পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার বর্ধিত সময় শেষের পথে। তবে কর অঞ্চলগুলোতে নেই করদাতাদের ভিড়। রিটার্ন জমা দেয়ার আর চারদিন বাকি থাকলেও খাঁ খাঁ করছে কর অঞ্চলগুলো। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সেগুনবাগিচা, পল্টনের বেশ কিছু কর অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, করদাতাদের চাপ নেই অঞ্চলগুলোতে। কয়েক জায়গায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে রিটার্ন জমা দেয়ার অস্থায়ী বুথ। উপ-কর কমিশনারের কার্যালয়ে জমা নেয়া হচ্ছে রিটার্ন। কর অঞ্চলের কর্মকর্তারা বলছেন, এখন সাধারণ করদাতার চাপ নেই।
সেগুনবাগিচায় কর অঞ্চল-১১-এ রিটার্ন জমা দিতে আসা কাওছার রহমান জানান, শুধুমাত্র ৩০-৩১ ডিসেম্বর অস্থায়ী বুথে রিটার্ন জমা নেয়া হবে বলে শুনলাম। এখন শুধু সার্কেলে রিটার্ন জমা নিচ্ছে। কর অঞ্চল-১৫-এর প্রধান সহকারী আলম হোসেন বলেন, এখন রিটার্ন কম জমা পড়ছে। তারপরেও লোক আসছে। শেষ সময়ে ভিড় বাড়তে পারে।
নভেম্বরে করোনার কারণে সীমিত পরিসরে আয়কর মেলার আয়োজন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নভেম্বর মাসের শেষে করদাতাদের ভিড় ও আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্ধারিত সময়ের শেষে রিটার্ন দেয়ার সময় বাড়িয়ে দেয় এনবিআর। গত ৩০ নভেম্বর ছিল রিটার্ন জমা দেয়ার শেষ দিন, তবে এক মাস বাড়িয়ে তা ৩১ ডিসেম্বর করা হয়। তবে শেষ সময়ে একদমই কমে গেছে করদাতার সংখ্যা। প্রতি ঘণ্টায় ৪/৫ জন রিটার্ন জমা দিতে আসছেন। শেষ মুহুর্তে আবারও চাপ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন কর কর্মকর্তারা।
কর অঞ্চলগুলোতে ঘুরে ও করদাতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নভেম্বর মাসেই অধিকাংশ করদাতারা রিটার্ন জমা দিয়ে ফেলেছেন। এ কারণে রিটার্ন জমা দিতে আসা করদাতাদের উপস্থিতি একেবারেই কম। যারা ভুলে গিয়েছিলেন, অথবা কোনো কাজে ব্যস্ত ছিলেন তারা এখন রিটার্ন জমা দিতে আসছেন।
এদিকে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ১৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫৮৭টি আয়কর রিটার্ন দাখিল হয়েছে। বর্তমানে ইটিআইএনধারীর সংখ্যা ৫০ লাখ ছাড়িয়েছে জানিয়ে এনবিআর বলছে, চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত আয়কর আদায় হয়েছে ৩ হাজার ২৮ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত আয়কর থেকে আদায় হয়েছিল ৩ হাজার ২৪১ কোটি টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।