পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় একটি ‘আন্তঃধর্মীয় মহাসমাবেশ ও মহোৎসবে’ আল্লাহর নাম দিয়ে ব্যানার ও পোস্টারিং করায় ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এই প্রেক্ষিতে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন রাতে ইনকিলাবকে বলেন, আন্তঃধর্মীয় মহোৎসবের অনুষ্ঠানের পোস্টারে বিভিন্ন ধর্মের দেবতাদের নামে সাথে আরবিতে লেখা ‘আল্লাহু’ মনোগ্রাম জুড়ে দেয়া হয়। এতে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে আমরা অনুষ্ঠান বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছি। সেখানে এলজিইডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা প্রধান অতিথি হিসাবে থাকা কথা থাকলেও তিনি তা বাতিল করেছেন বলেও জানান তিনি। ডিসি বলেন, এসব পোস্টার প্রত্যাহার করে নতুন করে পোস্টার তৈরী করে তাদের অনুষ্ঠান করতে বলা হয়েছে।
জানাগেছে, উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নের ‘সত্যানন্দ’ ও ‘কালা বাবা যুগসিদ্ধ আশ্রমের’ উদ্যোগে গতকাল (শুক্রবার) সত্যানন্দ মহারাজ ও কালা বাবা মহারাজ স্মরণে ১৫১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ‘আন্তঃধর্মীয় মহাসমাবেশ ও মহোৎসব’ অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। এ উপলক্ষে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নামে পোস্টারিং ও ব্যানার লাগানো হয়। পোস্টার ও ব্যানারে সত্যানন্দ মহারাজ ও হনুমানের ছবি দেয়া হয়। তাতে সত্যানন্দ মহারাজের পায়ের নিচে এবং হনুমানের ভল্লমের নিচে ওঁ এবং পরে আরবীতে লেখা ‘আল্লাহু’ তার পরে হনুমানের চড়ক মনোগ্রাম জুড়ে দেয়া হয়।
স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাসেলুল কাদেরকে জানালে তিনি বিষয়টি নিয়ে আয়োজক কমিটির পরিচালক সদীপ দেবনাথসহ ধর্মীয় লোকজন নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে বৈঠক করেন। এতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার আশংকায় উক্ত মহাসমাবেশ ও মহোৎসব স্থগিত রেখে পরবর্তীতে পোস্টার ও ব্যানার সনাতনী ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ছাপিয়ে অনুষ্ঠান করার পরামর্শ দেন। ফলে গতকাল এ অনুষ্ঠানটি আয়োজক কমিটি বন্ধ করে দেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এলজিইডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাসেলুল কাদের জানান, উক্ত অনুষ্ঠানটি আন্তধর্মীয় মহাসমাবেশ বলা হলেও সেখানে সকল কর্মসূচী ছিল সনাতনী ধর্মের। মুসলমানের কোন কর্মসূচী না থাকা সত্তে¡ও পোস্টার ও ব্যানারে আল্লাহর নামে মনোগ্রাম থাকায় ধর্মপ্রাণ লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। ফলে অনুষ্ঠানটি বদ্ধ করে দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।