মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অমর্ত্য সেনের ব্যাপারে বিজেপিকে একচুলও ছাড় দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ভারতীয় গায়ক কবির সুমন।ভারতে সম্প্রতি শান্তিনিকেতনে পশ্চিমবঙ্গের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের পৈত্রিক বাড়ি ‘প্রতীচী’ সংলগ্ন একটি জমি নিজেদের বলে দাবি করে চিঠি পাঠায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার এই চিঠির বিরোধিতায় প্রথম সরব হন পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সহানুভূতি জানিয়ে চিঠি দেন অমর্ত্য সেনকে। -টাইমস অব ইন্ডিয়া, ওয়াল, হিন্দুস্তান টাইমস
মমতার চিঠির জবাবে অমর্ত্য লেখেন, ‘চিঠিতে আপনার সমর্থনের কথা জানতে পেরে আমি খুব খুশি। এটা শুধু আমাকে স্পর্শ করেনি, আমাকে আশ্বস্ত করেছে। আপনার ব্যস্ত জীবনের মধ্যেও আক্রান্ত মানুষের জন্য আপনি সময় বের করেছেন। আপনার শক্তিশালী কণ্ঠ, যা ঘটছে তা নিয়ে আপনার উপলব্ধি আমার কাছে শক্তির উৎসস্বরূপ’। এদিকে রোববার দুপুরে কলকাতায় বাংলা একাডেমির সামনে সমবেত হয়ে এই প্রতিবাদে যোগ দেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, গায়ক কবির সুমন, জয় গোস্বামী, শুভাপ্রসন্ন, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, সুবোধ সরকার, যোগেন চৌধুরী প্রমুখ। প্রতিবাদ সমাবেশে কবির সুমন বলেন, ‘যদি কেউ বলেন যে ক্ষীতিমোহন সেনের মেয়ে বা তার স্বামী একটা জমি কিনেছেন কিন্তু সেটা অবৈধ, তা হলে কী বলব? আমার ধারণা, বিশ^ভারতী কর্তৃপক্ষ আরো প্ররোচনা দেবে। এটা দিয়ে শুরু হল।’
বিজেপির নাম না নিয়ে কবির সুমন বলেন, ‘এই লোকগুলো সম্পর্কে আমি কিছু বলতে চাই না। কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা একচুলও ছাড় দেব না। এখানে এসে আমরা এটাই পরিষ্কার করে জানাতে চাই যে, ছাড় দেয়া হবে না। সেই ছেড়ে না দেয়ার কত রকম উপায় আছে সেটা এর আগে যারা শাসক ছিলেন তারা দেখেছেন, এবার এরাও দেখবেন।’ একাডেমির চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশে সকলের হাতে একটি পোস্টারে লেখা দেখা যায়, ‘বিজেপি’র বাঙালি অপমান মানছি না, মানব না।’ গায়ক সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার মনে হয়, সব কিছুতেই একটা দাড়ি টানা উচিত কোথাও। রাজনীতি তো হবেই, গণতন্ত্রে অনেক দল আসবে, যাবে, সে সবই ঠিক আছে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, অমর্ত্য সেনের এটা প্রাপ্য নয়। যার সঙ্গে শান্তিনিকেতনের সরাসরি যোগাযোগ এবং যার নামকরণ স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর করেছেন, তিনি এটা ডিজার্ভ করেন না। তার প্রতিবাদ জানাতেই আমার এখানে আসা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।