পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ছোঁড়া গুলিতে নিহত হয়েছে জাহিদুল ইসলাম (২২) নামে বাংলাদেশি এক যুবক। ওই যুবকের মৃত্যুর ৫৮ ঘন্টা পর গতকাল শুক্রবার দুপুরে বিজিবি- বিএসএফ কয়েক দফা পতাকা বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিকভাবে বিজিবির কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর এই সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে মারা যান তালেব নামের এক যুবক। এছাড়াও চলতি বছরের জানুয়ারী ও জুন মাসে পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে আরো দুইজন দুই বাংলাদেশী মৃত্যুবরণ করেছিল। বেশ কয়েকটি লাশ পরিত্যক্ত অবস্থায় সীমান্তে পাওয়া যায়। একজন নারীর লাশও ছিল। অজ্ঞাত ওই নারীর পরিচয় শেষ পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি। আইন ও শালিস কেন্দ্রের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সীমান্তে ৪৩ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে ভারতের বিএসএফ। ডিসেম্বর মাসে হত্যাকান্ডের শিকার দু’জন যোগ করলে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৫ জনে।
এদিকে, বিএসএফের গুলিতে নিহত জাহিদুলের লাশ গতকাল শুক্রবার দুপুর দেড়টায় বিজিবি তার বাড়ীতে পবিারের কাছে হস্তান্তর করলে তার পরিবার ও আশপাশের এলাকায় শোকে ছায়া নেমে আসে। নিহত জাহিদুলের বাবা- মা বিলোপ করে কাঁদছিলেন আর বলছিলেন, আমার সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে বিএসএফ গুলি করে মেরেছে আমি এর বিচার চাই। আমরা এখন কার কাছে যাবো? কে খাওয়াবে আমাদেরকে?
পাটগ্রামের শমসের নগর বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) এর কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার আজহারুল বলেন, এ ঘটনায় কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে কয়েক দফা পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএসএফ’কে কড়া প্রতিবাদ পত্র পাঠিয়ে নিহতের লাশ ফেরত চাওয়ার পর গতকাল দুপুর দেড়টায় বিএসএফ আনুষ্ঠানিকভাবে জাহিদুলের লাশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে আমরা তাৎক্ষণিক তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।
পাটগ্রাম সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষ অভিযোগ করে জানায়, রহস্যজনকভাবে বিজিবি’র সামনে প্রতিদিন ভারতীয় গরুর ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে গরু পারাপার করছে। এই গরু প্রকাশ্য লালমনিরহাট বাজারগুলিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রকাশ্যে ট্রাক যোগে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গত ১৬ ডিসেম্বর বুধবার সকালে ঘন কুয়াশা থাকার কারণে কয়েকজন পাচারকারী গ্রæপের একটি দল ভারত থেকে গরু আনতে শ্যতিরামপুর সীমান্তে যায়। এসময় বিএসএফ তাদের ধাওয়া করলে সকলে পালিয়ে যায়। কিন্তু নিরীহ যুবক জাহিদুল মাছ ধরায় ব্যস্ত থাকায় সে কিছু বুঝে উঠতে পারেনি। বিএসএফ সদস্যরা তাকে সহজেই পেয়ে যায়। তারা জাহিদুলকে খুব কাছে থেকে গুলি করে হত্যা করে। বিএসএফের কৌশিক ক্যাম্প ও রতনপুর ক্যাম্পের মাঝামাঝি সীমান্তে এই নির্মম ঘটনাটি ঘটে। পরে ভারতীয় বিএসএফের সদস্যরা ভারতের মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় জাহিদুলের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। এ ঘটনায় একজন গরু ব্যবসায়ীও আহত হয়। তিনি গোপনে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।