পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২৮ লাখ পরিবারে গবাদি পশু পালন হচ্ছে : ব্যাংক ঋণ পেলে পাল্টে যাবে গ্রামীণ চিত্র : চরাঞ্চলে ‘বাথান’ গ্রামে ঘরে ঘরে গরু প্রতিপালন
২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় এসে হঠাৎ করে ভারতের গরু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেয়। উদ্দেশ্য বাংলাদেশের মুসলমানদের গরুর গোশতের সংকটে ফেলা। মোদীর সেই অপকর্মে সাময়িক সংকটে ফেললেও ঘটনাটি ‘শাপে বর’ হয়ে গেছে। ‘শাপে বর’ শব্দের অর্থ হচ্ছে অকল্যাণ থেকে কল্যাণ। শাপ শব্দের অর্থ অভিশাপ, আর বর শব্দের অর্থ আশীর্বাদ। কাউকে অভিশাপ দিলে যদি অভিশাপ না লেগে উল্টো তা আশীর্বাদ হয় সেটাকে ‘শাপে বর’ বলা হয়। বিজেপি সরকার গরু দেয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য হয়েছে শাপে বর। পদ্মা-মেঘনা-যমুনা-তিস্তার হাজার হাজার চরে গরুর বাথান এবং গ্রামের কৃষকরা ঘরে ঘরে গরু প্রতিপালন করে দেশে গোশতের চাহিদা মিটিয়ে ভারতে উচিত জবাব দিয়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলা ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
রাজশাহী শহর থেকে পদ্মা পাড়ি দিয়ে পবা উপজেলার সীমান্তের চরমাঝদিয়া যাব। নৌকা থেকে নেমে কয়েক গজ এগোতেই ঘটলো বিপত্তি। সঙ্গী রাজশাহীর ফটো সাংবাদিক নিখোঁজ! দূরে একপাল গরু হেলেদুলে ধুলা উড়িয়ে এগিয়ে চলছে। সে দৃশ্য দেখেই ছবি তুলতে ছুটে গিয়ে চোরাবালিতে আটকে গেছে ক্যামেরাম্যান। ধূধূ বালুচর, অথচ মিনিটেই লোকটি হাওয়া!! যেদিকে দৃষ্টি যায় জনপ্রাণী নেই। হঠাৎ দূর থেকে বাতাসে মানুষের চিৎকারের আওয়াজ কানে এলো। সেদিকে ছুঁটতেই দেখি মার্টির এক মূর্তি; গোটা শরীর বালুকাঁদায় লেপটানো। যেন ডিসকভারী চ্যানেলের বেয়ার গেইল বিধ্বস্ত কাঁদামাখা শরীরে বিশ্ব জয় করে এলেন। পানিতে ভেজা ভাঙ্গা অ্যানড্রয়েড ফোন ও দামী ক্যামেরা ভেঙ্গে গেছে। ‘ভাই চোরাবালিতে ডুবে গিয়েছিলাম। যতই ওপরে ওঠার চেষ্টা করি ততই নীচে টেনে ধরে। এক রাখাল চিৎকার শুনে আমাকে বাঁচিয়েছেন’। যেন মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরা কোনো পর্বতোরোহী বিজয়ের গল্প শোনাচ্ছেন। ইনকিলাবের রাজশাহীর ব্যুরো চীফ রেজাউল করিম রাজু ভাই আগেই জানিয়েছিলেন, ফটো সাংবাদিক পরাগ বোহেমিয়ান টাইপের মানুষ, সতর্ক থাকবেন। কিন্তু সে চোরাবালিতে ডুবে যাবে ভাবিনি। নৌকায় একজন বলেছিলেন, কয়েক বছর আগে দুটি শিশু খেলতে নেমে পদ্মার চরে চোরাবালিতে তলিয়ে গেছে।
পদ্মার চর, নিধুয়া পাথার। ধূধূ বালুর ওপর দিয়ে মোটর বাইকে এগিয়ে চলছি। গন্তব্য চরমাঝারদিয়া সীমান্ত। পদ্মা চরাঞ্চল সীমান্ত এলাকা মানারচর, খানপুর, খিজিরপুর, আধারদিয়া, হারুনপাড়া, মাঝারদিয়া, পশ্চিমপাড়ার, খাসমহলপাড়ার মানুষ নৌকায় ও পায়ে হেটে চলাফেরা করেন। বৃত্তবানরা মোটর বাইকে যাতাযাত করেন। যুবকরা চরের বালুর ওপর দিয়েই মোটরসাইকেলে যাত্রী আনা নেয়া করেন। এটাই তাদের জীবিকা। বাইকে কয়েকশ গজ এগোতেই চোখে পড়লো গরুর পাল। রাখালরা গরু নিয়ে মাঠে যাচ্ছেন। একের পর এক গরুর পাল; লাইন ধরে গরু এগিয়ে চলছে। প্রতিটি পালে ৩০ থেকে ৫০টি ছোট-বড় গরু। খাসমহল পাড়ার রাহিজুল আলম, চরমাঝারদিয়ার আতাহার আলী ও হুমায়ুন কবির জানালেন, পবার হরিপুর ইউনিয়নের প্রায় সবাই গরু প্রতিপালন করেন। প্রতিটি পরিবারে ৫টি থেকে ৩০টি পর্যন্ত গরু রয়েছে। তবে বাথানে গরুর সংখ্যা ৫০ এর উপরে। ১০ হাজার জনসংখ্যার ইউনিয়নটিতে ১২শ পরিবার। তাদের মধ্যে ১১শ পরিবারে গরু প্রতিপালন করেন। চরের সীমান্ত গ্রাম হারুপাড়া, পূর্বপাড়া, পশ্চিম পাড়া, খাসমালপাড়া, আদর্শগ্রাম ঘুরে দেখা গেল সব বাড়িতেই গরু। কৃষরা জানালেন, বছরের যে সময় কাজ ছিল না খাওয়া-দাওয়ার কষ্ট হতো। এখন কাজ না থাকলে গরু নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন। গরুর দুধ বিক্রি করে সংসার চালান। চরনবীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পানি খাওয়াতে এসে হুমায়ুন কবির জানালেন, ভারত সীমান্ত দিয়ে গরু আসা বন্ধ করে দেয়ার পর চরাঞ্চলে গরুর বাথানের সংখ্যা বেড়ে গেছে। রাজশাহীর এই পদ্মা চরে আসার আগে পদ্মা, ব্রক্ষèপুত্র, তিস্তার ১৫ থেকে ২০টি চর ছাড়াও কয়েকটি উপজেলার অর্ধশত গ্রামে ঘুরেছি। দেখেছি কয়েক বছরে পাল্টে গেছে বাংলাদেশ। মোদী সরকার ভারতের গরু বাংলাদেশে আসা বন্ধ করে দেয়ায় কৃষকরা এখন ঘরে ঘরে গবাদিপশু প্রতিপালন করে স্ববলম্বী হয়ে উঠেছেন।
২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ৬ বছর থেকে ভারতের গরু সীমান্ত দিয়ে খুবই কম আসছে। এই সময়ে বাংলাদেশের কৃষকরা নানান পন্থায় গরু প্রতিপালন করে গবাদি পশু খাতকে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন। সংকটকে কাজে লাগিয়ে চিন্তাশক্তি কর্মোদ্যমের মাধ্যমে যে সম্ভাবনার সৃষ্টি করা যায়; বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের কৃষকরা তার নজীর সৃষ্টি করেছেন। যুগ যুগ ধরে ভারতীয় গরুতে বাংলাদেশের ভোক্তাদের গোশতের চাহিদা মেটানো হলেও এখন দেশের উৎপাদিত গরুতেই চাহিদা পুরণ সম্ভব হচ্ছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ ইনকিলাবকে বলেন, আমরা বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেখতে পেয়েছি, গবাদিপশু পালনে দ্রæত দারিদ্র্য বিমোচন হয়। একই সঙ্গে দেশের গোশতের চাহিদা মেটে, বিদেশি মুদ্রার সাশ্রয় হয়। ফলে গবাদিপশুর সংখ্যা বৃদ্ধি সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতি, বিশেষত গ্রামীণ অর্থনীতিকে বদলে দিচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য মতে, বাংলাদেশে ২৮ লাখ পরিবার সরাসরি গবাদি পশু পালন করে থাকে। বর্তমানে দেশে গরুর সংখ্যা দুই কোটি ৩৬ লাখ এবং মহিষের সংখ্যা ১৫ লাখের বেশি। তবে এর মধ্যে গাভী ও বকনা বাছুরের সংখ্যা প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ। ছাগল ও ভেড়ার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দুই কোটি ৫৫ লাখ। মোট গরুর ৬০ শতাংশই পালন করা হয় কুষ্টিয়া, যশোর, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলায়। তবে ভারতের গরু আসা কমে যাওয়ার পর দেশের গোশতের চাহিদা মেটাতে রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, রাজশাহী, নিলফামারী, লালমনিরহাট, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ জেলায় কৃষক পর্যায়ে গরুর প্রতিপালন বেড়ে গেছে। উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলা ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি গ্রামে কৃষকরা বিশেষ পদ্ধতিতে গরু প্রতিপালন করছেন। প্রতিটি পরিবারে একটি, দুটি থেকে ১০টি পর্যন্ত গরু প্রতিপালন করা হচ্ছে, শুধু ঈদুল আজহার কোরবানীর হাটে বিক্রি করার জন্য। তিস্তা, পদ্মা, ব্রক্ষপুত্র, যমুনা, মেঘনা নদীর চরাঞ্চলে আদিম প্রক্রিয়া বড় পরিসরে বাথানে গরু প্রতিপালন করা হচ্ছে। নদ-নদীর চরের সীমান্ত গ্রামগুলোতে কয়েকটি করে গরুর বাথান রয়েছে। রাখাল সকালের ভাত খেয়ে গামছায় কিছু খাবার বেঁধে নিয়ে গরুর পাল নিয়ে চরে চলে যান। সারাদিন মাঠে গরু ঘাস খেয়ে সন্ধ্যায় রাখার গরুর পাল নিয়ে ঘরে ফিরে আসেন। এমন দৃশ্য চরাঞ্চলে এখন স্বাভাবিক চিত্র। ভারত থেকে গরু আসা কমে যাওয়ায় মূলত গরুর এই প্রক্রিয়ায় প্রতিপালন বেড়ে যায়।
ভারত থেকে সীমান্ত দিয়ে চোরাই গরুর পিছনে প্রতিবছর কত টাকা খরচ হতো তার পরিসংখ্যান নেই। তবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এবং বিভিন্ন তথ্যের আলোকে জানা যায়, ভারত থেকে গরু বৈধ পথে আমদানি বাবদ প্রতি বছর প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ হতো। এই টাকা অবৈধ পথে চলে যেত ভারতে। অথচ গরু-মহিষ লালন-পালনের লক্ষ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হলে দেশের চাহিদা পূরণ করে গোশতে ও পশুর বর্জ্য রপ্তানি করে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটানো যায় বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ।
উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলার গ্রামাগঞ্জ ঘুরে দেখা গেল বেকারদের কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গরুর খামার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, তিস্তার চরাঞ্চলের গরুর বাথানের রাখালরা জানান, গরুর গোশতে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য চরের গরীব কৃষক, ক্ষেতমজুর এমনকি গৃহিনীদের সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। চরের কৃষক ও ক্ষেতমজুরদের ‘দিন আনে দিন খাওয়া’ অবস্থা। ঋণ পেলে ৫ থেকে ১০টি পর্যন্ত গরু ক্রয় করে প্রতিপালন করতে পারেন। পুঁজির অভাবে গরু লালন-পালন করতে পারছেন না। আর গৃহিনীরা এমনিতেই ঘরের কাজ করেন; তবে যাদের গরু রয়েছে তারা গৃহকর্মের পাশাপাশি গুরু প্রতিপালন করে বাড়তি আয় করছেন।
এদিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও গোশত ব্যবসায়ীদের তথ্য থেকে জানা যায়, দেশে প্রতিবছর প্রায় এক কোটি ৪০ লাখের মতো গরু ও মহিষ জবাই হয়। যার ৬০ শতাংশই হয়ে থাকে কোরবানির ঈদে। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের হিসেবে বর্তমানে দেশে গবাদিপশুর সংখ্যা ৪ কোটি ৯০ লাখ। এর মধ্যে গরু ও মহিষ ২ কোটি ৩৫ লাখ এবং ছাগল ও ভেড়া ২ কোটি ৫৫ লাখ। ঈদুল আজহায় কী পরিমাণ গরু কোরবানি হয় তার সুনির্দিষ্ট হিসাব না থাকলেও বাণিজ্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যমতে, প্রতিবছর দেশে ৪০ লাখ গরুসহ প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ পশু কোরবানি হয়ে থাকে।
আগে শুধু কোরবানি ঈদে ভারত থেকে ২০ থেকে ২২ লাখ গরু-ছাগল বৈধ-অবৈধ পথে বাংলাদেশে আসতো। সারা বছরে এই সংখ্যা ৩০ লাখে ছুঁয়ে যেত। ভারত থেকে গরু আসা বন্ধ হওয়ার পর দেশে গরুর চাহিদা বেড়ে গেছে। বাড়তি আয়ের জন্য কৃষক পর্যায়ে প্রতিবছর ২৫ শতাংশ হারে গবাদিপশুর খামার বাড়ছে। ছোট-বড় মিলিয়ে এখন খামারের সংখ্যা প্রায় ১২ লাখ। গত তিন বছরে দেশে গরু-ছাগলের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২০ লাখ। পাশাপাশি মহিষের উৎপাদনও ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথ ছাড়াও ভারতীয় গরু আমদানিতে সীমান্তবর্তী রাজশাহী, যশোর, খুলনা, সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৩১টি করিডোর ব্যবহৃত হতো। এখন এসব করিডোর দিয়ে ভারতীয় গরু আমদানি নেই বললেই চলে। দেশে উৎপাদিত গরুর পর্যাপ্ত সরবরাহের কারণেই ভারতীয় গরু আনার ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।
উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা জানান, এখন গ্রামে বিদ্যুৎ থাকায় গরু প্রতিপালন সহজ হয়ে গেছে। গরুর খামার স্থাপনের জন্য স্থান নির্বাচনে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হলো শুষ্ক ও উঁচু জায়গা হতে হবে; যাতে খামার প্রাঙ্গণে পানি না জমে থাকে। ঘরে খোলামেলা ও প্রচুর আলো-বাতাসের সুযোগ থাকা আবশ্যক। খামারে কাঁচামাল সরবরাহ ও উৎপাদিত দ্রব্যাদি বাজারজাতকরণের জন্য যোগাযোগ সুবিধা থাকতে হবে। পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের সুষ্ঠু ব্যবস্থা থাকতে হবে। সুষ্ঠু নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকতে হবে, যেমন- পানি, মলমূত্র, আবর্জনা ইত্যাদি। বিদ্যুতের বদৌলতে গ্রামে এই সুযোগ-সুবিধাগুলো পাওয়া যাচ্ছে। এখন প্রয়োজন শুধু গরু ক্রয়ে পুঁজি।
রাজশাহীর পবা উপজেলার খানপুর ও খিদিরপুর গ্রামের বিপরীতে ভারতের মুন্সিপাড়া, হারোডাঙ্গা মোহনগঞ্চ কারগিল, কাহারপাড়া, দুর্গাপুর গ্রাম। দুর্গাপুরগ্রাম ঘেষে বাংলাদেশের জাভেদমন্ডর পাড়া গ্রাম। সে গ্রামের হাজী আবদুল কাদের (৮০) জানালেন, চরে যাদের গরু রয়েছে তারা কার্যত ‘রাজা’। কয়েকটা গরু থাকলে মাঠে কাজ না করেই গরু প্রতিপালন করে সংসার চলে। শুধু আবদুল কাদের নয়; যাদের সঙ্গে গরুর বাথান নিয়ে কথা হয়েছে তাদের প্রায় সকলেই বলেছেন, গ্রামে কৃষক ও ভূমিহীন ক্ষেতমজুরদের গরু প্রতিপালনের সাফল্যের কথা। যাদের গরু রয়েছে তাদের খেয়েপড়ে বেঁছে থাকার অবলম্বন রয়েছে। সবার কথা সরকার গরু প্রতিপালনের লক্ষ্যে অল্প সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করলে মানুষ গরু প্রতিপালন করে নিজেদের ভাগ্য বদলের পাশাপাশি দেশের গ্রামীণ অর্থনীতির চাকাও সচল করতে পারবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।