পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
নতুন রেলপথে যুক্ত হলে ইরান-পাকিস্তান ও তুরস্কের মধ্যে অর্থনীতি ও সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। সেই লক্ষ্যে ইরান, পাকিস্তান এবং তুরস্ক একটি রেল লাইন পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে। রেলওয়ে লাইনটি তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহর থেকে ইরানের রাজধানী তেহরানকে সংযুক্ত করে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ পৌঁছাবে। পরে লাইনটি স্বাভাবিকভাবেই চীন পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে প্রকাশিত নিউজ ম্যাগাজিন নিকি এশিয়া এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে। ২০০৯ সালে এই তিন দেশ একটি কন্টেইনার ট্রেন উদ্বোধন করেছিল কিন্তু সেটি শুধুমাত্র পরীক্ষার পর্যায়ে ছিল; তা আর পূর্ণমাত্রায় চালু হয়নি। তবে তিন দেশই মাল পরিবহনের পাশাপাশি যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করার বিষয়টিও সবসময় বিবেচনায় রেখেছিল এবং এখন চীনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে এই তিন দেশের যাত্রীবাহী রেললাইন সংযুক্ত হতে যাচ্ছে। তিন দেশের মধ্যে যে রেললাইন রয়েছে সেটি ৬,৫৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ। তুরস্ক থেকে পাকিস্তানের রাজধানী পর্যন্ত পৌঁছাতে যেখানে সমুদ্রপথে ২১ দিন প্রয়োজন হয় সেখানে রেল যোগাযোগের মাধ্যমে ১০ দিনে তা সম্ভব। পরে পাকিস্তান থেকে রেল লাইনটি উইঘুর মুসলিম অধ্যুষিত শিনজিয়াং প্রদেশে পর্যন্ত বিস্তৃত করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান যুক্ত হলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়ানো তার জন্য অনেক সহজ হবে। এটি হবে ইরানের জন্য বিকল্প বাণিজ্যপথ। নতুন রেলপথের যুক্ত হলে ইরানের অর্থনীতিও অনেকটা স্বস্তির মধ্যে পড়বে। পার্সটুডে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।