মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত-রাশিয়ার মধ্যকার বার্ষিক সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। গত ২০ বছরে এই প্রথম দুই দেশের মধ্যে কোনো সম্মেলন স্থগিত হলো। বিষয়টি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কংগ্রেস এটিকে দেশটির ভবিষ্যতের জন্য বিপজ্জনক বললেও দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, করোনার কারণে এ বছরের সম্মেলন আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।
ভারত বলেছে, যে মস্কোর সাথে তার সম্পর্ক “গুরুত্বপূর্ণ” এবং বার্ষিক ভারত-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলন সিওভিড মহামারীর কারণে স্থগিত হয়েছিল। উভয় দেশের নেতৃত্বের পর্যায়ে একটি বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন রয়েছে যা ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে অবস্থান হিসাবে পরিবর্তিত হয়।
বৈদেশিক বিষয় মন্ত্রক মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, “কোভিড মহামারীজনিত কারণে ২০২০ সালে ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। এটি ছিল দুই সরকারের মধ্যে পারস্পরিক সম্মত সিদ্ধান্ত”
গণমাধ্যমে উঠে এসেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ভারতের কৌশলগত নির্ভরতার জবাব হিসেবেই মস্কো বার্ষিক সম্মেলন পেছালো কিনা সেটা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এই সংক্রান্ত একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদন উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে পোস্ট করে বলেছেন, ‘রাশিয়া ভারতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। আমাদের ঐতিহ্যগত সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করা হলে তা অদূরদর্শিতার কাজ হবে, যা ভবিষ্যতের জন্য বিপজ্জনক।’
রাহুল গান্ধীর এই টুইটের পর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনৈতিক মন কষাকষির তত্ত্বকে উড়িয়ে দিয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। দুই দেশের সরকার সম্মিলিতভাবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ব্যাপারে যেসব কথা বলা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর। গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে মিথ্যা গুজব ছড়ানো দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচায়ক।’
আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, সম্প্রতি ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে নয়াদিল্লির কোয়াড (যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের চর্তুদেশীয় অক্ষ) নির্ভরতা নিয়ে প্রকাশ্যেই বিরোধিতা করেছিল রাশিয়া। সূত্র : আনন্দবাজার
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।