মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আগামী সপ্তাহেই ভারতে ছাড়পত্র পেতে পারে অ্যাস্ট্রাজেনেকা- অক্সফোর্ডের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন। ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
ফলে নতুন বছরের শুরু থেকেই ভারতে গণহারে টিকাকরণ শুরু হতে পারে। স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ডসহ আরও দু’টি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার থেকে অতিরিক্ত তথ্য চেয়েছিল মন্ত্রণালয়। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত ওই তথ্য সেরাম ইনস্টিটিউট ইতিমধ্যে জমা করেছে বলে সূত্রের দাবি। তবে ফাইজার ও বায়োনটেক এখনও তথ্য জমা করেনি বলে খবর। সেই তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য. তিনটি ভ্যাকসিন ভারতের বাজারে ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করেছে। সূত্রের খবর, দাম ও সরল সংরক্ষণ ব্যবস্থার জন্য ছাড়পত্র পাওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ডের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন। তবে জরুরি পরিস্থিতিতে ফাইজার ও বায়োনটেকের ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হতে পারে।
বিশ্বে একাধিক সম্ভাব্য ভ্যাকসিন এসে গেলেও চিন্তা বাড়িয়েছে করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, তৈরি হওয়া ভ্যাকসিনগুলি কোভিডের নতুন রূপের উপরও কাজ করতে প্রস্তুত। যদি তা ব্যর্থও হয়, তাতেও চিন্তার কিছু নেই বলে জানাচ্ছে ফাইজার-বায়োনটেক। প্রয়োজনে ছ’সপ্তাহের মধ্যেই ভাইরাসের ওই স্ট্রেন মোকাবিলায় সক্ষম নতুন প্রতিষেধক তৈরি করে দিতে পারবে তারা। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এমনই দাবি করেছেন বায়োনটেক-এর চিফ এগজিকিউটিভ উগুর শাহিন। কিন্তু তার এই দাবি ঘিরেই নতুন করে সংশয় দানা বেঁধেছে। প্রশ্ন উঠেছে, যদি নতুন স্ট্রেন রুখতে তাদের ভ্যাকসিন সক্ষম হয়, তাহলে নতুন করে ভ্যাকসিন তৈরির কথা উঠছে কেন।
জার্মান ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা বায়োনটেক-এর সহকারী প্রতিষ্ঠাতা উগুরের দাবি, “প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের প্রেক্ষিতে আমাদের মনে হয়েছে, আমাদের কোভিড- ভ্যাকসিন, ব্রিটেনে ত্রাস সৃষ্টিকারী করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন মোকাবিলায় সক্ষম হবে। যদিও এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও গবেষণা প্রয়োজন। এখনই নির্দিষ্ট করে বলে দেয়া সম্ভব নয়। তবুও প্রয়োজন হলে নতুন ধরনের ভ্যাকসিন তৈরি করে দিতে আমাদের মাত্র ছ’সপ্তাহ সময় লাগবে।” উগুরের ব্যাখ্যা, “ব্রিটেনে যে স্ট্রেন মিলেছে, তার সঙ্গে করোনার বর্তমান স্ট্রেনের ৯৯ শতাংশ মিল রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিষেধক প্রযুক্তিবিদ্যা প্রয়োগ করে করোনা ভাইরাসের চিহ্নিত স্ট্রেনগুলির রূপান্তর নকল করে আমরা সংক্রমণ প্রতিরোধের ভ্যাকসিন বানাতে সক্ষম।” বায়োনটেক কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা ইতিমধ্যে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন। সূত্র : টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।