পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা থেকে মুক্তি লাভের প্রার্থনার মধ্যদিয়ে গতকাল উৎসব মুখর পরিবেশে সারাদেশে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন পালিত হয়েছে। খ্রিস্টান স¤প্রদায় নানা আনুষ্ঠানিকতায় পালন করছে তাদের সবচেয়ে এই বড় উৎসব।
সারা বিশ্বের মানুষের মঙ্গল কামনা এবং দেশ ও জাতির শান্তি কামনায় শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার গির্জা ও উপাসনায়ে প্রার্থনা শুরু হয়। মহামারি করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বড়দিনের উৎসব উদযাপনের আহবান জানানো হয়েছিল।
দিবসটি উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সব বাড়িতেই ছিলো কেক, পিঠা, কমলালেবু, পোলাও-বিরিয়ানিসহ বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু ও উন্নত খাবারদাবারের আয়োজন। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন, বেসরকারি টিভি ও রেডিও দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান স¤প্রচার করেছে। সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। খ্রিস্ট ধর্মানুসারীরা গতকাল যথাযথ ধর্মীয় আচার, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করেন।
বড়দিন উৎসব উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন চার্চ ও গির্জায় গির্জায় বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী জাঁকজমকপূর্ণ এই সাজসজ্জায় গোশালা স্থাপন, রঙিন কাগজ, ফুল ও আলোর বিন্দু দিয়ে দৃষ্টিনন্দনভাবে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়েছে। করোনার সময়ে পাঁচতারা হোটেলগুলোতেও বড়দিনের আয়োজনের কমতি ছিল না। তবে হোটেলগুলোতে আগতদের সংখ্যা ছিল খুবই কম। এদিকে করোনার বিস্তার রোধে এবারে বিশ্বের খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ বহু দেশে জমকালো আয়োজন নেই।
সকালে রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক চার্চে নব অভিষিক্ত আর্চ বিশপ বিজয় এন ডি’ ক্রুজ প্রার্থনা পরিচালনা করেন এবং খ্রিস্টযোগে অংশ নেন। আর্চ বিশপ এসময় বলেন, ‘আমরা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেই তার পুত্রকে, আমাদের মুক্তিদাতা, ত্রাণকর্তাকে, তিনি যখন পাঠিয়েছেন, তিনি তখন দেহ ধারন করেছেন। তিনি মানুষ হয়েছেন আমাদের মুক্তির জন্য। আর এই মুহূর্তে আমরাসহ সারাবিশ্ব শঙ্কিত, ভীত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে। আমরা প্রার্থনা করি যাতে সারাবিশ্বের প্রতিটি মানুষ করোনাভাইরাস মহামারি থেকে মুক্তি লাভ করে। যাতে আবার আমরা সুখে শান্তিতে একাত্মতার মধ্যে জীবন যাপন করতে পারি।
সকাল সাড়ে ৮টায় কাকরাইলের সেন্ট ম্যারিস ক্যাথেড্রাল চার্চে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। চার্চের ফাদার বিমল ফ্রান্সিস গোমেজ বলেন, যিশুখ্রিস্ট এ পৃথিবীতে এসেছিলেন শান্তির বার্তা নিয়ে। আমাদের প্রার্থনা ছিল সারা বিশ্বের মানুষের মঙ্গল এবং দেশ ও জাতির শান্তি কামনা। একই সঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী সবার আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।