পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনায় বিপর্যস্ত বিশ্ব অর্থনৈতিক কাঠামো। বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়েছে। আর এ সঙ্কটের প্রভাব বেশি পড়েছে দেশের ব্যাংকখাতে। করোনা সংক্রমণের শুরুতে সাধারণ ছুটিতে সবকিছু বন্ধ থাকলেও ব্যাংকগুলো সীমিত পরিসরে খোলা ছিল। যদিও দু’একটি বাদে স্বাভাবিক কর্মকান্ড পরিচালনা করেনি ব্যাংকগুলো। বিশেষ করে ঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলো নিজেদের গুটিয়ে রেখেছে। আর সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে গড়িমসি ও নিয়ন্ত্রণহীনভাবে করা হয়েছে। যেসব গ্রাহকরা আগেই হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ফেরত দেয়নি তাদেরকে বিপুল পরিমাণে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। আর বঞ্চিত হয়েছে এসমএই খাতের উদ্যোক্তা ও কৃষকরা। ছাড়ের কারণে ব্যাংকগুলোর অবস্থা খাতা কলমে ভালো দেখা গেলেও ব্যাংকগুলোর প্রকৃত অবস্থা খারাপ হয়েছে। সঙ্কটকালে রেমিট্যান্সের উচ্চবৃদ্ধি ব্যাংকগুলোর তারল্য বাড়িয়েছে। বছরজুড়ে করোনার কারণে নীতিগত সুবিধা উপভোগ করছে ব্যাংকখাত। স্বাভাবিক নিয়মে ফিরে এলে ব্যাংকগুলো বিপাকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেছেন, আগামী দুই-এক বছরে ব্যাংকের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হবে। ছাড় দেয়ার কারণে যাদের খেলাপি হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি তাদের বিষয়টি তো আর বছরের পর বছর আটকিয়ে রাখা যাবে না। এক সময় এসব ঋণ খেলাপি ঋণে চলে আসবে। তখন খেলাপি ঋণগুলো ব্যাংকের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। তিনি বলেন, বড়দের কথায় দেশের অর্থনীতি চলছে। তাদের হাতে বন্দি সরকার। এসব বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসা উচিত। বড় ব্যবসায়ীদের দিকে না তাকিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। তারপরও বলব ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজে শুধুমাত্র বড় ব্যবসায়ীরা উপকৃত হয়েছে তা নয়। করোনাকালীন অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে আগামীতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যাক্তাদের দিকে বেশি নজর দিতে হবে।
বছরজুড়ে রেমিট্যান্সে রেকর্ড : করোনা সঙ্কটের মধ্যেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে দেশের ইতিহাসে বার বার রেকর্ড ভেঙেছে। সঙ্কটকালীন মুহূর্তে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সই ছিল দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি। মহামারির মধ্যে গেল মাসগুলোর পাঠানো রেমিট্যান্স অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। যদিও বিদেশ থেকে হাজার হাজার কর্মীদের দেশে ফেরত আসা, চাকরি হারানোয় সামনের দিনগুলোতে খারাপ পরিস্থিতিরও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরে মোট এক হাজার ৮২০ কোটি ৩০ লাখ বা ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এটি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট ১৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন রেমিট্যান্স এসেছিল। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) রেমিট্যান্স এসেছে ৮৮২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময় রেমিট্যান্স এসেছিল ৬১৬ কোটি ১০ লাখ ডলার। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৪৩ দশমিক ২৪ শতাংশ।
মাস হিসেবে তুলনা করলে দেখা যায়, নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রায় ২৬০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ২২ হাজার ৯৫ কোটি টাকা। কোনো একক মাসে এত বেশি প্রবাসী আয় আগে আসেনি। এর আগে একক মাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল ঠিক আগের মাসেই, জুনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৩ কোটি ডলার (প্রায় ১৫ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা)। সেই হিসাবে এক মাসেই প্রবাসী আয় বেশি এসেছে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ২১৫ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা ৪৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। সেপ্টেম্বরে ১৪৭ কোটি ৬৯ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ডলার। নভেম্বরে রেমিট্যান্স ২০৭ কোটি ডলার যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৩ শতাংশ বেশি। সবমিলিয়ে গেল বছরের জুলাই-নভেম্বর (পাঁচ মাসে) এসেছে ১ হাজার ৯০ কোটি ৪৪ লাখ (১০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন) ডলার। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বা ৪১ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশের ইতিহাসে পাঁচ মাসে এত রেমিট্যান্স আগে কখনও আসেনি।
নতুন উচ্চতায় রিজার্ভ : প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের উপর ভর করেই রিজার্ভে একের পর এক রেকর্ড করে চলছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফের রেকর্ড ভেঙে গতকাল ৪৩ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। দেশের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ রিজার্ভ। বর্তমানের রিজার্ভ দিয়ে প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার হিসেবে প্রায় সাড়ে দশ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
গত কয়েক বছর ধরেই রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। দশ বছর আগে ২০০৯-১০ অর্থবছরের জুন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। ২০১৩-১৪ অর্থবছর শেষে সেই রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে ২০১৯ সালের অক্টোবরে। ২০২০ সালের ৩০ জুন সেই রিজার্ভ বেড়ে ৩৬ বিলিয়ন ডলারে ওঠে।
সিঙ্গেল ডিজিট সুদ হার বস্তাবায়ন : অনেক আলোচনার মধ্যে ব্যাংক ঋণে সুদ হার সিঙ্গেল ডিজিটে বাস্তবায়ন হওয়ার খবরও বিদায়ী বছরের আলোচিত খবর। করোনা সঙ্কট মোকাবেলায় সরকার যেসব পরিকল্পনা নিয়েছে এক অঙ্কে সুদ হার ছিল অন্যতম সহায়ক সংযোজন। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ১ এপ্রিল থেকে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া ব্যাংক ঋণের সুদ হার ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে যেখানে সব কিছু বাজারের উপর নির্ভর করে সেখানে সুদের হারও বাজারের উপর নির্ভর করার বিষয়ে তাগিদ দিয়েছিলেন বিশ্লেষকরা। আবার কেউ কেউ বলেছেন করোনার মুহূর্তে ব্যবসায়ীরা এ হারে বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে করোনার প্রথম ঢেউ সহজেই মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে।
ব্যাংক ব্যবসায় ভাটা : করোনা সঙ্কটে ব্যাংক খাত ছিল মুনাফাবিমুখ। প্রতিবছর লাভের আশা করলেও সঙ্কটকালীন মুহূর্তে লাভকে প্রাধান্য না দিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে গ্রাহকদের পাশে দাড়িয়ে টিকে থাকার লড়াই করেছে ব্যাংকগুলো। বিদায়ী বছরে অর্থনীতির ক্ষতি মোকাবেলায় ঋণ আদায়ে নিষেধাজ্ঞা, এক অঙ্কে সুদহার নির্দেশনাসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা নির্দেশনা জারিতে বিদায়ী বছরটা ছিল ব্যাংক ব্যবসার ভাটার বছর।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, এপ্রিল থেকে জুন প্রান্তিকে ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলো আদায় করেছে ৯৯৬ কোটি টাকা যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা কম। সে সময় আদায়ের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৯১২ কোটি টাকা। একই সময়ে নিয়মিত ঋণের বিপরীতে আদায় হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে আদায় থেকে কম হয়েছে ৫৩ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা। অপরদিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত জানুয়ারি থেকে জুন সময়কালে আমানতকারীদের ঋণের বিপরীতে সুদ বাবদ আয় করেছে ৩১ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে তুলনায় ৩৫১ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ১১ শতাংশ কম।
এবিবি’র সাবেক চেয়ারম্যান ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, মহামারির কারণে দেশের ব্যবসা পরিস্থিতি ভালো নেই। ফলে অনেকেই ঠিকমতো ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না। তার ওপর এক অঙ্কের সুদ হার বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ব্যাংকগুলোর নিট মুনাফায় ধাক্কা লেগেছে। ইতোমধ্যেই অনেক ব্যাংকেরই ঋণ দেয়া ও টাকা ফেরত আসার পরিমাণ কমে গেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাংকের মুনাফায় ধস নেমেছে।
আলোচনায় খেলাপি ঋণ : দেশের ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ এখনও বিষফোঁড়া। করোনা সঙ্কটে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দিক বিবেচানায় নানা সুবিধা প্রদান করায় ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের উল্টো চিত্র দেখালো ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ (জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) ৯৪ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা যা মোট বিতরণে ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ। জুন প্রান্তিকে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৯৬ হাজার কোটি টাকা, যা মোট বিতরণের ৯ শতাংশ। অপরদিকে মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৯২ হাজার ৫১০ কোটি টাকা। প্রকৃতভাবে দেশের খেলাপি ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি। করেনায় অর্থনীতির ক্ষতি বিবেচনায় তিন দফায় জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কাউকে খেলাপি না করার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নির্দেশনা প্রত্যাহার করলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আবার বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে করোনা সঙ্কটে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিয়েও যারা ইতোমধ্যে ২ শতাংশ সুদে ঋণ পুনঃতফসিলের সুবিধা নিয়েছেন তারা এ প্রণোদনার কোন সুবিধা না পাওয়ায় বিপাকে আছেন। অথচ এসব ঋণগ্রহীতারা এমনিতেই ঋণের ভারে নুহ্য। ব্যবসার খারাপ অবস্থার মধ্যেও নীরব ঘাতক খেলাপি ঋণ দূরীকরণে সরকারের ঘোষণায় ঋণ পুনঃতফসিলের সুবিধা নিয়েছেন অনেকেই। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অবদান রেখে যারা নানামুখী সমস্যায় পড়ে খেলাপি হয়েছেন তারা আবার স্বাভাবিক ব্যবসায় ফেরার সাহস যোগাচ্ছেন। কিন্তু সুবিধার আওতায় আসার পর থেকেই করোনার থাবা পড়েছে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও। এমন পরিস্থিতিতে তাদের ব্যবসা চালিয়ে রাখাটাই কষ্টকর। সেক্ষেত্রে সরকারের কাছে তাদেরকে আরো কিছু সহযোগিতার জন্য দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে অন্যান্য ঋণগ্রহীতাদের মতো সরকারের সুযোগ তাদের জন্য বলবৎ রাখার দাবি জানিয়েছেন অনেকে। করোনায় দেশের সবারই ব্যবসা-বাণিজ্যে বিপর্যয় নেমে এসেছে। তাই সবার জন্যই সমান সুযোগ দেয়ার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
কর্মী ছাঁটাই আতঙ্ক : করোনায় আর্থিক দুর্যোগে ব্যাংক খাতে কর্মী ছাঁটাই আতঙ্কও ছিল বিদায়ী বছরের সবচেয়ে অমানবিক খবর। করোনা দুর্যোগে পুরোনো ধ্যান ধারণা নিয়ে বহু কর্মীকে ছাটাই করেছে কয়েকটি ব্যাংক। যদিও পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বরণাপন্ন হয়ে কেউ কেউ চাকরি ফিরে পেয়েছেন। ছাটাইয়ের পাশাপাশি বেতন ভাতাদিসহ নানা সুযোগ-সুবিধা কমানোর ঘোষণাও দিয়েছে অনেক ব্যাংক। পাশাপাশি কয়েকটি ব্যাংক বেতন না কমানোর ঘোষণাও দিয়েছে। এসব কর্মকান্ডে বিদায়ী বছরটি ব্যাংক কর্মকর্তাদেরও হতাশার বছর ছিল।
করোনায় ব্যাংক কর্মকর্তাদের মৃত্যু : করেনা মহামারির শুরুর দিকে সরকারি সব অফিস আদালতে যখন ছুটি ঘোষণা করা হয়। তখন ব্যাংক কর্মকর্তা, ডাক্তার, স্বাস্থ্যসেবাকর্র্মী, পুলিশ বাহিনী, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সম্মুখযোদ্ধাদের ন্যায় ব্যাংক কর্র্মীদের কার্যক্রমও ছিল চোখে পড়ার মতো। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যাংকিং সেবা দিয়ে কতজন ব্যাংকার আক্রান্ত হয়েছেন তার পুর্ণাঙ্গ হিসাব না থাকলেও এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৪০ জন ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু এবং প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা আক্রান্ত হওয়ার তথ্য আছে।
গভর্নরের মেয়াদ বৃদ্ধি : বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্ডার অনুযায়ী, ৬৫ বছরের বেশি হলে কেউ গভর্নর থাকতে পারবেন না। বর্তমান গভর্নরকে নিয়োগ দিতে সংশোধন করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার। যা দেশের ইতিহাসে প্রথম ঘটনা। এখন থেকে যারাই গভর্নর হিসেবে থাকবেন সংসদে বিল পাশ না হওয়া পর্যন্ত ৬৭ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন।
নতুন ১টি ব্যাংকের অনুমোদন : করেনাকালে সিটিজেন ব্যাংক লিমিটেড নামে আরও একটি বেসরকারি ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সভায় ৫শ’ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনসহ প্রয়োজনীয় সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ব্যাংকটির কার্যক্রম পরিচালনা করার চূড়ান্ত অনুমতি দেয়া হয়েছে। নতুন এ ব্যাংক নিয়ে দেশে মোট ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬১টি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।