মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাজ্যে পাওয়া করোনাভাইরাসের অত্যন্ত সংক্রামক নতুন একটি ধরন নিয়ে বেশি শঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই বলে আশ্বস্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। নতুন ধরন একটি মহামারীর বিবর্তনের স্বাভাবিক অংশ বলে জানিয়েছে তারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা ভাইরাসের এই ধরন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক দিকও খুঁজে পেয়েছেন, ভাইরাসটিকে অনুসরণ করার জন্য ব্যবহৃত নতুন সরঞ্জামগুলো কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তারা। এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি বিষয়ক প্রধান মাইক রায়ান বলেছেন, ‘আমাদের একটি ভারসাম্য খুঁজে পেতে হবে। স্বচ্ছতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যা ঘটছে জনসাধারণকে তা জানানো দরকার। তবে এটিও পরিষ্কার করতে হবে যে এটি ভাইরাসের বিবর্তনের স্বাভাবিক অংশ’। এ সময় ভাইরাসটিকে এত সতর্কতার সঙ্গে, এমন বৈজ্ঞানিকভাবে, এত নিবিড়ভাবে অনুসরণ করতে পারা বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের একটি সত্যিকার ইতিবাচক উন্নয়ন। যেসব দেশ এ ধরনের নজরদারি চালাচ্ছে তাদের প্রশংসা করা উচিত’।
ব্রিটেন থেকে পাওয়া তথ্য উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ এর বর্তমান ধরনটি থেকে নতুন ধরনটি লোকজনকে বেশি অসুস্থ করছে বা এটি আরও প্রাণঘাতী, এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি; তবে নতুন ধরনটি আরও সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। যেসব দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তারা ঝুঁকি পর্যালোচনা করে অতিরিক্ত সাবধানতা থেকেই এটি করেছে এবং এটি দূরদর্শী পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন রায়ান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জার তুলনায় এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের মিউটেশন অনেক ধীর আর যুক্তরাজ্যে পাওয়া নতুন ধরনটি এখনও মাম্পসের মতো রোগের তুলনায় কম সংক্রামক। এটি ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ নয় বলেও জানিয়েছেন তারা। এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের আরেকটি নতুন ধরন আবিষ্কৃত হওয়ার পর তাদের ক্ষেত্রেও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কিছু দেশ। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাজ্যে পাওয়া ভাইরাসের ধরন দুটি এক নয়। সূত্র : বিবিসি।
মানব বিপর্যয় থামাতে এখনি ব্রিটেনজুড়ে টিয়ার ৪ লকডাউন চান বিশেষজ্ঞরা
এদিকে মিরর জানিয়েছে, ব্রিটেন নিজের অজান্তেই বড় ধরনের মানব বিপর্যয়ের দিকে ছুটে যাচ্ছে বলে মনে করছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা। তারা অবিলম্বে পুরো ব্রিটেনজুড়ে টিয়ার ৪ লকডাউন জারির পরামর্শ দিয়েছেন। প্রফেসর রবার্ট ওয়েস্ট সাবধান করে বলেন, করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ায় বড়দিন পরবর্তী সময়ে ব্রিটেনের মানুষ বিপর্যয়ের হুমকিতে রয়েছে।
ব্রিটেনের প্রধান বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা স্যার প্যাট্রিক ভ্যাল্যান্সও হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ব্রিটেনের সর্বত্রই নতুন এই স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়েছে। প্রফেসর ওয়েস্টও এখন তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে অতুন এ স্ট্রেইন থামাতে কঠিন লকডাউনের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, যদি সরকার পূর্ব এশিয়ার মতো কন্টাক্ট ট্রাকিং সিস্টেম চালু করতে না পারে তাহলে ব্রিটেনকে অর্থনীতি এবং সামাজিক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে। গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, আমাদের উচিত আমাদের কৌশল পুনরায় নির্ধারণ করা এবং নতুন স্ট্রেইনের সংক্রমণ শূন্যে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা। একে হয়ত অনেক ব্যায়বহুল লাগছে তবে অন্য কোনো বিকল্পের ওপর আর ভরসা করা যায়না।
আরেক বিশেষজ্ঞ প্রফেসর অ্যান্ড্রু হায়ওয়ার্ডও দেশজুড়ে লকডাউন দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। তিনি বলেন, যদিও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন স্ট্রেইনের সংক্রমণের মাত্রা ভিন্ন তারপরেও তারা আসলে সব জায়গাতেই রয়েছে। প্রফেসর জন এডমান্ডস বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি যে সমগ্র ব্রিটেনজুড়েই করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়েছে এবং আমি মনে করি, আমাদের এখন কঠিন লকডাউন আরোপ করা জরুরি।
এদিকে, ভ্যাকসিন তৈরি কোম্পানি বায়োএনটেকের প্রধান উগুর সাহিন জানিয়েছেন, এখনো তারা নিশ্চিত নন যে তাদের ভ্যাকসিন নতুন স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে কার্যকরি হবে কিনা। তবে যেহেতু উভয় ধরণের প্রোটিনের মধ্যে ৯৯ শতাংশ মিল রয়েছে। তাই তারা ভ্যাকসিন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। এখন পর্যন্ত ব্রিটেনের ৫ লাখ মানুষ বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।