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ততা সমস্যার কারণে অতীতে পানযোগ্য পানির সঙ্কটের কথা তুলে ধরেন।
তারা জানান, আগে গ্রামীণ উৎস হতে পরিবারের খাওয়ার পানি সংগ্রহের জন্য নারীদের পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে যেতে হতো, নতুন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট হওয়ার পরে সহজেই লবণমুক্ত বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যাচ্ছে। রানি বিকেলে নলিয়ান মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে সুতারখালী ত্যাগ করেন।
রানির সফরকালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মিনিস্টার ইন ওয়েটিং হিসেবে রাষ্ট্রাচার দায়িত্ব পালনে তাঁর সাথে ছিলেন। স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পুরো উপকূলজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের যে ক্ষতিকর প্রভাব তা এখানে না আসলে কেউ অনুমান করতে পারবেনা । এখানে প্রতি বছর বন্যা হয়, জলোচ্ছ্বাস হয়, যা আমাদের নিত্যসঙ্গী। আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত কিভাবে মোকাবেলা করছি বেলজিয়ামের রানি সেটি নিজের চোখে দেখার জন্য এখানে এসেছেন এবং এখানকার মানুষের সাথে কথা বলেছেন। খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান খুলনার দাকোপ উপজেলার সুতারখালীতে রানিকে স্বাগত জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।