Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চীন-রাশিয়া যৌথ মহড়া

দক্ষিণ চীন সাগর থেকে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ তাড়িয়ে দিলো বেইজিং

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

জাপান সাগর ও প‚র্ব চীন সাগরের আকাশে যৌথ বিমান মহড়া চালিয়েছে চীন ও রাশিয়া। দুই দেশের কৌশলগত বোমারু বিমানগুলো এতে অংশ নেয়। গত এক বছরের মধ্যে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দ্বিতীয়বার এ ধরনের মহড়া অনুষ্ঠিত হলো। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, রাশিয়ার দুইটি টিইউ-৯৫এমএস এবং চীনের চারটি এইচ-৬কে কৌশলগত বোমারু বিমান এই যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানায়, রাশিয়ার অ্যারোস্পেস ফোর্স এবং চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির বিমান বাহিনী এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দ‚রপাল্লার বিমান দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো যৌথ মহড়া চালিয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যকার সামরিক সহযোগিতা চুক্তি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এ মহড়া চালানো হয়েছে। ‘তৃতীয় কোনও দেশকে টার্গেট করে’ এ মহড়া চালানো হয়নি। এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইনও কঠোরভাবে মেনে চলা হয়েছে। রাশিয়া ও চীনের সামরিক বিমান দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছে বলে সিউল প্রতিবাদ জানানোর পর রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিবৃতি দিলো। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, চীন তাদেরকে বলেছে, একটি চীনা সামরিক বিমান নিয়মিত উড্ডয়নে অংশ নিতে গিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ এক বিবৃতিতে বলেছেন, দৃশ্যত চীন ও রাশিয়া যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে। তবে বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখতে হবে। অপরদিকে, দক্ষিণ চীন সাগরের নানশা দ্বীপপুঞ্জের উপক‚ল থেকে একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ তাড়িয়ে দিয়েছে চীন। চীনা সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে নিউজ চ্যানেল আল-মায়াদিন জানিয়েছে, বেইজিং-এর অনুমতি না নিয়েই যে মার্কিন যুদ্ধজাহাজটি নানশা দ্বীপপুঞ্জের পানিসীমায় ঢুকে পড়েছিল সেটিকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এর আগে গত শনিবার একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালী অতিক্রম করেছে বলে সেদেশের গণমাধ্যম খবর দিয়েছিল। চীন বহুবার আমেরিকাকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ওয়াশিংটন যেন চীন, তাইওয়ান ও হংকংয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক উপস্থিতি বন্ধ করে। চীন মনে করে, ওই অঞ্চলে উত্তেজনা সৃষ্টি ও নিরাপত্তাহীনতার প্রধান কারণ মার্কিন সামরিক উপস্থিতি। দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটার মালিকানা দাবি করে চীন। কিন্তু ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই ও তাইওয়ানও এই সাগরের নিজ নিজ উপক‚লীয় অঞ্চলের মালিকানা দাবি করছে। রয়টার্স, ইউনহ্যাপ,পার্স টুডে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ