নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পয়েন্ট টেবিলে এসি মিলানের অবস্থান চোখ রগড়ে আরও একবার দেখতে হয়! ইউরোপিয়ান ফুটবলে মিলান সব সময় বড় দলগুলোর একটি। কিন্তু সত্যটা হলো সান সিরোর ক্লাবটির সুদিন আর নেই। কথাটা অবশ্য চলতি মৌসুমের পয়েন্ট টেবিল দেখলে ভুল মনে হওয়া স্বাভাবিক। গতপরশু রাতে লাৎসিওকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে এই মৌসুমের চতুর্থ সপ্তাহ থেকেই টেবিলের শীর্ষে থাকা স্তেফানি পিওলির দল। এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচে মিলানের ৩৪ পয়েন্ট, কোনো হার নেই! ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগ বিচারে এই মৌসুমে একমাত্র অপরাজিত দলই পিওলির এই মিলান!
সিরি’আর পাশাপাশি সব প্রতিযোগিতা আমলে নিলে এ বছর মিলান অবশ্য অপরাজিত থাকতে পারেনি। হার মাত্র তিনটি। এই পথে গোল ১০৬টি, লিগে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে বছর শেষ করাও নিশ্চিত তাদের। টেবিলের ছয়ে ধুঁকতে থাকা শিরোপাধারী জুভেন্টাসকে তাই অনেকেই এবার হয়তো গোনায় ধরছেন না। কে জানে, এবার ‘তুরিনের বুড়ি’দের কাছ থেকে শিরোপা নিয়ে মিলান হয়তো সুদিন ফিরিয়ে আনবে।
সান সিরোয় এদিন লাৎসিওকে হারিয়ে এ মৌসুমে আরও এক দারুণ অর্জনের মুখ দেখেছে মিলান। এক বর্ষপঞ্জিতে এ নিয়ে টানা ১৫ ম্যাচে দুইয়ের বেশি গোল করল মিলান। ১৯৪৮ সালে সর্বশেষ একই নজির গড়েছিল বার্সেলোনা। সে বছর টানা ১৮ ম্যাচে ২ বা এর বেশি গোল তুলে নিয়েছিল কাতালান ক্লাবটি। অর্থাৎ ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে গত ৭২ বছরের মধ্যে মিলান দ্বিতীয় দল হিসেবে এই নজির গড়ল।
বার্সার সেই দল ১৯৪৭-৪৮ ও ১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে লিগ জিতেছিল কিংবদন্তি স্ট্রাইকার সিজার রদ্রিগেজকে নিয়ে। সিরি’আতে জুভেন্টাসের একাধিপত্য ভাঙার পণ করা পিওলির জন্য অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় আগের সেই নজির অবশ্যই প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
ইউরোপা লিগে গত নভেম্বরে গ্রুপ পর্বে লিলের কাছে ৩-০ গোলে হারের পর মিলান এখনো অপরাজিত। পরশুর জয়ের পর বড়দিন ও নতুন বছর বরণের ছুটিটা এখন খোশমেজাজেই কাটাতে পারবেন মিলানের খেলোয়াড়েরা। তবে লাৎসিওর বিপক্ষে তাঁদের কষ্ট করেই জিততে হয়েছে। ১০ মিনিটে আন্তে রেবিচের হেডে এগিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিকেরা। এর ৭ মিনিট পর পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মিলানের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হাকান চালহানলু। প্রথমার্ধের ২৭ মিনিটে রোমেরো অ্যালকোনকেল লাৎসিওর হয়ে এক গোল পরিশোধ করেন। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯ মিনিটে ভলিতে গোল করে দলটিকে সমতায় ফেরান চিরো ইম্মোবিলে। কিন্তু যোগ করা সময়ে থিও হার্নান্দেজের গোলে জয় তুলে নেয় মিলান। চোটের কারণে ম্যাচটি খেলতে পারেননি মিলানের তারকা স্ট্রাইকার জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।