নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সম্পত্তি বনে যাওয়া কোপা দেল রে ধরে রাখতে পারেনি। স্প্যানিশ সুপার কাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে সেমিফাইনালে হেরে বাদ পড়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েছে। ইউরোপা লিগ খেলতে বাধ্য হয়ে সেখানেও কোয়ার্টার ফাইনালেই আটকা পড়েছে- বার্সেলোনা এ মৌসুম কি শিরোপাশূন্য কাটাবে? আপাতদৃষ্টিতে তো সেটাই মনে হচ্ছে।
বাকি আছে শুধু লা লিগা। জাভির অধীন মৌসুমের প্রাথমিক হতাশা কাটিয়ে উঠলেও লিগে এখনো দুইয়ে আছে তারা। ৩০ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট পাওয়া বার্সেলোনার চেয়ে ১২ পয়েন্ট এগিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়াল অবশ্য এক ম্যাচ বেশি খেলেছে। তবু এবার যে বার্সেলোনার লা লিগা জেতার সম্ভাবনা প্রায় শূন্যের কোটায়, তা স্বীকার করে নিচ্ছেন অনেকেই। বার্সেলোনা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা ও কোচ জাভি অবশ্য এখনো হাল ছাড়তে রাজি নন। যতক্ষণ অঙ্কের হিসাব তাদের সম্ভাবনা শেষ বলে রায় দিচ্ছে না, ততক্ষণ লড়তে চান জাভি। স্প্যানিশ পত্রিকা মার্কা সে অঙ্ক কষার চেষ্টা করেছে। চেষ্টা করেছে কীভাবে এখনো লিগ জিততে পারে বার্সেলোনা, সেটা বের করার। চলুন দেখে নেওয়া যাক, কোন উপায়ে কী হলে এখনো লিগ জেতা সম্ভব বার্সেলোনার!
লিগে রিয়ালের ম্যাচ বাকি আছে আর সাতটি, বার্সেলোনার ম্যাচ বাকি আটটি। এই আট ম্যাচ থেকে বার্সেলোনাকে এখন শুধু সব ম্যাচ জিতলেই হবে না। আশা করতে হবে রিয়াল যেন অন্তত ৯ পয়েন্ট খোয়ায়। তাহলেই মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকায় চ্যাম্পিয়ন হবে কাতালানরা। এটুকু বলা সহজ, কিন্তু কাজটা যে কত কঠিন, সেটা ম্যাচগুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যায়। মৌসুমের শুরুতে করোনার কারণে একটি ম্যাচ পিছিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনার। সেটা এই সপ্তাহে খেলতে হবে ক্যাম্প ন্যুয়ের দলটিকে। ফলে ৭ দিনের মধ্যে ৩টি ম্যাচ খেলতে হবে বার্সেলোনাকে। এই ঝক্কি সামলে প্রতিপক্ষের ম্যাচের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের।
গতকাল রাতেই লা লিগায় মুখোমুখি হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ ও তিনে থাকা সেভিয়া। প্রায় পুরো মৌসুমে রিয়ালের সঙ্গে টক্কর দিয়ে লড়া সেভিয়া হঠাৎ পিছিয়ে পড়ে এখন তিনে চলে গেছে। তবু ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের কঠিন পরীক্ষা নেওয়ার কথা দলটির। এবার লিগে এখনো ঘরের মাঠে হারেনি সেভিয়া। ১৫ ম্যাচের ১১টিতেই জিতেছে। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা, দুই দলই এই মাঠে পয়েন্ট হারিয়েছে। এই ম্যাচেই রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা সবচেয়ে বেশি। আর সেটা হলে কাদিজের বিপক্ষে আজ অনেক ফুরফুরে মেজাজে নামতে পারবে বার্সেলোনা। কিন্তু এরপরও রিয়ালের আরও অন্তত দুই ম্যাচে হার আশা করতে হবে বার্সেলোনাকে। আর যদি ড্র করে, সে ক্ষেত্রে সে আশা আরও এক ম্যাচের জন্য বাড়াতে হবে। মজার ব্যাপার আগামী তিন সপ্তাহেই রিয়ালের ম্যাচ আগে দিয়েছে লা লিগা। ফলে প্রতিদিনই বার্সেলোনা প্রতিপক্ষের অবস্থান জেনেই মাঠে নামতে পারবে।
আগামীকাল রিয়াল মাদ্রিদ নামবে ওসাসুনার বিপক্ষে। ঘরের মাঠেই এই দলের সঙ্গে ড্র করেছিল রিয়াল। পরদিন বার্সেলোনা খেলবে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে। মৌসুমে দুর্দান্ত শুরু করা দলটি পথ হারিয়েছে শেষ দিকে এসে। ২০২২ সালে লিগে বড় ক্লাবগুলোর বিপক্ষে কোনো জয় পায়নি ক্লাবটি। আগামী সপ্তাহে বার্সেলোনা রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে খেলতে নামবে। এই সপ্তাহে রিয়ালের কোনো ম্যাচ নেই। এই সপ্তাহেই দুই দলের মধ্যে ম্যাচের পার্থক্য শেষ হয়ে যাবে। এরপর ৩০ এপ্রিল এসপানিওলের বিপক্ষে খেলবে রিয়াল। এই মৌসুমে যে তিনটি দলের বিপক্ষে হেরেছে রিয়াল, এসপানিওল তাদের একটি। বার্সেলোনা পরদিন অবনমন অঞ্চলের আশপাশে ঘোরা রিয়াল মায়োর্কার বিপক্ষে খেলবে।
লিগের পরের চার ম্যাচের সময় এখনো দেওয়া হয়নি। এই ম্যাচগুলোতে রিয়ালের ম্যাচগুলো বেশ কঠিন। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও কাদিজের মাঠে গিয়ে খেলতে হবে তাদের। লেভান্তে ও রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে খেলবে ঘরের মাঠে। অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে ম্যাচটা কত কঠিন হবে, সেটা কদিন আগে ম্যানচেস্টার সিটিই বুঝেছে। রিয়ালের জন্য বড় দুশ্চিন্তার নাম লেভান্তে ও কাদিজ। গত মৌসুমে মাত্র ২ পয়েন্টের জন্য লিগ জিততে পারেনি রিয়াল। গত মৌসুমে বড় সব দলকে হারানো রিয়াল হেরে বসেছিল কাদিজ ও লেভান্তের বিপক্ষে। গত মৌসুমের পর এ মৌসুমেও রিয়ালের জন্য যন্ত্রণার কারণ হয়েছে কাদিজ ও লেভান্তে। এই মৌসুমে এ দুই দলের বিপক্ষে প্রথম লেগে পয়েন্ট হারিয়েছে রিয়াল। ওদিকে রিয়াল বেতিস চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করার জন্য লড়ছে অ্যাটলেটিকোর সঙ্গে।
বার্সেলোনাকেও বেতিসের ঘরে গিয়ে খেলতে হবে ম্যাচ। হেতাফের মাঠেও যেতে হবে তাদের। ভিয়ারিয়াল ও সেলতা ভিগোর বিপক্ষে খেলবে নিজের মাঠে। কাগজে-কলমে সেলতা ভিগো ম্যাচটা সহজ হলেও এই ম্যাচই নিকট অতীতে বার্সেলোনার যত দুশ্চিন্তার নাম। এই মৌসুমে বার্সেলোনার কাছ থেকে পয়েন্ট কেড়ে নিয়েছে ইয়াগো আসপাসের সেলতা। বেতিসের কাছে ঘরের মাঠেই হেরেছিল বার্সেলোনা। তাই, যতই অঙ্ক কষুক না কেন, বার্সেলোনার কাজটা প্রায় অসম্ভব। সহজ ভাষায়, প্রতি ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট খোয়ানোর আশা নিয়েই নামতে হবে দলটিকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।