Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

১ দিনে ২৬ হাজার, ভারতের করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ছাড়ালো

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:৪৯ পিএম

ভারতে ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ কোটির সীমানা। এর মধ্যে গত শনিবার ২৪ ঘন্টার মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ২৬ হাজারের বেশি মানুষ। রোববার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে। তবে মৃত্যুহার কমে আসায় আশার আলো দেখছেন ভারতীয় চিকিৎসকমহল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩৪১ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৬২৪ জন। এছাড়াও, সুস্থ হয়েছেন ২৯ হাজার ৬৯০ জন। গত প্রায় এক মাসে দেশটিতে প্রায় ১০ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবে ভারতে করোনায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪৭৭ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৩১ হাজার ২২৩ জন। আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বে ভারতের অবস্থান দ্বিতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যা বিবেচনায় তৃতীয়।

কোভিড বিশেষজ্ঞদের মতে, বিচ্ছিন্ন ভাবে কিছু রাজ্য বা এলাকায় সংক্রমণ বৃদ্ধি দেখা গেলেও দেশব্যাপী করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই কম। পাশাপাশি তা দেখা গেলেও বর্তমান সময়ে আগের মতো এতটাই প্রাণঘাতী হবে না মারণ করোনা। মধ্য-সেপ্টেম্বরের পর থেকেই সংক্রমণ নিম্নমুখী ভারতে করোনা সংক্রমণের বিষয়ে ভাইরোলজিস্ট শাহিদ জামিল জানান, ‘মধ্য-সেপ্টেম্বরে প্রতিদিন ৯৩ হাজার মানুষ আক্রান্ত হলেও বর্তমানে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন গড়ে ২৫ হাজার। ফলে এটা স্পষ্ট যে করোনার ক্ষেত্রে ক্রমশই গোষ্ঠী প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ছে গোটা ভারতের।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, উৎসবের মরশুম ও রাজ্যের নির্বাচনগুলি মিলিয়ে বর্তমানে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা হওয়ার কথা ১৬ কোটির আশেপাশে। কিন্তু আসল আক্রান্তের সংখ্যায় ভারত যথেষ্ট স্বস্তিতে।’

ভারতীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ে তরফে খবর, সাধারণ মানুষ মাস্ক পরিধান ও দূরত্ব বজায়ের মাধ্যমে যেভাবে সচেতনতার নজির গড়েছে, তাতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার সম্ভাবনা কমছে প্রতিদিন। তবে ডক্টর ক্যাংয়ের বক্তব্য, ‘ভ্যাকসিনের সঠিক প্রয়োগ ও জনসাধারণের সচেতনতার কারণে আরও কমবে করোনার প্রকোপ কিন্তু তারপরেও এখনই নিশ্চিন্ত হওয়ার কোনও কারণ নেই। করোনার ছোঁয়াচ থেকে বাঁচতে গেলে নাগরিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে।’ অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার মতে, করোনার ৫০১ নতুন প্রকারভেদের কারণেই বাড়ছে উদ্বেগ। এমনকী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এলেও তার প্রধান কারণ হিসাবে করোনার এই ভিন্নতাই দুষছেন তিনি। যদিও এই বছরের মধ্যেই টিকাকরণ শুরু করলে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে করোনাতে লাগাম টানা সম্ভব বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আরও বাড়বে গোষ্ঠী প্রতিরোধী ক্ষমতা এদিকে করোনার দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণের বিষয়ে ডক্টর কে কে আগরওয়াল বলেছেন যে, করোনার নতুন প্রকারভেদের কারণে দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণ শুরু হলেও তা ভারতীয়দের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। আইসিএমআরের মহামারী বিশেষজ্ঞ ডক্টর সমীরণ পান্ডার মতে, ভারতে করোনার প্রকোপ কমে এলেও কিছু রাজ্যে ভিন্নরূপে দেখা দিচ্ছে অতিমারী। এই ক্ষেত্রে ভারতব্যাপী প্রতিরোধ গড়তে সকল রাজ্যকেই সমান উদ্যমে মাঠে নামতে হবে বলেই মত তার। সূত্র: ডন, ওয়ানইন্ডিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ